‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা। তাঁর সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন রোল মডেল সারা পৃথিবীতে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। আজ আমাদের দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু আজ আমরা হতাশ হই বিভিন্ন স্থানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাইজা, দাঙ্গা, ফ্যাসাদ দেখে। কোন এলাকার সামষ্টিক আচরণের জন্য সুনাম, বদনাম হয়। কাইজা, ফ্যাসাদ, দাঙ্গা করে সুনাম অর্জন করা যায় না। ঘরে অস্ত্র না রেখে ঘরে রাখবেন একুশ শতকের অস্ত্র ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশন।’ ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিশেষ আইন শৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান এসব কথা বলেন।
বোয়ালমারী থানার ৪ নং বিট ঘোষপুর ইউনিয়নের আয়োজনে উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চন্ডিবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রবিবার বিকেল ৫টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চন্ডিবিলা ও রাখালগাছি গ্রামের বিবদমান দুই গ্রুপ দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্র জমা দেন। জেলা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে এই অস্ত্র জমা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান। বোয়ালমারী থানা অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে এবং থানা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. ওহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু, ঘোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চন্ডিবিলা গ্রামের চান মিয়া ও রাখালগাছি গ্রামের কাজী রফিউদ্দিনের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তাদের নেতৃত্বে এলাকায় ইতঃপূর্বে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার জেলা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে চান মিয়া গ্রুপের পক্ষে ১৬টি ঢাল, ৭টি কাতরা, ৬টি রামদা, ১টি চাইনিজ কুড়াল জমা দেয়া হয় এবং কাজী রফিউদ্দিন গ্রুপের পক্ষে ২২টি ঢাল, ২১টি সড়কি, ১২টি রামদা জমা দেয়া হয়।
প্রিন্ট