ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মধুখালীর ডুমাইন চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেয়া হবে – জেলা প্রশাসক Logo নাটোরের চলনবিলে শ্রমিকের মাঝে স্যালাইন-পানি বিস্কুট, শরবত, বিতারন করছেন পরিবেশ কর্মীরা Logo কালুখালীতে অস্ত্রসহ ২ জন গ্রেফতার Logo বাওড়ে গোসলে নেমে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার Logo নাগরপুরের দুই সাংবাদিক বিএমএসএস এর কেন্দ্রীয় দায়িত্বে Logo কুমারখালীর সেই ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করলো বন বিভাগ Logo খোকসায় উপজেলা ক্যাম্পাসে বন বিভাগের গেট ভেঙ্গে চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু Logo দৌলতপুরে ৭৫ বোতল ফেনসিডিলসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক ২ Logo সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু Logo দৌলতপুরে নারী চিকিৎসককে হয়রানি করে কারাগারে যুবক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গাইবান্ধায় বন্যায় ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বেড়েছে। এরমধ্যে আজ বুধবার বিকেল ৩টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার এবং জেলা শহরের নিউ ব্রিজ এলাকায় ঘাঘট নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তায় পানি কমেছে। তবে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা ছুই ছুই করছে।
অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে সদর উপজেলার কামারজানি ও ফুলছড়ি উপজেলার পশ্চিম খাটিয়ামারি ও পিপুলিয়া, ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি, এড়েন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ী ও হরিহন্ডি, গজারিয়া ইউনিয়নের গলনা ও কাতলামারি, উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া, ভুষির ভিটা, যমুনা নদীর ভাঙনে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ইউনিয়নের গোবিন্দি নামক এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পাউবো সুত্র জানায়, উজানের ঢলে গাইবান্ধার চারটি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি, উড়িয়া, গজারিয়া, ফুলছড়ি, কঞ্চিপাড়া, সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, ভরতখালি, জুমারবাড়ি, সাঘাটা, গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর ও শ্রীপুর।
ফলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ইউনিয়নগুলোর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ও ছোট ছোট বাজারের দোকানপাট ডুবে গেছে। গবাদি পশু নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা নৌকায় করে নিরাপদে গবাদিপশু সরিয়ে নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধ অব্যাহত থাকলে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের ভিতরে নদ-নদী বেষ্টিত গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার চরগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মধুখালীর ডুমাইন চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেয়া হবে – জেলা প্রশাসক

error: Content is protected !!

গাইবান্ধায় বন্যায় ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত

আপডেট টাইম : ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বেড়েছে। এরমধ্যে আজ বুধবার বিকেল ৩টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার এবং জেলা শহরের নিউ ব্রিজ এলাকায় ঘাঘট নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তায় পানি কমেছে। তবে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা ছুই ছুই করছে।
অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে সদর উপজেলার কামারজানি ও ফুলছড়ি উপজেলার পশ্চিম খাটিয়ামারি ও পিপুলিয়া, ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি, এড়েন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ী ও হরিহন্ডি, গজারিয়া ইউনিয়নের গলনা ও কাতলামারি, উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া, ভুষির ভিটা, যমুনা নদীর ভাঙনে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ইউনিয়নের গোবিন্দি নামক এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পাউবো সুত্র জানায়, উজানের ঢলে গাইবান্ধার চারটি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি, উড়িয়া, গজারিয়া, ফুলছড়ি, কঞ্চিপাড়া, সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, ভরতখালি, জুমারবাড়ি, সাঘাটা, গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর ও শ্রীপুর।
ফলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ইউনিয়নগুলোর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ও ছোট ছোট বাজারের দোকানপাট ডুবে গেছে। গবাদি পশু নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা নৌকায় করে নিরাপদে গবাদিপশু সরিয়ে নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধ অব্যাহত থাকলে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের ভিতরে নদ-নদী বেষ্টিত গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার চরগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।