শেখ সাইদুল ইসলাম প্রবীনঃ
কুষ্টিয়ার খোকসায় ৩ সংখ্যালঘুর পরিবারের গোয়াল ঘরে আগুন লেগে পুড়ে গেছে ৩টি গোয়াল ঘর, ৫টি গরু ও ১শত ৫০ মন পেঁয়াজ। পরিবারের দাবি কে বা কাহারা ঘরের বাহির থেকে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। গৃহ মালিক জানান ঘরের ভিতর থেকে আগুন লাগার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
.
সরেজমিনে জানা যায়, গত রবিবার মধ্যরাতে খোকসা উপজেলার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের মামদানিপুর গ্রামে সংখ্যালঘু পরিবার নরেশ মন্ডলের গরুর ঘরে আগুন দেখতে পাই, মুহূর্তের মধ্যে তাহা নিরদ মন্ডল ও শরৎ মন্ডল দুই ভাইয়ের ঘরে আগুন ছড়িয়ে পরে । তাৎক্ষণিকভাবে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে গোয়াল ঘরে থাকা গর্ভবতী গাভীসহ ৫টি গরু আগুনে পুড়ে মারা যায় এবং ঘরের মধ্যে রাখা দেড়শ মন পেয়াজ পুড়ে ভূষ্মিভূত হয় ।
.
পরে এলাকাবাসী ও খোকসার ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । খোকসা ভবানীগঞ্জ ফাঁড়ির টহল পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গোয়াল ঘর সংলগ্ন সার্বজনীন দূর্গা মন্দির এবং ২৫ গজ দূরে সার্বজনীনকৃষ্ণ মন্দির অল্পের জন্য আগুন থেকে রক্ষা পায় ।
.
প্রাথমিক ভাবে ধারণা করলেও বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট এবং মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাতের কোন আলামত পাওয়া যায়নি বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা জানান । গোয়াল ঘরের চারপাশে ইটের দেয়াল । মধ্যরাতে তারা ঘরের চালে হঠাৎ করে আগুন দেখতে পান । পরিবারের লোকজন চিৎকার করলে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নিভায়। আগুনে পুড়ে যাওয়া গরু ও পেঁয়াজের আনুমানিক মূল্য দশ লক্ষ টাকার অধিক বলে জানা যায় । প্রতিবেশী বিশ্বরঞ্জন বিশ্বাস জানান, গোয়াল ঘরের পাশে দুর্গা মন্দির ও কৃষ্ণ মন্দির । সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এ ঘটনা ঘটক পারে বলে তিনি মনে করেন।
.
খোকসা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে সঠিক কোন ধারণা দিতে পারেননি।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম জানান, আগুনে বিষয়টি আমি শুনেছি । অভিযোগ পেলে তদন্ত-পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেব ।
প্রিন্ট