সাহিদা পারভীনঃ
ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করে রাজবাড়ীর কালুখালীতে এক মুসলিম বধুকে বিবাহ দিয়েছে এক প্রতারক মা। বিবাহটি Ligal Spearation এর জন্য বর পলাশ বিশ্বাস রাজবাড়ীর পাংশা পারিবারিক জর্জ আদালতে মামলা দায়ের করেছে। পলাশ বিশ্বাস কালুখালীর রতনদিয়া গ্রামের সুভাষ বিশ্বাসের পুত্র।
–
তথ্যগোপন করে তার সাথে বিবাহ দেওয়া বধুর নাম মাইশা ইসলাম।সে কুষ্টিয়া পৌরসভার মিলপাড়া দোস্ত মোহাম্মদ লেন এলাকার মোহাম্মদ কানুর পুত্র রবিনের স্ত্রী। গত ৩/৩/২০২২ সালে সে হিন্দু ধর্মত্যাগ ও তৃষা রায় নাম ত্যাগ করে। পরক্ষনই মাইশা ইসলাম নাম গ্রহন করে মুসলিম শরীয়া আইনে রবিনকে বিবাহ করেন। তৃষার বাবার নাম সঞ্জয় বিশ্বাস ও মায়ের নাম শিল্পী রানী। তারা কুষ্টিয়ার হরিশংকরপুর এলাকার বাসিন্দা।
–
বিয়ের পর মাইশা ওরফে তৃষার মা বাবা মেনেও নেয় সব কিছু। এরই মাঝে মা শিল্পিরানী মেয়েকে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ীতে নিয়ে আসে। এ থেকেই শুরু হয় অশুভ চক্রান্তের অভিনব খেলা।
–
গত ৬/৩/২০২২ ইং তারিখে শিল্পী রানী মুসলিম জামাতা রবিনকে আসামী করে কুষ্টিয়া আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি মেয়ের ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর রবিনের সাথে বিয়ে ও মাইশা ইসলাম নাম গ্রহনের কথা গোপন করেন। তিনি মেয়ের পূর্ব নাম তৃষা রায় উল্লেখ করেন। এই মামলা চলাকালীন সময় তিনি মাইশাকে তৃষা পরিচয়ে অন্যত্র বিবাহ দেওয়ার জন্য হিন্দু পাত্র খুজতে থাকে।
–
তিনি গত ৩/৮/২০২২ ইং ধর্মান্তির মাইশাকে তৃষা পরিচয়ে বিবাহ দেন কালুখালীর রতনদিয়া গ্রামের সুভাষ বিশ্বাসের পুত্র পলাশ বিশ্বাসের সাথে। ঘটনাটি বেশিদিন চাপা থাকে না। একপর্যায়ে সব জানাজানি হয়ে যায়। এরই মধ্যে পলাশের বাড়ী থেকে পিতৃলয়ে পালিয়ে যায় তৃষা ওরফে মাইশা।
–
এ ঘটনার পর গত ২৫/৩/২০২৫ ইং পলাশ তৃষা রায়কে পরিত্যাগের জন্য রাজবাড়ীর পাংশা পারিবারিক জর্জ আদালতে Legal Separation মামলা দায়ের করে ।
–
মামলা দায়েরের কথা শুনে গত ৭/৫/২০২৫ ইং তৃষার মা শিল্পী রানীও কুষ্টিয়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পলাশের নামে মামলা দায়ের করেছে।
–
একই মেয়ের ২ ধর্ম,২ নাম ও ২ স্বামী সংক্রান্ত এ মামলায় দিশেহারা হয়ে পরেছে দুই পরিবার। দুই পরিবারের একই প্রশ্ন মাইশা নামের তৃষা কার বধু, কি তার ধর্ম?
প্রিন্ট