যুগ যুগ থেকে একটি প্রবাদ “কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাস” বেশ প্রমান বহন করে চলেছে। ৬ ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। রূপ বৈচিত্রে বিশ্বের ভৌগলিক ভাবেই সুনামের স্থানে রয়েছে। নদী মাত্রিক এই দেশটি প্রাকৃতিক দৃশ্যকে আরো মনো মুগ্ধকর করে তুলেছে। কখন এই প্রবাদ বাক্যটির মানুষের কাছে নীম তেতো মনে হয়।
চলমান মৌসুমে বন্যা এবং উজানের পানিতে দেশের প্রায় নিন্ম অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাজশাহী তার ব্যাতিক্রম নয়। কিন্ত নদীর নাব্যতা না থাকার কারনে জেলার কিছু এলাকা প্লাবিত হলেও বেশির ভাগ এলাকাই শংঙ্কা মুক্ত। রাজশাহীসহ পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলার ভ্রমণ পিপাসুদের উপচেপড়া ভিড় করছে পদ্মা নদীর তলিবর্তী এলাকায়। দীর্ঘদিনের করোনর প্রার্দুভাবের কারানে বন্ধ ছিল সকল বিনোদন কেন্দ্র।
গত ১৯ আগস্টে খুলে দেয়া হয়েছে জেলার সকল বিনোদন কেন্দ্র, দর্শনীয় স্থান ও আবাসিক হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট। কিন্ত রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা না খোলার কারনে ভ্রমণকারীরা ভিড় করছে পদ্মা নদীর পাড়ে। উজান থেকে আসা ঢলে বেশ কয়েকদিন পদ্মার রাজশাহী পয়েন্টে পানি বাড়ছিল।
বর্তমানে পানি এখন একটু কমতে শুরু করলেও পানি দেখতে ও সেইসাথে নৌকা ভ্রমণে যেতে বিকেলে পদ্মারপাড়ে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। প্রতিনিয়ত নগরীর ফুতকিপাড়া, ফুলতলা, পঞ্চবটি, পাঠানপাড়া, টি-বাঁধ, আই-বাঁধ প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করতে দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এসেছেন।
রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের অবারিত ইচ্ছায় পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। যার কারনে উন্মুক্ত এই পদ্মাপাড়ের বিনোদন স্পটগুলোতে মানুষের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পদ্মাপাড়ে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীর পদ্মাপাড়ের উপচেপড়া ভিড় যেন করোনার শিকল বাধাঁ থেকে মুক্ত হয়ে নীল আকাশে ডানা মেলছে।
প্রিন্ট