ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ডাবলিনে গ্রেটার মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ডের বার্ষিক সভা Logo নোয়াখালী চাটখিলে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীকে হত্যার হুমকি Logo খোকসায় ১ম হওয়া শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ও সকল এ+ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী’র ৪ শত কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক Logo বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা Logo পাংশা সরকারী কলেজে জুলাই শহিদ দিবস পালিত Logo যশোরের কেশবপুরে সমাজসেবক বদরুন্নাহার রেশমা চিরনিদ্রায় শায়িত Logo ‘জুলাই শহীদ দিবস–২৫’ উপলক্ষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কুষ্টিয়া চাঁদা তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সাজানো মামলায় পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ, তদন্তে সিআইডি

রনি আহমেদ রাজুঃ

 

মাগুরাতে মিথ্যা মামলায় আটক করে পুলিশি নির্যাতন ও দীর্ঘ ১৬৮ দিন বিনাবিচারে কারাবন্দি রাখার অভিযোগে মাগুরার তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি), ইউএনও, ওসি সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতা ফয়সাল রুমন।
মামলাটি গত ৩০ জুন মাগুরা সদর আমলি আদালতে দায়ের করা হলে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম তা আমলে নিয়ে ১ জুলাই (মঙ্গলবার) তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

 

বাদী ফয়সাল রুমনের দাবি, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘কটাক্ষ’ করা ছবি ফেসবুকে পোস্টের অভিযোগ এনে তাকে আটক করা হয়। ১৮ আগস্ট তৎকালীন ইউএনও আবু সুফিয়ান তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পরবর্তীতে পুলিশ হেফাজতে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়, যার ফলে তার স্পাইনাল কর্ড এবং মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরদিন তার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে ১৬৮ দিন বিনাবিচারে কারাবন্দি রাখা হয়।
রুমনের অভিযোগ, এই ঘটনার ফলে তিনি স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যান এবং সরকারি চাকরির সুযোগ হারান। তিনি এই ঘটনার জন্য ৫০ কোটি টাকার মানহানি দাবি করেছেন।

 

বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী মিনহাজ উদ্দিন জানান, একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফয়সাল রুমনের জীবন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তৎকালীন পুলিশ সুপার খান মোঃ রেজোয়ান, সদর ইউএনও আবু সুফিয়ান, সদর থানার ওসি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, এসআই আল এমরান, এসআই বিশ্বজিত, কনস্টেবল পার্থ রায়, জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মীর মেহেদী হাসান রুবেল, আওয়ামী লীগ কর্মী মুরাদুজ্জামান মুরাদের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচার চাওয়া হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাবলিনে গ্রেটার মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ডের বার্ষিক সভা

error: Content is protected !!

সাজানো মামলায় পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ, তদন্তে সিআইডি

আপডেট টাইম : ০১:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
রনি আহমেদ রাজু, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :

রনি আহমেদ রাজুঃ

 

মাগুরাতে মিথ্যা মামলায় আটক করে পুলিশি নির্যাতন ও দীর্ঘ ১৬৮ দিন বিনাবিচারে কারাবন্দি রাখার অভিযোগে মাগুরার তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি), ইউএনও, ওসি সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতা ফয়সাল রুমন।
মামলাটি গত ৩০ জুন মাগুরা সদর আমলি আদালতে দায়ের করা হলে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম তা আমলে নিয়ে ১ জুলাই (মঙ্গলবার) তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

 

বাদী ফয়সাল রুমনের দাবি, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘কটাক্ষ’ করা ছবি ফেসবুকে পোস্টের অভিযোগ এনে তাকে আটক করা হয়। ১৮ আগস্ট তৎকালীন ইউএনও আবু সুফিয়ান তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পরবর্তীতে পুলিশ হেফাজতে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়, যার ফলে তার স্পাইনাল কর্ড এবং মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরদিন তার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে ১৬৮ দিন বিনাবিচারে কারাবন্দি রাখা হয়।
রুমনের অভিযোগ, এই ঘটনার ফলে তিনি স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যান এবং সরকারি চাকরির সুযোগ হারান। তিনি এই ঘটনার জন্য ৫০ কোটি টাকার মানহানি দাবি করেছেন।

 

বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী মিনহাজ উদ্দিন জানান, একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফয়সাল রুমনের জীবন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তৎকালীন পুলিশ সুপার খান মোঃ রেজোয়ান, সদর ইউএনও আবু সুফিয়ান, সদর থানার ওসি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, এসআই আল এমরান, এসআই বিশ্বজিত, কনস্টেবল পার্থ রায়, জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মীর মেহেদী হাসান রুবেল, আওয়ামী লীগ কর্মী মুরাদুজ্জামান মুরাদের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচার চাওয়া হয়েছে।


প্রিন্ট