করোনাভাইরাস সংক্রমণে রোধে সরকার ঘোণিত কঠোর বিধিনিষেধের ৪র্থ দিন সোমবার কঠোর অবস্থানে ছিল চাটমোহরের পুলিশ প্রশাসন । তবে মানুষের মধ্যে বিধিনিষেধ মানতে অনীহা লক্ষ্য করা গেছে।
গত দুদিনের মতো সোমবারও রাস্তা ঘাট,বাজারেও অসংখ্য মানুষ চলাচল করেছে। মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী করেছে। যানবাহন আর লোকজনের চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী চাটমোহরে টহল দিয়েছে। পরিচালিত হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
এতোকিছুর পরও সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা যায়নি প্রয়োজনীয় সচেতনতা। গ্রামের হাট-বাজারে মাস্কের ব্যবহার নেই বললেই চলে। স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দূরে কথা। ৪র্থ দিনে সোমবার সকাল থেকেই চাটমোহর পৌর শহরের কয়েকটি মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়। আটক করা হয় মোটরসাইকেল,ট্রাক,সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহন।
চালক ও যাত্রীদের পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে অসংখ্য মানুষ আর যানবাহন বেরিয়েছে রাস্তায়। অধিকাংশ মানুষের মুখেই মাস্ক ছিলনা। হাট-বাজার,রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাফেরা দেখে বোঝার উপায় ছিলনা দেশে করোনা মহামারী চলছে।
সকাল থেকেই চাটমোহর পৌর শহরে অসংখ্য মোটরসাইকেল,নসিমন,অটোভ্যান,অটো বোরাক আর সিএনজি চলাচল করেছে। অসংখ্য মানুষ রাস্তায় বের হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন বলেন,আমরা সার্বক্ষনিক মাঠে রয়েছি বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে। জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।
এরপরও যারা লকডাউন মানতে অনীহা দেখাচ্ছে,তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আটক করা হচ্ছে যানবাহন। তিনি সবাইকে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মানার জন্য আহবান জানান।
প্রিন্ট