আব্দুল হামিদ মিঞাঃ
রাজশাহীর বাঘায় স্বামী-স্ত্রী মিলে একই মোটরসাইলে মেয়েকে স্কুলে নেওয়ার পথে যাত্রীবাহী বাস-মোটরসাইকেলের সঘর্ষে ডান পায়ের হাটুর অংশ বিশেষ বিছিন্ন হয়েছে বাবা-মেয়ের। সোমবার(১৯ মে) সকাল পৌণে ৯টায় বাঘা-ঈশ্বরর্দী সড়কের বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
.
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল যোগে নার্সারিতে পড়–য়া ৫ বছর বয়সের মেয়ে উম্মে তুরাইফা খাতুনকে বাঘা উপজেলা সদরে গ্রীণ হ্যাভেন স্কুলে নিয়ে আসছিলেন বাবা-মা। তারা হলেন,লালপুর উপজেলার বেরিলাবাড়ি (জামতলা) গ্রামের জাহেদুল ইসলাম(শান্ত)(২৭) ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারি (২৪)ও মেয়ে উম্মে তুরাইফা খাতুন (৫)।
.
পথিমধ্যে বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বাঘা থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী সুপার সনি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল দুমড়ে মুচড়ে গুরুতর আহত হন তারা। এসময় ডান পায়ের হাটুর উপরের অংশ থেকে পায়ের নিচের অংশ বিছিন্ন হয়ে যায় বাবা-মেয়ে দু’জনের। ডান হাতের হাড় ভেঙে আহত হন জেসমিন আক্তারিও। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
.
সোমবার দুপুর ২ টায় মুঠোফোনে কথা হলে আহত জাহেদুল ইসলাম(শান্ত)’র আতœীয়(স্বজন) আবিদ হাসান জানান, সন্তান সম্ভাবনা জেসমিন আক্তারিকে রামেকের আর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। জাহেদুল ইসলাম(শান্ত) ও উম্মে তুরাইফা খাতুনকে অপারেশন রুমে নেওয়ার পর তাদের দুইজনকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনি জানান, জাহেদুল ইসলাম(শান্ত) হার্ডওয়্যারস ব্যবসায়ী।
.
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান জানান,ঘটনার পরই ঘটনাস্থল থেকে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। সেখান থেকে বাস ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট