মানিক কুমার দাসঃ
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুহারা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
এ বছরই নতুন করে প্রায় ২৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়াও এক কোটি ৯০ লাখ মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ভয়াবহ সংকট মোকাবিলায় স্থানীয় পর্যায়ে কী করণীয়, তা ঠিক করতে ফরিদপুরে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল ১০ টায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায়
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) আয়োজনে এবং স্থানীয় সংস্থা রামরু সহযোগিতায়
‘বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জন্য স্থানীয় পর্যায়ের সমাধান এবং পরিষেবা তৈরি করা’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হয়ে।
–
এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সোহরাব হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, তবে এর স্থানীয় প্রভাব অনেক বেশি। এই সংকট উত্তরণে সরকারি-
বেসরকারি সকল সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষা ও পুনর্বাসনে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই।
–
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুস্মিতা সাহা,ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমএ সামাদ, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আলী আহসান,(আই ও এম) এর প্রজেক্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট মো: মেহেদি হাসান,রামরু উন্নয়ন সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ আফজাল হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার রায়হানা রহমান, এফডিএর উপদেষ্টা মোঃ আজহারুল ইসলাম, এফডিএর পরিচালক মোঃ ছাহের ইসলাম,ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আল মামুন, ব্লাস্টের সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী সহ এই কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন এনজিও ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
–
মুক্ত আলোচনা অতিথিবৃন্দ বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বাস্তুচ্যুতি এখন আর ভবিষ্যতের কোনো আশঙ্কা নয়, এটি বর্তমানের কঠিন বাস্তবতা। এই সংকট কেবল আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ বা ত্রাণ বিতরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের প্রয়োজন একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি, যেখানে বাস্তুচ্যুতি প্রতিরোধের পাশাপাশি বাস্তুচ্যুতদের সুরক্ষা, অধিকার এবং দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে কার্যকর সমাধান বয়ে আনতে।
প্রিন্ট