রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার যশাই ইউপির চর লক্ষèীপুর গ্রামে হাফিজা খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
জানা যায়, চর লক্ষèীপুর গ্রামের সাবু প্রামানিকের স্ত্রী হাফিজা খাতুন শনিবার দিবাগত গভীর রাতে মারা যায়। স্বামী সাবু প্রামানিক রাতেই হাবাসপুর ইউপির কাচারীপাড়া গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে স্ত্রী হাফিজা খাতুন গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মোবাইল ফোনে খবর দেয়।
রবিবার ৮ আগস্ট সকালে স্থানীয় লোকজন ও হাফিজার ভাইসহ আত্মীয়-স্বজন চর লক্ষীপুর গ্রামের সাবু প্রামানিকের বসতঘরের বারান্দায় গলায় আঘাতের চিহ্ন ও দু’পা গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় হাফিজার মৃতদেহ দেখে তাদের সন্দেহ হয়।
খবর পেয়ে পাংশা মডেল থানার এসআই নবীন কুমার বিশ্বাসসহ সঙ্গীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের সুরতহাল প্রস্তুত করে পোস্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহ রাজবাড়ী মর্গে প্রেরণ করে। রবিবার সকাল থেকে সাবু প্রামানিক ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। ফলে ঘটনার নেপথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ২০১৭ সালে সাবু প্রামানিকের সাথে হাফিজার বিয়ে হয়। সাদিয়া নামের ২ বছর বয়সের ১টি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে হাফিজাকে তার স্বামী সাবু প্রামানিক প্রায়ই মারধরসহ নির্যাতন করতো।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, ঘটনার বিষয়ে তথ্যানুসন্ধ্যান চলছে।
প্রিন্ট