কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সালিশ বৈঠক চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে মোক্তার প্রামাণিক (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। এসময় নিহতের চাচাতো ভাই হোসেন আলী মাস্টার নামের আরও একজন আহত হন।
ঘটনাটি বুধবার (১৮ আগষ্ট) দিবাগত রাত ৯ টার দিকে উপজেলার চর সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর হঠাৎপাড়া তজিরুননেছা জামে মসজিদ এলাকায় ঘটেছে। আহত হোসেন আলী মাস্টারকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা দুজনই হঠাৎপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরের দিকে তজিরুননেছা জামে মসজিদ এলাকার হেলাল উদ্দিনের প্রতিবন্ধী স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন নিহতের বোনজামাই। এ নিয়ে দুপুরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
এরপর সন্ধ্যায় হেলালের বাড়িতে সালিশ বসানো হয়। মোক্তার প্রামাণিক ৮-১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে হাজির হন। কিন্তু অভিযুক্ত বোনজামাই সালিশ বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় হেলালের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। তখন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে মোক্তার প্রামাণিক ও তার চাচাতো ভাই হোসেন আলী মাস্টার গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক মোক্তার প্রামাণিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আহত হোসেন আলী মাস্টারের ছেলে সাখাওয়াত মুঠোফোনে জানান, আমার চাচাতো ফুফা এক নারীর ঘরে প্রবেশ করেছিলেন। এ নিয়ে সন্ধ্যায় হেলালের বাড়িতে সালিশ বৈঠক চলাকালে আমার ফুফাকে হাজির না করায় ওরা হামলা চালায়। তখন আমার চাচা মোক্তার প্রামাণিক ও বাবা হোসেন আলী মাস্টার ছুরিকাঘাতে আহত হন। দুজনকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক চাচাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাবা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চর সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন জানান, মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠক চলাকালে এ হতাহত হয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সালিশ বৈঠক চলাকালে ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha