ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে টিকা কেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতি ব্যাপক

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে গণহারে টিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ১২টি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থায়ী কেন্দ্র ছাড়াও পৌরসভা কার্যলয়সহ ১০টি ইউনিয়নে দশটি অস্থায়ী কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলবে বিকেল পর্যন্ত। প্রতিটি কেন্দ্র তিনটি বুথে ৬০০জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

তবে পৌরসভা কার্যালয় কেন্দ্রে মানুষের ভীড় বেশি থাকায় ৬০০ টিকা শেষ হলে এখানে আরো ৪০০টিকা দেওয়া হয়েছে। পৌরসভা কেন্দ্রে মোট এক হাজার টিকা দেওয়া হয়েছে। বোয়ালমারীতে রান টেস্ট হিসাবে আজ শনিবার মোট ৭ হাজার টিকা দেওয়ার লক্ষমাত্রা রয়েছে।

বোয়ালমারী পৌরসভা কার্যালয়ে সকাল ৯টায় গণটিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মো. সেলিম রেজা লিপন মিয়া।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খালেদুর রহমান, প্যানেল মেয়র মো. মমিন খান, কাউন্সিলর হোসনেয়ারা হেনা, শেখ আজিজুল হক, কাউন্সিলর বিপ্লব মিয়া, সামাদ খান, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। এদিকে বোয়ালমারী উপজেলার প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের মাঝে মাক্স বিতরণ করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোর্তুজা তমাল, সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকীসহ নেতৃৃবৃন্দ। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এসব টিকা কেন্দ্রে কাজ করছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ।

বোয়ালমারী পৌরসভা কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা উপজেলার ময়না গ্রামের কানিজ ফাতেমা শেখ হাসিনা সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থসেবায় সফল। টিকা নেওয়ার পর থেকে আমি সুরক্ষা পাবো। একইসাথে আমার পরিবারও সুরক্ষিত থাকবে। অপর টিকাগ্রহণকারী দক্ষিণ কামারগ্রামের বিশ্বনাথ অধিকারী বলেন, টিকা নিয়ে আমার ভালো লাগছে।

শনিবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ৬ দিনের ক্যাম্পেইনের কথা থকলেও আপাতত একদিন (৭ আগস্ট) ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সাতদিন বন্ধ থাকার পর আবার ১৪ আগস্ট থেকে গণহারে টিকা কার্যক্রম ক্যাম্পেইন চালু হবে। তবে স্বাস্থ্য কম চলমান টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে টিকা কেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতি ব্যাপক

আপডেট টাইম : ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: :

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে গণহারে টিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ১২টি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থায়ী কেন্দ্র ছাড়াও পৌরসভা কার্যলয়সহ ১০টি ইউনিয়নে দশটি অস্থায়ী কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলবে বিকেল পর্যন্ত। প্রতিটি কেন্দ্র তিনটি বুথে ৬০০জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

তবে পৌরসভা কার্যালয় কেন্দ্রে মানুষের ভীড় বেশি থাকায় ৬০০ টিকা শেষ হলে এখানে আরো ৪০০টিকা দেওয়া হয়েছে। পৌরসভা কেন্দ্রে মোট এক হাজার টিকা দেওয়া হয়েছে। বোয়ালমারীতে রান টেস্ট হিসাবে আজ শনিবার মোট ৭ হাজার টিকা দেওয়ার লক্ষমাত্রা রয়েছে।

বোয়ালমারী পৌরসভা কার্যালয়ে সকাল ৯টায় গণটিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মো. সেলিম রেজা লিপন মিয়া।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খালেদুর রহমান, প্যানেল মেয়র মো. মমিন খান, কাউন্সিলর হোসনেয়ারা হেনা, শেখ আজিজুল হক, কাউন্সিলর বিপ্লব মিয়া, সামাদ খান, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। এদিকে বোয়ালমারী উপজেলার প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের মাঝে মাক্স বিতরণ করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোর্তুজা তমাল, সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকীসহ নেতৃৃবৃন্দ। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এসব টিকা কেন্দ্রে কাজ করছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ।

বোয়ালমারী পৌরসভা কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা উপজেলার ময়না গ্রামের কানিজ ফাতেমা শেখ হাসিনা সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থসেবায় সফল। টিকা নেওয়ার পর থেকে আমি সুরক্ষা পাবো। একইসাথে আমার পরিবারও সুরক্ষিত থাকবে। অপর টিকাগ্রহণকারী দক্ষিণ কামারগ্রামের বিশ্বনাথ অধিকারী বলেন, টিকা নিয়ে আমার ভালো লাগছে।

শনিবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ৬ দিনের ক্যাম্পেইনের কথা থকলেও আপাতত একদিন (৭ আগস্ট) ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সাতদিন বন্ধ থাকার পর আবার ১৪ আগস্ট থেকে গণহারে টিকা কার্যক্রম ক্যাম্পেইন চালু হবে। তবে স্বাস্থ্য কম চলমান টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

 


প্রিন্ট