ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পাবনার চাটমোহরে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ Logo বারান্দায় টিনের ছাউনির নিচে চলছে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা Logo বিদেশী পিস্তল ও ম্যাগাজিন সহ ০১ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo চরভদ্রাসন জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ভোট প্রার্থনায় ব্যাস্ত প্রার্থীরা Logo সালথায় বালু উত্তোলন ও বনাঞ্চল উজাড় করে মাটি বিক্রির দায়ে জরিমানা Logo তানোরে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ Logo জমি বাড়ি থেকেও আবাসন ঘর বাগিয়ে নিলেন খইমদ্দিন Logo নাগেশ্বরীতে ফার্নিচার শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালিত Logo মুকসুদপুরে হিট স্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু Logo সুবর্ণচরে সংখ্যালঘুর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ব্রিজ আছে সড়ক নেই

বিপাকে ফরিদপুরের সালথার ১৩ গ্রামের মানুষ

তিন বছর আগে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের তুগলদিয়া বেদাখালী খালের ওপর ৩০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। একই সময়ে শিহিপুর গ্রামেও একই পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় আরেকটি ব্রিজ। কিন্তু নির্মাণের পর এতোদিন পেরিয়ে গেলেও ব্রিজ দুটি মানুষের কোনো কাজে আসছে না। কারণ ব্রিজ নির্মাণ হলেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক। ব্রিজের সঙ্গে সংযুক্ত চলাচলের সড়কগুলোও কাঁচা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শিহিপুরের ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে ফসলি জমির মাঠের মধ্যে। চলতি বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে ব্রিজের আশপাশের এলাকা তলিয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্রিজ দুটি নির্মিত হয়। এর মধ্যে বেদাখালী খালের ওপর ব্রিজটির ফলকে নির্মাণ ব্যয় লেখা রয়েছে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। তবে শিহিপুরে ফসলি মাঠের ওপর নির্মিত ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় জানা যায়নি। কারণ সেখানে আজ পর্যন্ত কোনো নামফলক দেখা পাওয়া যায়নি। স্থানীয় এলজিইডি অফিসও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তারা বলছেন, শিহিপুর ব্রিজের ফাইলই খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।

ভাওয়াল ইউনিয়নের বেদাখালি ব্রিজটি সেখানকার ইউসুফদিয়া, আত্মপুরা, বারখাদিয়া, তুগোলদিয়া, নওপাড়া এবং মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টি ও মাঝারদিয়া গ্রামবাসীর এবং শিহিপুরের ব্রিজটি ভাওয়াল ইউনিয়নের ফুলতলা, কাঠালবাড়ীয়া, পুরুরা, মিরাকান্দা, কামদিয়া ও সালথা গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা। এই ১৩ গ্রামের মানুষের যাতায়াত ও পণ্য আনা-নেয়া হয় এই পথে।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজ নির্মাণের পর বলা হয়েছিল দ্রুতই সংযোগ সড়ক হবে। রাস্তাও পাঁকা হবে। তবে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তা করা হয়নি। ইউসুফ শেখ নামের স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, ‘শুকনার সময় জিজ্ঞেস করলে তারা বলে কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। আর বর্ষাকালে বলে শুকনো মৌসুম না এলে কাজ শুরু হবে না।’

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন টালবাহানায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। ব্রিজ থাকার পরেও চলতি বর্ষা মৌসুমে তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার ১৩ গ্রামের কয়েক হাজার অধিবাসী।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) পরিতোষ বাড়ৈই বলেন, ব্রিজের দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণে চেয়ারম্যান প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। এখন ক্ষেতের পাট বড় হয়ে গেছে। এজন্য প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া বলেন, বর্তমানে রাস্তার মাটি কাটার ব্যবস্থা নেই। শুকনো মৌসুম এলে মাটি কেটে রাস্তা বানিয়ে দেব। এজন্য সাড়ে চার লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনার চাটমোহরে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ

error: Content is protected !!

ব্রিজ আছে সড়ক নেই

বিপাকে ফরিদপুরের সালথার ১৩ গ্রামের মানুষ

আপডেট টাইম : ০২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১

তিন বছর আগে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের তুগলদিয়া বেদাখালী খালের ওপর ৩০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। একই সময়ে শিহিপুর গ্রামেও একই পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় আরেকটি ব্রিজ। কিন্তু নির্মাণের পর এতোদিন পেরিয়ে গেলেও ব্রিজ দুটি মানুষের কোনো কাজে আসছে না। কারণ ব্রিজ নির্মাণ হলেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক। ব্রিজের সঙ্গে সংযুক্ত চলাচলের সড়কগুলোও কাঁচা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শিহিপুরের ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে ফসলি জমির মাঠের মধ্যে। চলতি বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে ব্রিজের আশপাশের এলাকা তলিয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্রিজ দুটি নির্মিত হয়। এর মধ্যে বেদাখালী খালের ওপর ব্রিজটির ফলকে নির্মাণ ব্যয় লেখা রয়েছে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। তবে শিহিপুরে ফসলি মাঠের ওপর নির্মিত ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় জানা যায়নি। কারণ সেখানে আজ পর্যন্ত কোনো নামফলক দেখা পাওয়া যায়নি। স্থানীয় এলজিইডি অফিসও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তারা বলছেন, শিহিপুর ব্রিজের ফাইলই খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।

ভাওয়াল ইউনিয়নের বেদাখালি ব্রিজটি সেখানকার ইউসুফদিয়া, আত্মপুরা, বারখাদিয়া, তুগোলদিয়া, নওপাড়া এবং মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টি ও মাঝারদিয়া গ্রামবাসীর এবং শিহিপুরের ব্রিজটি ভাওয়াল ইউনিয়নের ফুলতলা, কাঠালবাড়ীয়া, পুরুরা, মিরাকান্দা, কামদিয়া ও সালথা গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা। এই ১৩ গ্রামের মানুষের যাতায়াত ও পণ্য আনা-নেয়া হয় এই পথে।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজ নির্মাণের পর বলা হয়েছিল দ্রুতই সংযোগ সড়ক হবে। রাস্তাও পাঁকা হবে। তবে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তা করা হয়নি। ইউসুফ শেখ নামের স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, ‘শুকনার সময় জিজ্ঞেস করলে তারা বলে কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। আর বর্ষাকালে বলে শুকনো মৌসুম না এলে কাজ শুরু হবে না।’

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন টালবাহানায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। ব্রিজ থাকার পরেও চলতি বর্ষা মৌসুমে তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার ১৩ গ্রামের কয়েক হাজার অধিবাসী।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) পরিতোষ বাড়ৈই বলেন, ব্রিজের দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণে চেয়ারম্যান প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। এখন ক্ষেতের পাট বড় হয়ে গেছে। এজন্য প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া বলেন, বর্তমানে রাস্তার মাটি কাটার ব্যবস্থা নেই। শুকনো মৌসুম এলে মাটি কেটে রাস্তা বানিয়ে দেব। এজন্য সাড়ে চার লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে।