সাজেদুর রহমানঃ
যশোরের শার্শায় চাহিদার তুলনায় প্রায় দুই হাজার কোনবানির পশু মজুদ রয়েছে। মজুদকৃত এসব পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রেখেছে খামারীরা। ইতমধ্যে অনেক পশু সুলভ মুল্যে খামার থেকেই বিক্রি হয়ে গেছে। এখনও অনেক পশু বিক্রির জন্য বাজারজাত করা হচ্ছে। গো খাদ্যের মুল্য বেশি হলেও সুলভ মূল্যে পশু বিক্রি হওয়ায় খামারীরা লাভবান।
.
শার্শা উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার তপু কুমার সাহা জানান, এ বছর শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১৮০টি গ্রামে কোরবানির চাহিদা ১২ হাজার ৭শ ২৬টি পশু। কোরবানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে ১৪ হাজার ২শ ২৬টি পশু। প্রায় দেড় হাজার পশু অতিরিক্ত রয়েছে। শার্শা উপজেলায় ছোট বড় প্রায় ১১৩১টি পশু খামার রয়েছে। এর মধ্যে রেজিষ্ট্রিশনকৃত বড় খামার রয়েছে ১৫টি। অন্য গুলো কৃষক পর্যায়ের খামার। আগামী কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শার্শার সাতমাইল পশু হাটে প্রচুর পরিমানে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ বিভিন্ন প্রকার পশু ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। শার্শা উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসের এশটি প্রতিনিধি দল সাতমাইল পশু হাটে বিক্রিত পশুর স্বাস্থ্য পরিক্ষা করছে। এ ছাড়াও গরুর গর্ভ পরিক্ষা, অসুস্থ্য পশুর চিকিৎসা করা হচ্ছে। কৃত্রিম ভাবে নিষিদ্ধ মোটা তাজা করা পশু বাজার জাত না করার জন্যও মনিটরিং করা হচ্ছে।
.
শার্শা উপজেলার বড় আঁচড়া এগ্রো ডেনরী ফার্মের মালিক আবু তাহের (ভারত) জানান, তার ফার্মে প্রায় ২শতাধিক গরু রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় শতাধিক গরু এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ বছর কোরবানির জন্য দুই জাতের গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে লাল শাহিয়াল (পাকিস্তানি) গরু। যা প্রতিটি ওজন প্রায় ৮শ থেকে ৯শ কেজি। এ ছাড়া রয়েছে ফ্রীজিয়ান ষাড়। যার ওজন ৫ থেকে ৯শ কেজি।
.
তিনি জানান প্রায় অর্ধশত কোরবানির পশু তার ফার্ম থেকে বিক্রি হয়ে গেছে। এখনও প্রায় অর্ধশত কোরবানির গরু বিক্রি হবে। সাধারন ভাবে গরু পালন করা হয়েছে। তার খামাবে কোন প্রকার মোটাতাজার জন্য কৃত্রিম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়নি। এ খামারে প্রায় ২৫ জন শ্রমিক কাজ করে। এ ছাড়া এ খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬‘শ কেজি দুধ উৎপাদন হয়ে থাকে।
.
লাউতাড়া গ্রামের খামারী আশিকুর রহমান জানান তার খামারে প্রায় অর্ধশত গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বেশ কিছু গরু বিক্রি হয়ে গেছে। অন্য গরুগুলো বিকিরে জন্য চেষ্টা চলছে।
প্রিন্ট