ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পাংশায় ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিক এ্যাসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা Logo বাংলাদেশ ও ঘানার জন্য আইএইচডিএফ গ্লোবাল মেডিকেল ক্যাম্প ইনিশিয়েটিভ ঘোষণা Logo বোয়ালমারীতে অরক্ষিত রেলক্রসিং ট্রেনের ধাক্কায় নছিমন চালক নিহত Logo হাতিয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় চন্দ্রপাড়া দরবার শরীফে ওরছ অনুষ্ঠিত Logo চার দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর ম্যাটস শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন Logo চট্টগ্রামের পটিয়ায় অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধিতে জনমনে আতঙ্ক Logo নড়াইল পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে চলছে উৎসবের আমেজ, চলছে প্রার্থীদের জোর প্রচারণা Logo যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে টিউলিপের পদত্যাগ Logo সদরপুরে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গাইবান্ধায় বন্যায় ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বেড়েছে। এরমধ্যে আজ বুধবার বিকেল ৩টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার এবং জেলা শহরের নিউ ব্রিজ এলাকায় ঘাঘট নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তায় পানি কমেছে। তবে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা ছুই ছুই করছে।
অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে সদর উপজেলার কামারজানি ও ফুলছড়ি উপজেলার পশ্চিম খাটিয়ামারি ও পিপুলিয়া, ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি, এড়েন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ী ও হরিহন্ডি, গজারিয়া ইউনিয়নের গলনা ও কাতলামারি, উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া, ভুষির ভিটা, যমুনা নদীর ভাঙনে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ইউনিয়নের গোবিন্দি নামক এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পাউবো সুত্র জানায়, উজানের ঢলে গাইবান্ধার চারটি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি, উড়িয়া, গজারিয়া, ফুলছড়ি, কঞ্চিপাড়া, সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, ভরতখালি, জুমারবাড়ি, সাঘাটা, গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর ও শ্রীপুর।
ফলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ইউনিয়নগুলোর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ও ছোট ছোট বাজারের দোকানপাট ডুবে গেছে। গবাদি পশু নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা নৌকায় করে নিরাপদে গবাদিপশু সরিয়ে নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধ অব্যাহত থাকলে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের ভিতরে নদ-নদী বেষ্টিত গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার চরগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

পাংশায় ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিক এ্যাসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা

error: Content is protected !!

গাইবান্ধায় বন্যায় ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত

আপডেট টাইম : ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১
মোঃ আবদুস সালাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ :
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বেড়েছে। এরমধ্যে আজ বুধবার বিকেল ৩টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার এবং জেলা শহরের নিউ ব্রিজ এলাকায় ঘাঘট নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তায় পানি কমেছে। তবে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা ছুই ছুই করছে।
অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে সদর উপজেলার কামারজানি ও ফুলছড়ি উপজেলার পশ্চিম খাটিয়ামারি ও পিপুলিয়া, ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি, এড়েন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ী ও হরিহন্ডি, গজারিয়া ইউনিয়নের গলনা ও কাতলামারি, উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া, ভুষির ভিটা, যমুনা নদীর ভাঙনে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ইউনিয়নের গোবিন্দি নামক এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পাউবো সুত্র জানায়, উজানের ঢলে গাইবান্ধার চারটি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি, উড়িয়া, গজারিয়া, ফুলছড়ি, কঞ্চিপাড়া, সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, ভরতখালি, জুমারবাড়ি, সাঘাটা, গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর ও শ্রীপুর।
ফলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ইউনিয়নগুলোর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ও ছোট ছোট বাজারের দোকানপাট ডুবে গেছে। গবাদি পশু নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা নৌকায় করে নিরাপদে গবাদিপশু সরিয়ে নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধ অব্যাহত থাকলে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের ভিতরে নদ-নদী বেষ্টিত গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার চরগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

প্রিন্ট