ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ডাবলিনে গ্রেটার মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ডের বার্ষিক সভা Logo নোয়াখালী চাটখিলে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীকে হত্যার হুমকি Logo খোকসায় ১ম হওয়া শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ও সকল এ+ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী’র ৪ শত কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক Logo বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা Logo পাংশা সরকারী কলেজে জুলাই শহিদ দিবস পালিত Logo যশোরের কেশবপুরে সমাজসেবক বদরুন্নাহার রেশমা চিরনিদ্রায় শায়িত Logo ‘জুলাই শহীদ দিবস–২৫’ উপলক্ষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কুষ্টিয়া চাঁদা তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভূরুঙ্গামারীতে সেনাবাহিনীর অভিযানে ইজারাদার শাহীন শিকদার আটক

আরিফুল ইসলাম জয়ঃ

 

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী হাট-বাজারের ১৪৩২ বাংলা সনের ইজারাদার আলহাজ্ব ফরিদুল হক শাহীন শিকদারকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে আটক করেছে সেনাবাহিনী। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাটে সরেজমিনে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনীর একটি দায়িত্বশীল সূত্র।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাট সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজারে দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছিল। সেনাবাহিনী বাজারে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে অতিরিক্ত খাজনার প্রমাণ পাওয়ায় ইজারাদার শাহীন শিকদারকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে নিজেদের হেফাজতে নেয়।

আটক ফরিদুল হক শাহীন শিকদার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তার বিতর্কিত অধ্যায় রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফখরুদ্দিন আহমদের শাসনামলে তিনি যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হন।

পরে, ফ্যাসিস্ট সরকার থাকাকালীন সময়ে বিএনপির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তখন থেকেই তিনি দলীয় রাজনীতি থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন।

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, “আটককৃত শাহীন শিকদারকে এখনো থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পুলিশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি বা মন্তব্য করার সুযোগ নেই।”

নিউজ লেখা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক কোনো ব্রিফিং দেওয়া হয়নি। তবে এ ঘটনায় হাটজুড়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় অনেকেই মনে করছেন, ইজারার নামে অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও হয়রানি দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল, যা নিয়ে বহু অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ছিল সীমিত।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাবলিনে গ্রেটার মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ডের বার্ষিক সভা

error: Content is protected !!

ভূরুঙ্গামারীতে সেনাবাহিনীর অভিযানে ইজারাদার শাহীন শিকদার আটক

আপডেট টাইম : ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
আরিফুল ইসলাম জয়, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

আরিফুল ইসলাম জয়ঃ

 

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী হাট-বাজারের ১৪৩২ বাংলা সনের ইজারাদার আলহাজ্ব ফরিদুল হক শাহীন শিকদারকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে আটক করেছে সেনাবাহিনী। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাটে সরেজমিনে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনীর একটি দায়িত্বশীল সূত্র।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাট সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজারে দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছিল। সেনাবাহিনী বাজারে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে অতিরিক্ত খাজনার প্রমাণ পাওয়ায় ইজারাদার শাহীন শিকদারকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে নিজেদের হেফাজতে নেয়।

আটক ফরিদুল হক শাহীন শিকদার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তার বিতর্কিত অধ্যায় রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফখরুদ্দিন আহমদের শাসনামলে তিনি যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হন।

পরে, ফ্যাসিস্ট সরকার থাকাকালীন সময়ে বিএনপির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তখন থেকেই তিনি দলীয় রাজনীতি থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন।

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, “আটককৃত শাহীন শিকদারকে এখনো থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পুলিশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি বা মন্তব্য করার সুযোগ নেই।”

নিউজ লেখা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক কোনো ব্রিফিং দেওয়া হয়নি। তবে এ ঘটনায় হাটজুড়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় অনেকেই মনে করছেন, ইজারার নামে অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও হয়রানি দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল, যা নিয়ে বহু অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ছিল সীমিত।

 


প্রিন্ট