ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সম্পত্তি নিয়ে আপন ভাই ভাতিজার অত্যাচারে এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সম্প্রতি ভাতিজাদের হাতুড়ি পেটায় ওই মুক্তিযোদ্ধার দুই সন্তান আহত হয়েছেন। এছাড়া বাড়িঘর ও সীমানার টিনের বেড়াও ভাংচুর করা হয়। জোর করে কেটে নেয় একটি গাছ। এতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
জানা যায়, উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জলিল মোল্যার সাথে তার আপন ভাই বারিক মোল্যার বাড়ির এবং বাড়ির পাশের ভিটের জমিজমা নিয়ে মতবিরোধ আছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা জলিল মোল্যার জায়গার ৫/৬ হাজার টাকার একটি পিথ্বিরাজ গাছ গত ১৯ আগস্ট বারিক মোল্যা ও তার ছেলেরা কেটে নেয় বলে অভিযোগ।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন জলিল মোল্যার বাড়িতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশ বসে। সালিশের এক পর্যায়ে বারিক মোল্যার দুই ছেলে ওবায়দুর মোল্যা ও হেমায়েত মোল্যার নেতৃত্বে ৫/৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা জলিল মোল্যার দুই ছেলের উপর চড়াও হয়।
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা জলিল মোল্যার দুই ছেলে আশিক মোল্যা ও উজ্জ্বল মোল্যাকে হাতুড়ি পেটা করা হয়। আশিক মোল্যা স্থানীয় শাহ জাফর টেকনিক্যাল কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। বাধা দিতে গেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা জলিল মোল্যার মেয়ের (১৮) গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। চলে যাবার সময় বাড়ির সীমানার টিনের বেড়া এবং ঘরের জানালা ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে বারিক মোল্যার ছেলে হেমায়েত মোল্যা বলেন, যে জায়গা থেকে গাছ কাটা হয়েছে ওই খানে ১২ শতাংশ জায়গা আমাদের আছে। আমরা আমাদের নিজেদের গাছ কেটেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা জলিল মোল্যার ছেলে-মেয়েরা বলেন, আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমরা জায়গা জমির সুষ্ঠু সমাধান চাইলেও আমাদের চাচা-চাচাতো ভাইয়েরা চান না। এজন্য তারা কোন সালিশ মানে না। মাঝে মাঝেই গাছ, বাঁশ কেটে নেয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জলিল মোল্যা বলেন, জমিজমা নিয়ে ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। আমি এর সুষ্ঠু সমাধান চাই। মাঝেমধ্যেই ভাইপোরা জোর জুলুম করে আমার সীমানার মধ্যের গাছ কেটে নিয়ে যায়।
প্রিন্ট