ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নাগরপুর সদর ইউনিয়ন জিয়া সাইবার ফোর্সের কমিটি অনুমোদন Logo এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রেই চলছে কোচিং বাণিজ্যে ! Logo পুলিশ প্রশাসন ও হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার ‌ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রচেষ্টায় যানজট মুক্ত হল বেইলি ব্রিজ Logo ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষকরাঃ আত্রাই এ ইরিবোরো ধান কাটা- মারাই শুরু: Logo তানোরে একইদিন পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু Logo যশোর জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলায় আগুন Logo হাসনাত আব্দুল্লাহর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ Logo তানোরে অসহায় কৃষকের জমি জবরদখল Logo মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলা ষষ্ঠ দিনে গুরুত্বপূর্ণ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ Logo বোয়ালমারীতে শ্রমিকের আত্মহত্যা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রেই চলছে কোচিং বাণিজ্যে !

আলিফ হোসেনঃ

দেশব্যাপী এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নানামুখী চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে গত ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে প্রশ্নফাঁসের গুজব ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে দেশের সব কোচিং সেন্টার টানা ৩৪ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।কিন্ত্ত সরকারি এই নির্দেশনা অমান্য করে রাজশাহীর মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ,(বাংলা) ইনডেক্স নম্বর (2016708131), অনিতা রানী সরকার, (সামাজিক বিজ্ঞান) ইনডেক্স নম্বর (2016704265)।সহঃ শিক্ষক আল
মামুন-অর-রশিদ, (ইসলাম ধর্ম) ইনডেক্স নম্বর (2022718917) ও সহঃ শিক্ষক জি.এম. রাশেদ বিন আবেদ (ভৌত বিজ্ঞান) ইনডেক্স নম্বর (2016704602) সিন্ডিকেট করে স্কুলে কোচিং বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকগণের অভিযোগ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে কোচিংয়ের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কিন্ত্ত কোনো অভিভাবক বা শিক্ষার্থী মুখ খুলতে পারছে না। তবে কেউ প্রতিবাদ বা মুখ খুললেই প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফের রোষানলে পড়তে হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

.

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে চলছে কোচিং বাণিজ্য। চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েই চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য।
এছাড়াও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কোন মনিটরিং না থাকায় এসএসসি পরীক্ষার দিনেও মোহনপুরের বিভিন্ন জায়গায় অবাধে চলছে কোচিং সেন্টার। মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার দিন বাদ রেখে অন্যান্য দিনে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে মাসিক (জনপ্রতি) এক হাজার তিনশ’ টাকার বিনিময়ে কোচিং ক্লাশ বা এক্সট্রা ক্লাশ করাচ্ছেন।

.

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্কুলে মোট শিক্ষার্থী ৫১৮ জন। সরেজমিন গত ৩ মে শনিবার বেলা দশটার দিকে স্কুল গেটে নবম ও দশম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এখানে কোচিং করতে এসেছেন।

.

এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, স্কুলে প্রাইভেট পড়তে এসেছি। সরকারি স্কুলে প্রাইভেট পড়তে হয় বলতেই ওই শিক্ষার্থী বলেন, এখানে মাসে ১৩’শ টাকা দিয়ে নিয়মিত প্রাইভেট পড়ি। যেদিন এসএসসি পরীক্ষা থাকে না সেইদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত প্রাইভেট করায় স্যারেরা। নিয়মিত স্কুল হলে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত ক্লাশ করানো হয়। এটাকে স্যারের এক্সট্রা ক্লাশ বলে। একই ক্লাশের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ক্লাশ নাইনে ৪০ জন শিক্ষার্থী জনপ্রতি ১৩’শ করে টাকা দিয়ে প্রাইভেট পড়ি। দশম শ্রেণীর আরো দুই শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সরকারি স্কুলের স্যারেরা কোচিং করান। আমি মাসে ১৩’শ টাকা দিয়ে কোচিং করি। অন্য এক শিক্ষার্থী আরো বলেন, যারা কোচিং করেন তাদের টাকা তোলেন ক্লাশ টিচার মামুন স্যার।নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী বলেন, নবম শ্রেণির যারা প্রাইভেট পড়ে তাদের থেকে টাকা তোলেন রুবেল স্যার।

.

জানা গেছে, শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষকের স্বল্পতা, ক্লাস রুটিন ছাড়াই প্রধান শিক্ষকের মৌখিক নির্দেশনায় এই স্কুলে ক্লাস করান শিক্ষকরা। একটু হিসাব করলেই বোঝা যায় এস্কুল থেকে সরকারি চাকরির বাহিরে কোচিং বাণিজ্যের নামে প্রতি মাসে সাড়ে তিন লাখ টাকা আদায় করেন শিক্ষকেরা। যা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ নিজেদের মাঝে বাটোয়ারা করা হয়ে থাকে বলে গুঞ্জন রয়েছে।এদিকে উপজেলার শিক্ষানুরাগী সচেতন মহল প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও কোচিং বাণিজ্যে সম্পৃক্তদের কঠোর শাস্তির
দাবি করেছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।

.

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল লতিফ ১৯৯৫ সাল থেকে রাজনৈতিক প্রভাববিস্তার ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে একই উপজেলায় চাকরি করছেন। তারা বলেন, টাকা দিয়ে এক্সট্রা ক্লাস করাবোনা বলে বাচ্চাদের নিষেধ করায় প্রধান শিক্ষক আমাদের ডেকে নিয়ে হেনস্তাও করেন। এক্সট্রা ক্লাশ করার টাকা না থাকার কারণে এখান থেকে অনেক শিক্ষার্থী টিসি নিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছেন বলেও আলোচনা রয়েছে।

.

এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল লতিফ নানা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানে বাচ্চাদের পড়াতে হলে এক্সট্রা ক্লাশ করাতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাশ করানো হয়। সবাই সমান টাকা দিয়ে পড়ে না। তবে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইউএনও স্যারের অনুমতি নিয়ে এক্সট্রা ক্লাস নিচ্ছি। আমাদের শিক্ষক অদক্ষ যার কারণে এভাবে ক্লাস করানো হয়।।

.

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মাহমুদ হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। কোনো স্কুলে কোচিং সেন্টার চললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। স্কুলে কোনো কোচিং সেন্টার চলার অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বলেন, তদন্ত করে বিষয়টির সঠিকতা পেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নাগরপুর সদর ইউনিয়ন জিয়া সাইবার ফোর্সের কমিটি অনুমোদন

error: Content is protected !!

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রেই চলছে কোচিং বাণিজ্যে !

আপডেট টাইম : এক ঘন্টা আগে
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেনঃ

দেশব্যাপী এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নানামুখী চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে গত ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে প্রশ্নফাঁসের গুজব ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে দেশের সব কোচিং সেন্টার টানা ৩৪ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।কিন্ত্ত সরকারি এই নির্দেশনা অমান্য করে রাজশাহীর মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ,(বাংলা) ইনডেক্স নম্বর (2016708131), অনিতা রানী সরকার, (সামাজিক বিজ্ঞান) ইনডেক্স নম্বর (2016704265)।সহঃ শিক্ষক আল
মামুন-অর-রশিদ, (ইসলাম ধর্ম) ইনডেক্স নম্বর (2022718917) ও সহঃ শিক্ষক জি.এম. রাশেদ বিন আবেদ (ভৌত বিজ্ঞান) ইনডেক্স নম্বর (2016704602) সিন্ডিকেট করে স্কুলে কোচিং বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকগণের অভিযোগ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে কোচিংয়ের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কিন্ত্ত কোনো অভিভাবক বা শিক্ষার্থী মুখ খুলতে পারছে না। তবে কেউ প্রতিবাদ বা মুখ খুললেই প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফের রোষানলে পড়তে হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

.

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে চলছে কোচিং বাণিজ্য। চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েই চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য।
এছাড়াও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কোন মনিটরিং না থাকায় এসএসসি পরীক্ষার দিনেও মোহনপুরের বিভিন্ন জায়গায় অবাধে চলছে কোচিং সেন্টার। মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার দিন বাদ রেখে অন্যান্য দিনে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে মাসিক (জনপ্রতি) এক হাজার তিনশ’ টাকার বিনিময়ে কোচিং ক্লাশ বা এক্সট্রা ক্লাশ করাচ্ছেন।

.

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্কুলে মোট শিক্ষার্থী ৫১৮ জন। সরেজমিন গত ৩ মে শনিবার বেলা দশটার দিকে স্কুল গেটে নবম ও দশম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এখানে কোচিং করতে এসেছেন।

.

এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, স্কুলে প্রাইভেট পড়তে এসেছি। সরকারি স্কুলে প্রাইভেট পড়তে হয় বলতেই ওই শিক্ষার্থী বলেন, এখানে মাসে ১৩’শ টাকা দিয়ে নিয়মিত প্রাইভেট পড়ি। যেদিন এসএসসি পরীক্ষা থাকে না সেইদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত প্রাইভেট করায় স্যারেরা। নিয়মিত স্কুল হলে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত ক্লাশ করানো হয়। এটাকে স্যারের এক্সট্রা ক্লাশ বলে। একই ক্লাশের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ক্লাশ নাইনে ৪০ জন শিক্ষার্থী জনপ্রতি ১৩’শ করে টাকা দিয়ে প্রাইভেট পড়ি। দশম শ্রেণীর আরো দুই শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সরকারি স্কুলের স্যারেরা কোচিং করান। আমি মাসে ১৩’শ টাকা দিয়ে কোচিং করি। অন্য এক শিক্ষার্থী আরো বলেন, যারা কোচিং করেন তাদের টাকা তোলেন ক্লাশ টিচার মামুন স্যার।নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী বলেন, নবম শ্রেণির যারা প্রাইভেট পড়ে তাদের থেকে টাকা তোলেন রুবেল স্যার।

.

জানা গেছে, শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষকের স্বল্পতা, ক্লাস রুটিন ছাড়াই প্রধান শিক্ষকের মৌখিক নির্দেশনায় এই স্কুলে ক্লাস করান শিক্ষকরা। একটু হিসাব করলেই বোঝা যায় এস্কুল থেকে সরকারি চাকরির বাহিরে কোচিং বাণিজ্যের নামে প্রতি মাসে সাড়ে তিন লাখ টাকা আদায় করেন শিক্ষকেরা। যা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ নিজেদের মাঝে বাটোয়ারা করা হয়ে থাকে বলে গুঞ্জন রয়েছে।এদিকে উপজেলার শিক্ষানুরাগী সচেতন মহল প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও কোচিং বাণিজ্যে সম্পৃক্তদের কঠোর শাস্তির
দাবি করেছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।

.

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল লতিফ ১৯৯৫ সাল থেকে রাজনৈতিক প্রভাববিস্তার ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে একই উপজেলায় চাকরি করছেন। তারা বলেন, টাকা দিয়ে এক্সট্রা ক্লাস করাবোনা বলে বাচ্চাদের নিষেধ করায় প্রধান শিক্ষক আমাদের ডেকে নিয়ে হেনস্তাও করেন। এক্সট্রা ক্লাশ করার টাকা না থাকার কারণে এখান থেকে অনেক শিক্ষার্থী টিসি নিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছেন বলেও আলোচনা রয়েছে।

.

এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল লতিফ নানা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানে বাচ্চাদের পড়াতে হলে এক্সট্রা ক্লাশ করাতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাশ করানো হয়। সবাই সমান টাকা দিয়ে পড়ে না। তবে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইউএনও স্যারের অনুমতি নিয়ে এক্সট্রা ক্লাস নিচ্ছি। আমাদের শিক্ষক অদক্ষ যার কারণে এভাবে ক্লাস করানো হয়।।

.

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মাহমুদ হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। কোনো স্কুলে কোচিং সেন্টার চললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। স্কুলে কোনো কোচিং সেন্টার চলার অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বলেন, তদন্ত করে বিষয়টির সঠিকতা পেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট