ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মধুখালীর ডুমাইন চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেয়া হবে – জেলা প্রশাসক Logo নাটোরের চলনবিলে শ্রমিকের মাঝে স্যালাইন-পানি বিস্কুট, শরবত, বিতারন করছেন পরিবেশ কর্মীরা Logo কালুখালীতে অস্ত্রসহ ২ জন গ্রেফতার Logo বাওড়ে গোসলে নেমে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার Logo নাগরপুরের দুই সাংবাদিক বিএমএসএস এর কেন্দ্রীয় দায়িত্বে Logo কুমারখালীর সেই ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করলো বন বিভাগ Logo খোকসায় উপজেলা ক্যাম্পাসে বন বিভাগের গেট ভেঙ্গে চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু Logo দৌলতপুরে ৭৫ বোতল ফেনসিডিলসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক ২ Logo সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু Logo দৌলতপুরে নারী চিকিৎসককে হয়রানি করে কারাগারে যুবক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

স্বাভাবিক প্রসবে রংপুর বিভাগে সেরা গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

সাম্প্রতিক সময়ে গাইবান্ধায় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নারীদের মধ্যে সন্তান জন্মের প্রবনতা বেড়ে গেছে। বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এই অপারেশনের ঘটনা বেশি। এতে নিম্নমধ্যবিত্ত নারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
পাশাপাশি শারীরিকভাবে নানা পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। এই বাস্তবতায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করে বিশেষ সাফল্য এনেছে গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। এ সেবার জন্য কেন্দ্রটি আটটি জেলা নিয়ে গঠিত রংপুর বিভাগে সেরা নিবার্চিত হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্য কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত হয়।
২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সেবার ধরণ বিবেচনা করে এই পুরস্কার ঘোষনা করে রংপুর বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক-ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রেদওয়ান ইসলাম বলেন, গত একবছরে এই কেন্দ্রে দুই হাজার ২৪৫ জনের স্বাভাবিক প্রসবের ব্যবস্থা করা হয়। যা গত কয়েক বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
এ ছাড়া গত একবছরে এই কেন্দ্রে দুই হাজার ৫৩০ জনকে গর্ভকালীন পরিচর্যা, এক হাজার ২৩০ জনের প্রসবোত্তর পরিচর্যা, চার হাজার ২৪৩ শিশু পরিচর্যা করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা সেবার মধ্যে ৪১৩ জন পুরুষ ও মহিলার স্থায়ী পদ্ধতি, ৬৩ জনের আইউডি, এক হাজার ৩০০ জনের ইমপ্ল্যান্ট, ২১০ জনের ইঞ্জেকশন। প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার মধ্যে ৫২ জনের এমআর, ৩৪৮ জনের আরটিআই, ৪৫৫ জন কিশোরীর সেবা, পাঁচ হাজার ৩২৪ জন মায়ের পুষ্টি সেবা, পাঁচ হাজার ১৪৫ জন শিশুর পুষ্টি সেবা। ১০ জনের সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছে।
মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য সেবাসহ ছয় ধরণের সেবার দিক বিবেচনা করে গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণকে রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) সাঈদা তাসনীম (০১৭১৭-৫২৩৩৭৫) বলেন, ’আমাদের অবকাঠামোগত সক্ষমতা রয়েছে।
তবে গত প্রায় একবছর ধরে গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) পদটি শুন্য। তাই সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। এজন্য স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রসব করানোর উপর গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে। যাতে কেউ মাতৃসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মধুখালীর ডুমাইন চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেয়া হবে – জেলা প্রশাসক

error: Content is protected !!

স্বাভাবিক প্রসবে রংপুর বিভাগে সেরা গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

আপডেট টাইম : ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
সাম্প্রতিক সময়ে গাইবান্ধায় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নারীদের মধ্যে সন্তান জন্মের প্রবনতা বেড়ে গেছে। বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এই অপারেশনের ঘটনা বেশি। এতে নিম্নমধ্যবিত্ত নারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
পাশাপাশি শারীরিকভাবে নানা পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। এই বাস্তবতায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করে বিশেষ সাফল্য এনেছে গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। এ সেবার জন্য কেন্দ্রটি আটটি জেলা নিয়ে গঠিত রংপুর বিভাগে সেরা নিবার্চিত হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্য কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত হয়।
২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সেবার ধরণ বিবেচনা করে এই পুরস্কার ঘোষনা করে রংপুর বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক-ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রেদওয়ান ইসলাম বলেন, গত একবছরে এই কেন্দ্রে দুই হাজার ২৪৫ জনের স্বাভাবিক প্রসবের ব্যবস্থা করা হয়। যা গত কয়েক বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
এ ছাড়া গত একবছরে এই কেন্দ্রে দুই হাজার ৫৩০ জনকে গর্ভকালীন পরিচর্যা, এক হাজার ২৩০ জনের প্রসবোত্তর পরিচর্যা, চার হাজার ২৪৩ শিশু পরিচর্যা করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা সেবার মধ্যে ৪১৩ জন পুরুষ ও মহিলার স্থায়ী পদ্ধতি, ৬৩ জনের আইউডি, এক হাজার ৩০০ জনের ইমপ্ল্যান্ট, ২১০ জনের ইঞ্জেকশন। প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার মধ্যে ৫২ জনের এমআর, ৩৪৮ জনের আরটিআই, ৪৫৫ জন কিশোরীর সেবা, পাঁচ হাজার ৩২৪ জন মায়ের পুষ্টি সেবা, পাঁচ হাজার ১৪৫ জন শিশুর পুষ্টি সেবা। ১০ জনের সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছে।
মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য সেবাসহ ছয় ধরণের সেবার দিক বিবেচনা করে গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণকে রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) সাঈদা তাসনীম (০১৭১৭-৫২৩৩৭৫) বলেন, ’আমাদের অবকাঠামোগত সক্ষমতা রয়েছে।
তবে গত প্রায় একবছর ধরে গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) পদটি শুন্য। তাই সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। এজন্য স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রসব করানোর উপর গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে। যাতে কেউ মাতৃসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।