কোভিড-১৯ এ মহামারিতে রোগী শনাক্তের হার কমতে শুরু করেছে ফরিদপুরে। গত দেড় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন শনাক্ত হয়েছে গত কয়েতদিনে। আর এতে আশার মুখ দেখছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে তারা বলছে সরকারে দেওয়া স্বাস্থ্য বিধি আরো বেশি করে মেনে চললে ভাল রেজাল্ট পাওয়া যাবে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন করোনা শনাক্ত এবং ৪জন উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও একই সময়ে পিসিআর ল্যাবে ২১৫ নমূনা পরীক্ষার মধ্যে করোনা পজেটিভ হয়েছে ৫০ জন। যা শতকরা হার বিবেচনায় ২৩.২৫। যা গত কাল ছিল ২৫.৯৭ শতাংশ।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত দেড় মাসে মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমূনা পরীক্ষার গড় শনাক্ত ছিল ৪২ থেকে ৪৭ শতাংশের মধ্যে। গত ১৩, ১৪ ও ১৫ আগষ্ট নমূনা পরীক্ষার গড় শনাক্ত হয়েছে ২৫ শতাংশের মতো । এছাড়াও মৃত্যুও হারও কমেছে গত কয়েক দিনেও।
তিনি বলেন, আগের তুলনায় মানুষ স্বাস্থ্য বিধি মানার প্রবণতা বেড়েছে। যে কারনে আমরা হয়তো ভালর দিকে যাচ্ছি। তবে এটাকে ধরে রাখতে স্বাস্থ্য বিধি মানার বিকল্প নেই।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান জানান, জুলাই পুরো মাস এবং আগষ্টে প্রথম সপ্তাহ রোগীর চাপ অনেক বেশি ছিল। ৫১৬ বেড়ের এই হাসপাতালে ৪৭০ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়ে ছিল । সেখানে আজ ভর্তি রোগী সংখ্যা দাড়িয়েছে ২২৯ এ । এর মধ্যে করোন পজেটিভের সংখ্যা রয়েছে ১৭৩ ।
তিনি বলেন, কোভিড রোগীর কমতে থাকায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই হাসপাতালে সাধারন রোগীদেরও চিকিৎসার দেওয়ার।
এই প্রসঙ্গে ফরিদপুরে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, লক ডাউন বা কঠোর লকডাউনের সময়ে আমরা জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়নে পর্যায়ের করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের নিয়ে যৌথভাবে সকাল থেকে রাত অবদি কাজ করেছি। এসময় মানুষদে করোনার ভয়াবহতা বিষয়ে বোঝাতে চেষ্টা করেছি। তবে আগের তুলনায় এখন মানুষের স্বাস্থ্য বিধি মানার প্রবণতা বেড়েছে। এটাকে আমরা ধরে রাখতে পারলে হয়তো প্রত্যাশিত জায়গায় পৌছতে পারবো। আর এ জন্য সকলের সহযোগিতা খুব প্রয়োজন।
প্রিন্ট