ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষকরাঃ আত্রাই এ ইরিবোরো ধান কাটা- মারাই শুরু:

আব্দুল জব্বার ফারুকঃ

 

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ইরি ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। তবে ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন আত্রাই উপজেলার কৃষকেরা। এদিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে ফলন বিপর্যয়ের কোন কারণ নেই। আশা করছি কৃষকেরা ভালো ফলন পাবে। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে ছিলেন আত্রাই এর কৃষকেরা। কিন্তু গত ৬ এপ্রিলে শিলাবৃষ্টির এবং ঝড়ের কারণে মাঠের ধান কিছুটা নুয়ে পড়ায় কিছু ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে ধানের ফলন বিপর্যয় হতে পারে বলছেন তারা।

.

উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৮হাজার ৭১০হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৩হাজার ৩০০হেক্টর এবং উফশী ১০হাজার ৪১০ হেক্টর। এবং উৎপাদন এর লক্ষ্যমাত্রা ৮৬হাজার ১০০ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগ আরো বলেন উপজেলায় ধান কাটা পুরোদমে শুরু হতে আরও ৫-৭দিন সময় লাগতে পারে।

.

প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে অনেক কৃষকেরা আগেই ধান কাটাতে শুরু করেছে। তাতে কৃষকের ধানের ফলনে তেমন কোন ক্ষতি হবে না। এর মধ্যে এখন কৃষকেরা যে জাতের ধান কাটতে শুরু করেছে তা জিরাশাইল জাতের ধান। এই ধান আগেই কাটা যায়। এখন পর্যন্ত উপজেলায় ১২ হেক্টর জমির ধান কর্তন হয়েছে।

.

সরেজমিন দেখা যায় উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর, মাগুরাপাড়া,,ভবাণীপুর মাঠে নুয়ে পড়া জিরাশাইল জাতের ধান দলবেঁধে কাটছে কৃষকেরা। কৃষক মুকুল, ডিজেল, বেলাল মান্নান, রতন,,বলেন আমরা এবছর ৩০ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছি। ফসল ভালই হয়েছিল কিন্তু কয়েকদিন আগে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি এবং ঝডু হওয়ার কারণে ধানের কিছু ক্ষতি হয়েছে এবং ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। অনেক জমিতে পানি আটকে রয়েছে। যদি আর কয়েকদিন ধানগুলো মাঠে থাকে আবারো যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে।

.

কালিকাপুর ইউনিয়নের হরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান, আব্বাস, দিদার বলেন, আমি ২৫ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছি। ৭ বিঘা জমির ধান কেটে মাড়াই করেছি। শিলাবৃষ্টির কারণে গত বছর চাইতে এ বছর ধানের ফলন কিছুটা কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

.

আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের বেয়লা চৌরবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন প্রতিবিঘা জমিতে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিঘা প্রতি জিরা ধান পাচ্ছেন ২০থেকে ২২মণ, বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা মণ। এবার ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছি।

.

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, বর্তমান মাঠে জিরাশাইল ধান কাটা শুরু হয়েছে আমাদের উপজেলার যে উৎপাদন লক্ষমাত্রা আছে তা অর্জিত হবে যদি সামনে আর কোনো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় । কৃষকদের ফলন নিয়ে কোন শঙ্কার প্রয়োজন নেই।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষকরাঃ আত্রাই এ ইরিবোরো ধান কাটা- মারাই শুরু:

আপডেট টাইম : ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
আব্দুল জব্বার ফারুক, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :

আব্দুল জব্বার ফারুকঃ

 

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ইরি ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। তবে ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন আত্রাই উপজেলার কৃষকেরা। এদিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে ফলন বিপর্যয়ের কোন কারণ নেই। আশা করছি কৃষকেরা ভালো ফলন পাবে। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে ছিলেন আত্রাই এর কৃষকেরা। কিন্তু গত ৬ এপ্রিলে শিলাবৃষ্টির এবং ঝড়ের কারণে মাঠের ধান কিছুটা নুয়ে পড়ায় কিছু ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে ধানের ফলন বিপর্যয় হতে পারে বলছেন তারা।

.

উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৮হাজার ৭১০হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৩হাজার ৩০০হেক্টর এবং উফশী ১০হাজার ৪১০ হেক্টর। এবং উৎপাদন এর লক্ষ্যমাত্রা ৮৬হাজার ১০০ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগ আরো বলেন উপজেলায় ধান কাটা পুরোদমে শুরু হতে আরও ৫-৭দিন সময় লাগতে পারে।

.

প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে অনেক কৃষকেরা আগেই ধান কাটাতে শুরু করেছে। তাতে কৃষকের ধানের ফলনে তেমন কোন ক্ষতি হবে না। এর মধ্যে এখন কৃষকেরা যে জাতের ধান কাটতে শুরু করেছে তা জিরাশাইল জাতের ধান। এই ধান আগেই কাটা যায়। এখন পর্যন্ত উপজেলায় ১২ হেক্টর জমির ধান কর্তন হয়েছে।

.

সরেজমিন দেখা যায় উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর, মাগুরাপাড়া,,ভবাণীপুর মাঠে নুয়ে পড়া জিরাশাইল জাতের ধান দলবেঁধে কাটছে কৃষকেরা। কৃষক মুকুল, ডিজেল, বেলাল মান্নান, রতন,,বলেন আমরা এবছর ৩০ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছি। ফসল ভালই হয়েছিল কিন্তু কয়েকদিন আগে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি এবং ঝডু হওয়ার কারণে ধানের কিছু ক্ষতি হয়েছে এবং ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। অনেক জমিতে পানি আটকে রয়েছে। যদি আর কয়েকদিন ধানগুলো মাঠে থাকে আবারো যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে।

.

কালিকাপুর ইউনিয়নের হরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান, আব্বাস, দিদার বলেন, আমি ২৫ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছি। ৭ বিঘা জমির ধান কেটে মাড়াই করেছি। শিলাবৃষ্টির কারণে গত বছর চাইতে এ বছর ধানের ফলন কিছুটা কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

.

আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের বেয়লা চৌরবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন প্রতিবিঘা জমিতে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিঘা প্রতি জিরা ধান পাচ্ছেন ২০থেকে ২২মণ, বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা মণ। এবার ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছি।

.

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, বর্তমান মাঠে জিরাশাইল ধান কাটা শুরু হয়েছে আমাদের উপজেলার যে উৎপাদন লক্ষমাত্রা আছে তা অর্জিত হবে যদি সামনে আর কোনো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় । কৃষকদের ফলন নিয়ে কোন শঙ্কার প্রয়োজন নেই।


প্রিন্ট