ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo যশোরে সজাগ’র কম্বল বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে মাদক বিরোধী অভিযানে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo হাতিয়ায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন Logo পাংশায় ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিক এ্যাসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা Logo বাংলাদেশ ও ঘানার জন্য আইএইচডিএফ গ্লোবাল মেডিকেল ক্যাম্প ইনিশিয়েটিভ ঘোষণা Logo বোয়ালমারীতে অরক্ষিত রেলক্রসিং ট্রেনের ধাক্কায় নছিমন চালক নিহত Logo হাতিয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় চন্দ্রপাড়া দরবার শরীফে ওরছ অনুষ্ঠিত Logo চার দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর ম্যাটস শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নারীর ঘরে বোনজামাইয়ের প্রবেশকে কেন্দ্র করে ১জন নিহত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সালিশ বৈঠক চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে মোক্তার প্রামাণিক (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। এসময় নিহতের চাচাতো ভাই হোসেন আলী মাস্টার নামের আরও একজন আহত হন।

ঘটনাটি বুধবার (১৮ আগষ্ট) দিবাগত রাত ৯ টার দিকে উপজেলার চর সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর হঠাৎপাড়া তজিরুননেছা জামে মসজিদ এলাকায় ঘটেছে। আহত হোসেন আলী মাস্টারকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা দুজনই হঠাৎপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরের দিকে তজিরুননেছা জামে মসজিদ এলাকার হেলাল উদ্দিনের প্রতিবন্ধী স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন নিহতের বোনজামাই। এ নিয়ে দুপুরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

এরপর সন্ধ্যায় হেলালের বাড়িতে সালিশ বসানো হয়। মোক্তার প্রামাণিক ৮-১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে হাজির হন। কিন্তু অভিযুক্ত বোনজামাই সালিশ বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় হেলালের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। তখন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে মোক্তার প্রামাণিক ও তার চাচাতো ভাই হোসেন আলী মাস্টার গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক মোক্তার প্রামাণিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে আহত হোসেন আলী মাস্টারের ছেলে সাখাওয়াত মুঠোফোনে জানান, আমার চাচাতো ফুফা এক নারীর ঘরে প্রবেশ করেছিলেন। এ নিয়ে সন্ধ্যায় হেলালের বাড়িতে সালিশ বৈঠক চলাকালে আমার ফুফাকে হাজির না করায় ওরা হামলা চালায়। তখন আমার চাচা মোক্তার প্রামাণিক ও বাবা হোসেন আলী মাস্টার ছুরিকাঘাতে আহত হন। দুজনকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক চাচাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাবা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চর সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন জানান, মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠক চলাকালে এ হতাহত হয়েছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সালিশ বৈঠক চলাকালে ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

যশোরে সজাগ’র কম্বল বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

নারীর ঘরে বোনজামাইয়ের প্রবেশকে কেন্দ্র করে ১জন নিহত

আপডেট টাইম : ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সালিশ বৈঠক চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে মোক্তার প্রামাণিক (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। এসময় নিহতের চাচাতো ভাই হোসেন আলী মাস্টার নামের আরও একজন আহত হন।

ঘটনাটি বুধবার (১৮ আগষ্ট) দিবাগত রাত ৯ টার দিকে উপজেলার চর সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর হঠাৎপাড়া তজিরুননেছা জামে মসজিদ এলাকায় ঘটেছে। আহত হোসেন আলী মাস্টারকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা দুজনই হঠাৎপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরের দিকে তজিরুননেছা জামে মসজিদ এলাকার হেলাল উদ্দিনের প্রতিবন্ধী স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন নিহতের বোনজামাই। এ নিয়ে দুপুরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

এরপর সন্ধ্যায় হেলালের বাড়িতে সালিশ বসানো হয়। মোক্তার প্রামাণিক ৮-১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে হাজির হন। কিন্তু অভিযুক্ত বোনজামাই সালিশ বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় হেলালের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। তখন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে মোক্তার প্রামাণিক ও তার চাচাতো ভাই হোসেন আলী মাস্টার গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক মোক্তার প্রামাণিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে আহত হোসেন আলী মাস্টারের ছেলে সাখাওয়াত মুঠোফোনে জানান, আমার চাচাতো ফুফা এক নারীর ঘরে প্রবেশ করেছিলেন। এ নিয়ে সন্ধ্যায় হেলালের বাড়িতে সালিশ বৈঠক চলাকালে আমার ফুফাকে হাজির না করায় ওরা হামলা চালায়। তখন আমার চাচা মোক্তার প্রামাণিক ও বাবা হোসেন আলী মাস্টার ছুরিকাঘাতে আহত হন। দুজনকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক চাচাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাবা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চর সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন জানান, মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠক চলাকালে এ হতাহত হয়েছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সালিশ বৈঠক চলাকালে ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।


প্রিন্ট