ইসমাইল হোসেন বাবুঃ
‘হে নূতন, দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ- ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও’’ শিলাইদহ কুঠিবাড়ীর মুল মঞ্চে এই রবীন্দ্র সঙ্গীতের মাধ্যমে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকীর তিনদিনের জাতীয় অনুষ্ঠান শুরু হয়।
.
এরপরে বেলা সাড়ে ১১টায় ভারচ্যুালি যুক্ত হয়ে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্ঠা মোস্তফা সরোয়ার ফারকী আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
.
জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন,সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ সিদ্দিক, স্বারক বক্তব্য রাখেন ভাষাবিজ্ঞানী মনসুর মুসা, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মাদ নসরুল্লাহ প্রমুখ।
.
রবীন্দ্র প্রেমিদের পদচারনায় বিশ্বকবির ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকীর জাতীয় অনুষ্ঠান। তিনদিনের অনুষ্ঠানমালায় কুঠিবাড়ী চত্তরে বসেছে গ্রামীন মেলা। পুরো অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
.
আলোচনার পর দেশের বিভিন্ন জেলার সংগঠনসহ জাতীয় পর্যায়ের শিল্পিরা কুঠিবাড়ীর মুল মঞ্চে রবীন্দ্র সংঙ্গীত, কবিতা আবৃতি, দলীয় নৃত্য ও রবীন্দ্রনাথের নাটক পরিবেশন করবেন।
.
জমিদারী দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে প্রথম এই কুঠিবাড়ীতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পরবর্তিতে নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারী আর ব্যবসার কারনে বার বার কুষ্টিয়ার এই কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন কবি। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলী কাব্যই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরষ্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা।
.
এছাড়াও তিনি এখানে বসেই আমাদের জাতীয় সঙ্গীতসহ অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষন আছে সেসব দিনের নানা স্মৃতি। রবীন্দ্রনাথ এখনও প্রাসঙ্গিক, তার অসাম্প্রদায়িক চেতনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লেই এই অনুষ্ঠান সার্থক হবে বলে মনে করেন রবীন্দ্র প্রেমিরা।
প্রিন্ট