ইসমাইল হােসেন বাবুঃ
নাটোরে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মোট সাত ৭ জন নিহত হয়েছে । কুষ্টিয়া জেলা দৌলতপুর উপজেলার অন্তর্গত ধর্মদহ গ্রামের একই পরিবারের ৫জন নিহত হয়।
উল্লেখ্য,নাটোরে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের ছয় যাত্রী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলে পাঁচজন এবং গুরুতর আহত দুজনকে বড়াইগ্রাম উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। আহত অন্য ব্যক্তিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী ব্রিজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর রহমান নামের একজন বলেন, মাইক্রোবাসটি অন্য একটি গাড়িকে অতিক্রম করছিল। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজন নারী ও দুজন পুরুষ।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সকালে কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে একটি মাইক্রোবাস ঢাকা যাচ্ছিল। পথে বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীরামপুর তরমুজ ফিলিং স্টেশনের কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বিকট শব্দ হয় এবং মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই চার নারী ও এক পুরুষ নিহত হন। এতে আহত হন তিনজন। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়। আহত দুজনকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কজনক বলে জানা গেছে। তবে নিহত ও আহতদের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান,নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর এলাকার রফেজ উদ্দিনের স্ত্রী ইতি খাতুন (৪৩) একই থানার ধর্মদহ এলাকার মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৬৫), মৃত জাহিদুলের স্ত্রী শেলি বেগম (৬০), মোহাম্মদ মোল্লার স্ত্রী আন্জুমান (৭৫), আন্না বেগম (৬০) এবং মেহেরপুর জেলার গাংনি উপজেলার বাসিন্দা মাইক্রোবাসের চালক রুবেল হোসেন (৩২)।
দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর গ্রামের আসলাম উদ্দীন জানান, নিহতরা রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এক স্বজনকে আনতে গিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন।
প্রিন্ট