ঢাকা , শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

ভালোবাসার অপেক্ষা

শামীম আহমেদ

ফেব্রুয়ারির শেষ বিকেল। আকাশে লাল সূর্যের আলো ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনের মতো আজও অরূপা নদীর পাড়ে এসে বসেছে। সে অপেক্ষা করছে। কিন্তু কিসের অপেক্ষা, তা জানে না সে নিজেও। অরূপার জীবনে কিছু বছর আগে এক বিশেষ মানুষ এসেছিল—রাহাত। তার সঙ্গে অরূপার পরিচয় হয়েছিল এক বন্ধুর মাধ্যমে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিচয় বন্ধুত্বে রূপ নিল, আর বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসায়।

 

কিন্তু ভালোবাসার পথে সবকিছু তো আর সহজ হয় না। সমাজ, পরিবার—সব কিছুই তাদের সম্পর্ককে বাধা দিতে থাকে। তবুও তারা নিজেদের ভালোবাসায় অবিচল থাকে। কিন্তু একদিন রাহাত হারিয়ে গেল। রাহাত বলেছিল- এভাবে আমাদের ভালোবাসা কেউ মেনে নিবে না। আমি শহরে যাচ্ছি, প্রতিষ্ঠিত হতো। তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করো…। আজ পাচ বছর হয়ে গেছে কিন্তু রাহাত ফেরিনি সেই চেনা পথ ধরে…! ভালোবাসার মানুষের কাছে।

রাহাতের হারিয়ে যাওয়া অরূপার জীবনে এক গভীর শূন্যতা এনে দেয়। তবে অরূপা থেমে থাকেনি, কারণ সে জানে, রাহাত বেঁচে আছে তার হৃদয়ের এক কোণে। সে অপেক্ষা করে, হয়তো একদিন রাহাত ফিরে আসবে।

প্রতিদিনের মতো আজও অরূপা নদীর পাড়ে বসে থাকে। সূর্যাস্তের লাল আভা তার চোখে মায়াবী আলো ফেলছে। সে মনে মনে বলে, “রাহাত, তুমি ফিরবে তো? আমি তো এখনও অপেক্ষায় আছি।”

সময় থেমে থাকে না, কিন্তু অরূপার অপেক্ষা থেমে থাকে। ভালোবাসার অপেক্ষা যেন তার জীবনকে বেঁধে রেখেছে। হয়তো রাহাত ফিরবে না, অথবা ফিরবে! অরূপা শুধু জানে, এই অপেক্ষা তার ভালোবাসার প্রতীক, যার শেষ কখনো হবে না…।

লেখকঃ শামীম আহমেদ
            -কবি, লেখক ও সাহিত্যিক।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়া শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে রেললাইন শহরের বাইরে নেওয়ার দাবি

error: Content is protected !!

ভালোবাসার অপেক্ষা

আপডেট টাইম : ০৩:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
শামীম আহমেদ, কবি, লেখক ও সাহিত্যিক :

শামীম আহমেদ

ফেব্রুয়ারির শেষ বিকেল। আকাশে লাল সূর্যের আলো ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনের মতো আজও অরূপা নদীর পাড়ে এসে বসেছে। সে অপেক্ষা করছে। কিন্তু কিসের অপেক্ষা, তা জানে না সে নিজেও। অরূপার জীবনে কিছু বছর আগে এক বিশেষ মানুষ এসেছিল—রাহাত। তার সঙ্গে অরূপার পরিচয় হয়েছিল এক বন্ধুর মাধ্যমে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিচয় বন্ধুত্বে রূপ নিল, আর বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসায়।

 

কিন্তু ভালোবাসার পথে সবকিছু তো আর সহজ হয় না। সমাজ, পরিবার—সব কিছুই তাদের সম্পর্ককে বাধা দিতে থাকে। তবুও তারা নিজেদের ভালোবাসায় অবিচল থাকে। কিন্তু একদিন রাহাত হারিয়ে গেল। রাহাত বলেছিল- এভাবে আমাদের ভালোবাসা কেউ মেনে নিবে না। আমি শহরে যাচ্ছি, প্রতিষ্ঠিত হতো। তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করো…। আজ পাচ বছর হয়ে গেছে কিন্তু রাহাত ফেরিনি সেই চেনা পথ ধরে…! ভালোবাসার মানুষের কাছে।

রাহাতের হারিয়ে যাওয়া অরূপার জীবনে এক গভীর শূন্যতা এনে দেয়। তবে অরূপা থেমে থাকেনি, কারণ সে জানে, রাহাত বেঁচে আছে তার হৃদয়ের এক কোণে। সে অপেক্ষা করে, হয়তো একদিন রাহাত ফিরে আসবে।

প্রতিদিনের মতো আজও অরূপা নদীর পাড়ে বসে থাকে। সূর্যাস্তের লাল আভা তার চোখে মায়াবী আলো ফেলছে। সে মনে মনে বলে, “রাহাত, তুমি ফিরবে তো? আমি তো এখনও অপেক্ষায় আছি।”

সময় থেমে থাকে না, কিন্তু অরূপার অপেক্ষা থেমে থাকে। ভালোবাসার অপেক্ষা যেন তার জীবনকে বেঁধে রেখেছে। হয়তো রাহাত ফিরবে না, অথবা ফিরবে! অরূপা শুধু জানে, এই অপেক্ষা তার ভালোবাসার প্রতীক, যার শেষ কখনো হবে না…।

লেখকঃ শামীম আহমেদ
            -কবি, লেখক ও সাহিত্যিক।


প্রিন্ট