ঢাকা , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ইবি শিক্ষককে চাকরিচ্যুত Logo বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ও পণ্য খালাস শুরু Logo দৌলতপুরে আইনশৃখলা বিষয়ক মতবিনিময় Logo ফরিদপুরে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জন্য স্থানীয় সমাধান এবং পরিষেবা তৈরী শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo সদরপুরে পুলিশের অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেপ্তার ১৩ Logo সালথায় পূর্ব বিরোধে প্রতিপক্ষের বাগানের গাছ ও ক্ষেতের পাট কেটে নেওয়ার অভিযোগ Logo কাশিয়ানীতে ভুয়া সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে বিয়ে, যুবক আটক Logo ফরিদপুরে ১০ বছরের মানসিক ভারসাম্যহীন শিশুকণ্যা ধর্ষণের শিকার, দুইজন গ্রেফতার Logo গোমস্তাপুরে কৃষি দপ্তরের পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত Logo জলবায়ু সংকটে বাস্তুহারা বাড়ছে, সমাধান খুঁজতে রাজশাহীতে কর্মশালা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ইস্রাফিল হােসেন ইমনঃ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে আবারও  ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিগত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, ১২ মাইল টিকটিকিপাড়া ও মসলেমপুরের প্রায় ৫ কি:মি: এলাকায় এই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনে হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ পদ্মা নদী রক্ষা পাউবোর বেড়িবাঁধ। আতঙ্ক আর ঝুঁকিতে রয়েছে তিন গ্রামের প্রায় আট হাজার মানুষ।

রবিবার (২৯ জুন) বেলা ১২ টায় নদী ভাঙ্গনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মুন্সিপাড়ার বাসিন্দারা মানববন্ধন করেছে। এসময় তারা তাদের পৈতৃক ভিটা রক্ষার্থে  উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। এ লক্ষ্যে তারা  আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার আহবান জানান।

বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা গিয়াস মুন্সি বলেন, আমাদের জানামতে এই পদ্মা নদীতেই কয়েক হাজার একর ফসলি জমি বিলীন হয়েছে।গত সপ্তাহ থেকে পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। এই ভাঙ্গনেও একরের পর একর কৃষি জমি বিলীন হয়েছে। বাহিরচর ইউনিয়নের  মুন্সিপাড়া, ১২ মাইল টিকটিকিপাড়া ও মসলেমপুরের এই তিন গ্রামের প্রায় ৫কি:মি: এলাকায় এই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাঙ্গন স্থান থেকে পদ্মা নদী রক্ষা বেড়িবাঁধের  দৈর্ঘ্য মাত্র ৪০ মিটার। ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে ৩ গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষ।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী আনোয়ার আলী বলেন, বসতভিটা বাদে অনেকেই সব হারিয়ে ফেলেছে। তাই প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে জোর দাবি, বিভিন্ন নিয়ম-নীতির বেড়াজালে না থেকে,  দ্রুত ভাঙ্গন রোদে ব্যবস্থা নিন।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীও আমাদের কাছে একটি আবেদন দিয়েছে। সেটি পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর পাঠানো হয়েছে। তাদের সাথে কথা বলেছি, দ্রুতই তারা ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা আমাদের টিম পরিদর্শন করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছি। তারা বরাদ্দ দিলেই কেবলমাত্র আমরা কাজ শুরু করতে পারব।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবি শিক্ষককে চাকরিচ্যুত

error: Content is protected !!

ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

আপডেট টাইম : ২৩ ঘন্টা আগে
ইস্রাফিল হোসেন ইমন, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

ইস্রাফিল হােসেন ইমনঃ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে আবারও  ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিগত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, ১২ মাইল টিকটিকিপাড়া ও মসলেমপুরের প্রায় ৫ কি:মি: এলাকায় এই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনে হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ পদ্মা নদী রক্ষা পাউবোর বেড়িবাঁধ। আতঙ্ক আর ঝুঁকিতে রয়েছে তিন গ্রামের প্রায় আট হাজার মানুষ।

রবিবার (২৯ জুন) বেলা ১২ টায় নদী ভাঙ্গনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মুন্সিপাড়ার বাসিন্দারা মানববন্ধন করেছে। এসময় তারা তাদের পৈতৃক ভিটা রক্ষার্থে  উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। এ লক্ষ্যে তারা  আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার আহবান জানান।

বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা গিয়াস মুন্সি বলেন, আমাদের জানামতে এই পদ্মা নদীতেই কয়েক হাজার একর ফসলি জমি বিলীন হয়েছে।গত সপ্তাহ থেকে পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। এই ভাঙ্গনেও একরের পর একর কৃষি জমি বিলীন হয়েছে। বাহিরচর ইউনিয়নের  মুন্সিপাড়া, ১২ মাইল টিকটিকিপাড়া ও মসলেমপুরের এই তিন গ্রামের প্রায় ৫কি:মি: এলাকায় এই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাঙ্গন স্থান থেকে পদ্মা নদী রক্ষা বেড়িবাঁধের  দৈর্ঘ্য মাত্র ৪০ মিটার। ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে ৩ গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষ।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী আনোয়ার আলী বলেন, বসতভিটা বাদে অনেকেই সব হারিয়ে ফেলেছে। তাই প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে জোর দাবি, বিভিন্ন নিয়ম-নীতির বেড়াজালে না থেকে,  দ্রুত ভাঙ্গন রোদে ব্যবস্থা নিন।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীও আমাদের কাছে একটি আবেদন দিয়েছে। সেটি পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর পাঠানো হয়েছে। তাদের সাথে কথা বলেছি, দ্রুতই তারা ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা আমাদের টিম পরিদর্শন করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছি। তারা বরাদ্দ দিলেই কেবলমাত্র আমরা কাজ শুরু করতে পারব।


প্রিন্ট