বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে কর্মরত এক যুবক বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের কেওয়াগ্রামে।
এ ঘটনায় ওই সৈনিকের বাবা মো. আরমান হোসেন খান শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে আরমান খান জানান, তার ছেলে মো. মামুন খানের সঙ্গে কয়েকদিন আগে একই ইউনিয়নের পাঁচ ময়না গ্রামের মো. কামরুল মোল্যা তার মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় মেয়ের বাবা ক্ষিপ্ত হন।
মেয়ের বাবা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ের সঙ্গে মামুন খানের বিয়ের একটি ভূয়া হলফনামা তৈরি করেন বলে আরমান খান সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। এরপর থেকে ওই মেয়ের বাবা পুত্রবধূ হিসেবে তার মেয়েকে বাড়িতে উঠানোর জন্য আরমান খানকে চাপ দিচ্ছেন।
সুবিচার চেয়ে আরমান খান সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলে মামুন খান ওই মেয়েকে বিয়ে করেনি এবং কোন বিয়ের হলফনামাও করেনি। ভিন্ন ভিন্ন তারিখে সংগৃহীত স্ট্যাম্পের হলফনামায় করা মামুন খানের স্বাক্ষরও জাল। মামুনকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করার জন্য মিথ্যা বিয়ের এফিডেভিট করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ওই এফিডেভিটের হলফনামায় সনাক্তকারী হলেন ফরিদপুর জজ কোর্টের আইনজীবী নিশাকান্ত বিশ্বাস। বিতর্কিত ওই বিয়ের এফিডেভিটে সনাক্তকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেননি মর্মে আইনজীবী নিশাকান্ত বিশ্বাস কর্তৃক প্রদত্ত মামুন খানকে দেয়া একটি প্রত্যয়ন পত্র এ সময় সাংবাদিকদের দেখানো হয়।
প্রিন্ট