ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার সোতাশী গ্রামের মো. জিহাদুল ইসলামকে (২৮) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় গত মঙ্গলবার ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরেরদিন বুধবার ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জিহাদুল সোতাশী গ্রামের মো. আব্দুর রহমান মোল্লার ছেলে। তিনি ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। এক সময় জিহাদ বোয়ালমারী এলাকায় শিবির কর্মী হিসেবে পরিচিত মুখ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবুল হাসান ওরফে শাহেদকে নিয়ে ‘রহিমা সুলতানা’ নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে দীর্ঘদিন ধরে মানহানিকর ও অপপ্রচারমূলক নানা পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল। শাহেদ বোয়ালমারী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমগ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় শাহেদ বাদি হয়ে ডিএমপির কোতয়ালী থানায় চলতি বছরের ২০ জুন একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। এ প্রেক্ষিতে পরে ১৮ জুলাই তিনি একই থানায় এ ব্যাপারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নিয়মিত মামলা করেন।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ডিভিশনের (সিটিটিসি) ঢাকা সিটির সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন একটি দল ওইদিন ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানার নয়ানগর এলাকার ১৭ নম্বর কাজলার বাসা থেকে জিহাদুলকে গ্রেপ্তার করে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) বিচারক মোর্শেদ আলম ভূইয়া বুধবার শুনানি শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামি জিহাদুলের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট মো. আবুল হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কি কারণে এই ছেলেটি আমার ও পরিবারের নামে ফেসবুকে বিভিন্ন বাজে পোষ্ট দিয়ে আসছিলো। আমি কোন উপায় না পেয়ে আইনের আশ্রয় নেই। এখন যে পুলিশি রিমান্ডে আছে। এ ঘটনার জন্য জিহাদের শাস্তি চাই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন দলের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ফেসবুকে ‘রহিমা সুলতানা’ নামের ভুয়া আইডিটি আসামি জিহাদুল নিজেই পরিচালনা করতেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ওই ভুয়া আইডিটি লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় আসামির ব্যক্তিগত ওই মোবাইল ফোন ও একটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
প্রিন্ট