ইস্রাফিল হােসেন ইমনঃ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে আবারও ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিগত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, ১২ মাইল টিকটিকিপাড়া ও মসলেমপুরের প্রায় ৫ কি:মি: এলাকায় এই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনে হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ পদ্মা নদী রক্ষা পাউবোর বেড়িবাঁধ। আতঙ্ক আর ঝুঁকিতে রয়েছে তিন গ্রামের প্রায় আট হাজার মানুষ।
–
রবিবার (২৯ জুন) বেলা ১২ টায় নদী ভাঙ্গনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মুন্সিপাড়ার বাসিন্দারা মানববন্ধন করেছে। এসময় তারা তাদের পৈতৃক ভিটা রক্ষার্থে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। এ লক্ষ্যে তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার আহবান জানান।
–
বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা গিয়াস মুন্সি বলেন, আমাদের জানামতে এই পদ্মা নদীতেই কয়েক হাজার একর ফসলি জমি বিলীন হয়েছে।গত সপ্তাহ থেকে পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। এই ভাঙ্গনেও একরের পর একর কৃষি জমি বিলীন হয়েছে। বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, ১২ মাইল টিকটিকিপাড়া ও মসলেমপুরের এই তিন গ্রামের প্রায় ৫কি:মি: এলাকায় এই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাঙ্গন স্থান থেকে পদ্মা নদী রক্ষা বেড়িবাঁধের দৈর্ঘ্য মাত্র ৪০ মিটার। ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে ৩ গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষ।
–
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী আনোয়ার আলী বলেন, বসতভিটা বাদে অনেকেই সব হারিয়ে ফেলেছে। তাই প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে জোর দাবি, বিভিন্ন নিয়ম-নীতির বেড়াজালে না থেকে, দ্রুত ভাঙ্গন রোদে ব্যবস্থা নিন।
–
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীও আমাদের কাছে একটি আবেদন দিয়েছে। সেটি পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর পাঠানো হয়েছে। তাদের সাথে কথা বলেছি, দ্রুতই তারা ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
–
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা আমাদের টিম পরিদর্শন করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছি। তারা বরাদ্দ দিলেই কেবলমাত্র আমরা কাজ শুরু করতে পারব।
প্রিন্ট