ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা Logo পাংশা সরকারী কলেজে জুলাই শহিদ দিবস পালিত Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কুষ্টিয়া চাঁদা তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ Logo কিছু কিছু দল বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরী বানাচ্ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo মধুখালীতে কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ কম হওয়ায় কৃষকেরা হতাশ Logo কালুখালী থেকে কুষ্টিয়া আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে হামলার শিকার Logo ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে ‌‌ আলোচনা সভা ‌ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়া সীমান্তে পৃথক অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও শর্টগানসহ আটক ২ Logo জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির ‌ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত 
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সম্পত্তি নিয়ে পরিবারে অশান্তিঃ

ভাবী পা ধরে আর ভাই গলা টিপে হত্যা করে কৃষক রিপনকে

-প্রতীকী ছবি।

গত ৯ ডিসেম্বর রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল কৃষক রিপন। রাত ১২ টার দিকে ভাই ও ভাবী ঘরে ঢোকে। এক পর্যায়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ভাবী ফরিদা বেগম রিপনের পা ধরে আর বড় ভাই নান্নু গলা টিপে হত্যা করে। পরে পেটে দা দিয়ে কোপ দেয়।

পুলিশের নজর এড়াতে ধান পাহারা দিতে গেছে এমন গল্প ফেঁদে তার চাদর ও মোবাইল বাড়ি থেকে দুরের একটি মাঠে ফেলে আসে। ভোরের দিকে বাড়ির পাশের ডোবায় মাটিচাপা দেয়। সম্পত্তির কারণেই এ হত্যাকান্ড বলে স্বীকার করেছে আটক ভাবি ফরিদা বেগম।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুজ্জামানের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে তার ভাবী ফরিদা বেগম।

ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম জানান, গত ৯ ডিসেম্বর শৈলকুপা উপজেলার চর রূপদাহ গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক বিশ্বাসের ছেলে রিপন হোসেন (২৮) বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।

এ ব্যাপারে তার স্ত্রী সোহাগি বেগম পরের দিন শৈলকুপা থানাতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই রিপকে উদ্ধারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।

পরে গত ১৬ ডিসেম্বর বাড়ির পাশের ডোবায় তার পুতে রাখা লাশের হাত দেখতে পেয়ে পুলিশের খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে ওই দিনই ভাবী ফরিদা বেগমকে আটক করে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ভাই নান্নু। ২ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফরিদা বেগম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেয়।

প্রতিবেশিরা জানায়, কৃষক রিপন দীর্ঘদিন মালেশিয়া ছিল। বড় ভাই ময়মনসিংহ চাকুরী করে। এই সুবাদে পরিবারের সকল সম্পত্তি নান্নু ভোগ দখল করে আসছিল। ২ বছর আগে রিপন বাড়িতে এসে জমি নিয়ে চাষাবাদ শুরু করে। সম্পত্তি নিয়ে পরিবারে ঝামেলা চলে আসছিল। যে কারণেই হত্যা হলো কৃষক রিপন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা

error: Content is protected !!

সম্পত্তি নিয়ে পরিবারে অশান্তিঃ

ভাবী পা ধরে আর ভাই গলা টিপে হত্যা করে কৃষক রিপনকে

আপডেট টাইম : ০৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ :

গত ৯ ডিসেম্বর রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল কৃষক রিপন। রাত ১২ টার দিকে ভাই ও ভাবী ঘরে ঢোকে। এক পর্যায়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ভাবী ফরিদা বেগম রিপনের পা ধরে আর বড় ভাই নান্নু গলা টিপে হত্যা করে। পরে পেটে দা দিয়ে কোপ দেয়।

পুলিশের নজর এড়াতে ধান পাহারা দিতে গেছে এমন গল্প ফেঁদে তার চাদর ও মোবাইল বাড়ি থেকে দুরের একটি মাঠে ফেলে আসে। ভোরের দিকে বাড়ির পাশের ডোবায় মাটিচাপা দেয়। সম্পত্তির কারণেই এ হত্যাকান্ড বলে স্বীকার করেছে আটক ভাবি ফরিদা বেগম।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুজ্জামানের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে তার ভাবী ফরিদা বেগম।

ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম জানান, গত ৯ ডিসেম্বর শৈলকুপা উপজেলার চর রূপদাহ গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক বিশ্বাসের ছেলে রিপন হোসেন (২৮) বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।

এ ব্যাপারে তার স্ত্রী সোহাগি বেগম পরের দিন শৈলকুপা থানাতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই রিপকে উদ্ধারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।

পরে গত ১৬ ডিসেম্বর বাড়ির পাশের ডোবায় তার পুতে রাখা লাশের হাত দেখতে পেয়ে পুলিশের খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে ওই দিনই ভাবী ফরিদা বেগমকে আটক করে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ভাই নান্নু। ২ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফরিদা বেগম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেয়।

প্রতিবেশিরা জানায়, কৃষক রিপন দীর্ঘদিন মালেশিয়া ছিল। বড় ভাই ময়মনসিংহ চাকুরী করে। এই সুবাদে পরিবারের সকল সম্পত্তি নান্নু ভোগ দখল করে আসছিল। ২ বছর আগে রিপন বাড়িতে এসে জমি নিয়ে চাষাবাদ শুরু করে। সম্পত্তি নিয়ে পরিবারে ঝামেলা চলে আসছিল। যে কারণেই হত্যা হলো কৃষক রিপন।


প্রিন্ট