একটি কুমিরের ভয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে সালাম খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দাদের। গত শনিবার সকালে এই গ্রামের জলাধারে হঠাৎ কুমিরটি দেখতে পান এলাকাবাসী।
এরপর মাইকিং করে জনসাধারণকে ওই জলাশয়ে না নামার জন্য সতর্ক করা হয়। এদিকে কুমির দেখতে আশপাশের এলাকার উৎসুক জনতা জলাধারে ভিড় করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকায় সালাম খাঁর ডাঙ্গী গ্রামে প্রায় তিনশ ফুট দৈর্ঘ্য ও দুইশ ফুট প্রস্থ একটি জলাধার রয়েছে। ওই জলাধারে কুমিরটি এসে আস্তানা গেড়েছে।
বাসিন্দারা জানান, রোববার সালাম খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের জেলে হজরত মিয়া (৩৬) পদ্মা নদী থেকে বড় একটি বোয়াল মাছ ধরেন। এরপর মাছটি জীবিত রাখার জন্য তার মুখে রশি বেঁধে জলাশয়ের মধ্যে ডুবিয়ে রাখেন। কিছুক্ষণ পর তিনি মাছটি তুলে আনার জন্য দড়ি ধরে টান দিলে কুমিরটি দেখত পান।
এলাকাবাসী জানান, পদ্মা নদী থেকে একটি সরু চ্যানেল ওই জলাধারের কাছে গেছে। এর মধ্যে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় চ্যানেলের পানি শুকিয়ে যায়। কোনো মাছ তাড়া করতে করতে এ জলাধারে এসে আটকা পড়েছে কুমিরটি।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, কুমিরটির দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ ফুট। এলাকায় ওই কুমিরটি দেখা যাওয়ার পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে বন বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর সদরের বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, তিনি রোববার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। যে জলাধারে ওই কুমিরটি অবস্থান করছে সেটি ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর। ওই জলাধার থেকে কুমিরটি ধরা অনেকটা কষ্টসাধ্য। তবে যে চ্যানেল দিয়ে কুমিরটি জলাধারে ঢুকেছে সে চ্যানেলের মুখে মুরগি-হাঁস বেঁধে রেখে কুমিরকে প্রলুব্ধ করে বের করে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে এ উদ্যোগ সফল না হলে বিষয়টি বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা কার্যালয়কে জানানো হবে, যাতে কুমিরটি জলাধার থেকে সরিয়ে অন্যত্র ছেড়ে দেয়া যায়।
প্রিন্ট