ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় পূর্ব বিরোধে প্রতিপক্ষের বাগানের গাছ ও ক্ষেতের পাট কেটে নেওয়ার অভিযোগ

আজিজুর রহমানঃ

ফরিদপুরের সালথায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বাগানের গাছ ও ক্ষেতের পাট কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের নারানদিয়া গ্রামে।পৃথক দুটি সময়ে এই ঘটনা ঘটায় প্রতিপক্ষের লোকজন। গত ৪ জুন বাগানের সকল গাছ কেটে নিয়ে যায়। এঘটনায় কোন বাধা না পাওয়া এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় ২৮ জুন ৭৯ শতাংশ জমির পাট কেটে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে, অভিযক্তরা আত্নগোপনে থেকেও বাদী পক্ষকে হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নারানদিয়া ৮৮ নং মৌজার ৩৫৬ নং দাগের ৪২ শতাংশ জমির উপর বাগানের প্রায় ৫ লক্ষ্যাধিক টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন।

অপরদিকে একই মৌজার ৫৪৯,৫৫০ এই দাগের ৬৯ জমির পাট কেটে নিয়ে যায় দিনের বেলায় প্রকাশ্যে।
অভিযোগে মামলার বাদী শেফালী বেগম জানান, আমার স্বামী প্রবাসে থাকায় আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন এ সুযোগ টা কে কাজে লাগিয়ে তারা দখল করার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, প্রতিবেশি ও পরস্পর আত্মীয় মো, ওমর আলী সর্দার বহিরাগত কিছু লোকজনের সহায়তায় এই গাছ ও ক্ষেতের পাট কেটে নিয়ে যায়। আমি মহিলা মানুষ ভয়ে এগিয়ে যাইনি গেলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল।

ওমর আলী সর্দারের সহযোগীরা হল, লক্ষনদিয়া গ্রামের ফেলু মাতুব্বরের ছেলে বিলায়েত মাতুব্বর, চরকামদিয়া গ্রামের সুলতান সর্দারের ছেলে রোকমান সর্দার, নারানদিয়া গ্রামে সেকেন সর্দারের ছেলে সোহাগ সর্দার, একই গ্রামের সোবহান সর্দারের ছেলে রিপন, ও মহল্লাল সর্দার, চান্দাখোলা গ্রামের সুনতেল স্ত্রী রেশমা বেগম সহ ২০থেকে ২৫ জনের একটি বাহীনি এনে এই তান্ডব চালিয়ে চলে যায়।

পরে আমি থানায় গিয়ে এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।এখন পর্যন্ত কোন আসামী ধরেনি পুলিশ।
অথচ বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আমাদের কে হুমকি ধমকি দিচ্ছে।অভিযুক্ত ওমর আলী সর্দার বলেন, আমি কারো জমি দখল করি নাই, অথচ ওরা আমার জমি দখল করে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছে।
এসব জমির দলিল আমার আছে। আমার জমিতে আমি গেছি।

সালথায় থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মানলা দায়ের হয়েছে, আমরা আসামীদের ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

সালথায় পূর্ব বিরোধে প্রতিপক্ষের বাগানের গাছ ও ক্ষেতের পাট কেটে নেওয়ার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ৯ ঘন্টা আগে
এফ. এম আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

আজিজুর রহমানঃ

ফরিদপুরের সালথায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বাগানের গাছ ও ক্ষেতের পাট কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের নারানদিয়া গ্রামে।পৃথক দুটি সময়ে এই ঘটনা ঘটায় প্রতিপক্ষের লোকজন। গত ৪ জুন বাগানের সকল গাছ কেটে নিয়ে যায়। এঘটনায় কোন বাধা না পাওয়া এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় ২৮ জুন ৭৯ শতাংশ জমির পাট কেটে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে, অভিযক্তরা আত্নগোপনে থেকেও বাদী পক্ষকে হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নারানদিয়া ৮৮ নং মৌজার ৩৫৬ নং দাগের ৪২ শতাংশ জমির উপর বাগানের প্রায় ৫ লক্ষ্যাধিক টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন।

অপরদিকে একই মৌজার ৫৪৯,৫৫০ এই দাগের ৬৯ জমির পাট কেটে নিয়ে যায় দিনের বেলায় প্রকাশ্যে।
অভিযোগে মামলার বাদী শেফালী বেগম জানান, আমার স্বামী প্রবাসে থাকায় আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন এ সুযোগ টা কে কাজে লাগিয়ে তারা দখল করার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, প্রতিবেশি ও পরস্পর আত্মীয় মো, ওমর আলী সর্দার বহিরাগত কিছু লোকজনের সহায়তায় এই গাছ ও ক্ষেতের পাট কেটে নিয়ে যায়। আমি মহিলা মানুষ ভয়ে এগিয়ে যাইনি গেলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল।

ওমর আলী সর্দারের সহযোগীরা হল, লক্ষনদিয়া গ্রামের ফেলু মাতুব্বরের ছেলে বিলায়েত মাতুব্বর, চরকামদিয়া গ্রামের সুলতান সর্দারের ছেলে রোকমান সর্দার, নারানদিয়া গ্রামে সেকেন সর্দারের ছেলে সোহাগ সর্দার, একই গ্রামের সোবহান সর্দারের ছেলে রিপন, ও মহল্লাল সর্দার, চান্দাখোলা গ্রামের সুনতেল স্ত্রী রেশমা বেগম সহ ২০থেকে ২৫ জনের একটি বাহীনি এনে এই তান্ডব চালিয়ে চলে যায়।

পরে আমি থানায় গিয়ে এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।এখন পর্যন্ত কোন আসামী ধরেনি পুলিশ।
অথচ বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আমাদের কে হুমকি ধমকি দিচ্ছে।অভিযুক্ত ওমর আলী সর্দার বলেন, আমি কারো জমি দখল করি নাই, অথচ ওরা আমার জমি দখল করে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছে।
এসব জমির দলিল আমার আছে। আমার জমিতে আমি গেছি।

সালথায় থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মানলা দায়ের হয়েছে, আমরা আসামীদের ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।


প্রিন্ট