উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বেড়েছে। এরমধ্যে আজ বুধবার বিকেল ৩টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার এবং জেলা শহরের নিউ ব্রিজ এলাকায় ঘাঘট নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তায় পানি কমেছে। তবে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা ছুই ছুই করছে।
অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে সদর উপজেলার কামারজানি ও ফুলছড়ি উপজেলার পশ্চিম খাটিয়ামারি ও পিপুলিয়া, ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি, এড়েন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ী ও হরিহন্ডি, গজারিয়া ইউনিয়নের গলনা ও কাতলামারি, উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া, ভুষির ভিটা, যমুনা নদীর ভাঙনে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ইউনিয়নের গোবিন্দি নামক এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পাউবো সুত্র জানায়, উজানের ঢলে গাইবান্ধার চারটি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি, উড়িয়া, গজারিয়া, ফুলছড়ি, কঞ্চিপাড়া, সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, ভরতখালি, জুমারবাড়ি, সাঘাটা, গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর ও শ্রীপুর।
ফলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ইউনিয়নগুলোর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ও ছোট ছোট বাজারের দোকানপাট ডুবে গেছে। গবাদি পশু নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা নৌকায় করে নিরাপদে গবাদিপশু সরিয়ে নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধ অব্যাহত থাকলে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের ভিতরে নদ-নদী বেষ্টিত গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার চরগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬