ফরিদপুরের মধুখালিতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট এবং বিকাশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল সেট ও সীমকার্ড সহ বিকাশ প্রতারক চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮। এ ঘটনায় মধুখালি থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর সদস্যরা ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানাধীন ডুমাইন গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বিকাশ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সাত জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার ডুমাইন পশ্চিমপাড়া গ্রামের পান্নু বিশ্বাসের ছেলে মোঃ সখিন বিশ্বাস (৩২), মোঃ বিল্লাল শেখের ছেলে বিপ্লব শেখ (২৫), মো. সোবহান শেখের ছেলে মোঃ পারভেজ শেখ (২৫), মো. মোতালেব শেখের ছেলে মোঃ সাখাওয়াত শেখ (২২), মো. নিয়াজউদ্দিন শেখের ছেলে মোঃ মিঠুন শেখ (২৫), মো. শেখ সাদেকের ছেলে মোঃ শেখ আবু সাইদ (২২) এবং নিশিন্তপুর গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ এনামুল হোসেন (২৫)।
এ সময় গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে ৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং বিকাশ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ২৪ টি মোবাইল ফোনসহ ৪২ টি সীমকার্ড জব্দ করা হয় ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জানা যায় তারা বিকাশ প্রতারনার মাধ্যমে জনসাধারনের নিকট হতে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। বিকাশ প্রতারক চক্রের এসব সদস্যরা বিভিন্ন দুর্নীতি পরায়ণ মোবাইল সীম বিক্রেতার সাথে পরস্পর যোগসাজস করে ভূয়া নামে সীম কার্ড রেজিস্ট্রেশন করে। উক্ত সীমকার্ড ব্যবহার করে অসাধু ডিএসআর (বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত এ্যজেন্ট) গণের মাধ্যমে ভূয়া বিকাশ একাউন্ট খোলে।
প্রতারক চক্রের সদস্যরা দুর্নীতিপরায়ণ ডিএসআর গণের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে বিকাশ এজেন্টদের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে ওই সব ভূয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল সীমকার্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাধারণ জনগনের নিকট নিজেদের বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে। এরপর কৌশলে তাদের বিকাশ পিন কোড জেনে নেয়। পরে স্মার্ট ফোনে বিকাশ এ্যাপস ব্যবহার করে সাধারণ লোকজনের বিকাশ একাউন্ট হতে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে মধুখালি থানার অফিসার ইন চার্জ মো. সহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মধুখালী থানায় মামলা হয়েছে। তাদের মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রিন্ট