আব্দুল হামিদ মিঞাঃ
রাজশাহীর বাঘায় বিএনপির দায়ের করা মামলায় উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল হোসেন বিপ্লব(৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০-৫-২৫) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
.
আগের দিন শুক্রবার (৯ মে ) রাত ৮টায় উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোতনশী এলাকায় শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিপ্লব ওই গ্রামের মহসিন আলীর জামায় এবং বাঘা পৌরসভার মিলিক বাঘা (পন্ডিত পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে নাশকতা, অগ্নিসংযোগ , ককটেল বিস্ফোরণ,হামলা, ভাঙচুর, চাঁদা দাবি,মারধর সহ বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপির দায়ের করা চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলা দায়েরের পর থেকে আতœগোপনে চলে যায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল হোসেন বিপ্লব।
.
মামলার তদন্তকারী এস আই সিফাত রেজা জানান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল হোসেন বিপ্লব এর বিরুদ্ধে চলমান চারটি মামলা সহ সাতটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র ও মাদক মামলাও রয়েছে এই নেতার বিরুদ্ধে। রিমান্ড এর আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, প্রয়োজন হলে চাইবেন।
.
বাঘা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ পাওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক মামলা হয়েছে। পরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আস্থা ভাজন হয়ে পদ বাগিয়ে নেয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেশ দাপটেই চলেছে। তিনি বলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কারাগারে থাকাকালীন সময়ে তার মুক্তির পোষ্টার সাঁটানোর সময় বিপ্লব সহ আওয়ামী লীগের পদধারি নেতা সামিউল ইসলাম নয়ন , আনোয়ার হোসেন মিল্টন ও তার সঙ্গীরা আমাকেসহ পোষ্টার সাঁটানোর (ওয়ালে লাগানো) কাজে যারা ছিল তাদের মারপিট করে পোষ্টার সাঁটাতে দেয়নি। পরে তারা পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেয় এবং মামলা করে। পুলিশ সত্য বিষয় জেনেও মামলায় কারাগারে পাঠায়।
.
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন,আতœগোপনে থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করে আসছিল। এমন খবরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
প্রিন্ট