ঢাকা , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পাবনার ফরিদপুরে ২ শতাধিক কারখানায় অবাধে তৈরি হচ্ছে অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল Logo মধুখালীতে প্রতিকূল আবহাওয়ায় লিচুর ফলনে ভাটা, দুশ্চিন্তায় চাষিরা Logo বোয়ালমারীতে নকল শিশু খাদ্যের কারখানায় যৌথবাহিনীর অভিযান, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo ফুলবাড়ী থানা পুলিশের অভিযানে অটো রিক্সা চোর চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার Logo বোয়ালমারীতে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo দৌলতপুরে বিএনপির উদ্যোগে এক৷ বিশাল কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo বিএনপি অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদে ফরিদপুরে ‌মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo হাতিয়ায় হলিশ সহ ৬টি ট্রলারে ৯৩জন জেলেকে আটক করেছে কোষ্টগার্ড Logo নড়াইলে দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৪ Logo সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটের যৌথ অভিযানে দুই চাঁদাবাজকে হাতেনাতে গ্রেফতার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে ধান চাষে ডিএসআর পাইলট প্রকল্প

আলিফ হোসেনঃ

 

রাজশাহীর তানোর প্রচন্ড খরাপ্রবণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। ফলে এখানে সেচ নির্ভর বোরো চাষে ব্যাপকভাবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার হয়।কিন্ত্ত তানোরে দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাচ্ছে। এদিকে তানোরে বোরো চাষে সেচ পানির সংকটের কথা মাথায় নিয়ে সেচ সাশ্রয়ী ও কম খরচে বোরো উৎপাদন নিশ্চিত করতে, ডাইরেক সীডেট রাইস (ডিএসআর) পাইলট প্রকল্প (পরীক্ষামুলক) হাতে নিয়েছে কৃষি বিভাগ।

.

জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপি),পাঁচন্দর ও বাধাইড় ইউনিয়নে (ইউপি) প্রায় একশ’ বিঘা জমিতে পরীক্ষামুলকভাবে ডিএসআর পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সেচ সাশ্রয়ী ধান চাষের জন্য একটি সম্ভাব্য সুবিধাজনক পদ্ধতি হল (ডিআরএস) পদ্ধতি, যা ঐতিহ্যবাহী রোপিত ধান (টিপিআর) চাষ পদ্ধতি থেকে আলাদা ।

.

ডিএসআর পদ্ধতিতে একই সঙ্গে চাষ, বীজ বপণ ও মইদেয়া যায়।এমনকি বীজ বপনের আগে সেচ সহ বা ছাড়াই ধানের বীজ মাটিতে রোপণ করা যায়। টিপিআর পদ্ধতিতে ধান চাষে সেচ লাগে প্রায় ১৪টি, কিন্ত্ত ডিএসআর পদ্ধতিতে সেচ লাগে মাত্র ৭টি।এই পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ কম হয়। ডিএসআর পদ্ধতিতে প্রথম সেচ (প্রাক-বপন ​​ছাড়া) বীজ বপনের ২১ দিন পরে প্রয়োজন । এটি রোপিত ধানের মতো নয়, যেখানে প্রথম তিন সপ্তাহে জলমগ্ন নিশ্চিত করতে প্রতিদিন পানি দিতে হয়।
এছাড়াও বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায় এটি শ্রম সাশ্রয় করে, কম সেচ প্রয়োজন, কম পরিশ্রম, দ্রুত ফসল পরিপক্কতা, কম উৎপাদন খরচ, ফসল ফলানোর জন্য উন্নত মাটির ভৌত অবস্থা এবং কম মিথেন নির্গমন।

.

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএও) আকবর হোসেন বলেন, তারা উপজেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে ডিএসআর পদ্ধতিতে প্রায় একশ বিঘা জমিতে ধান চাষে সহযোগীতা করেছেন।তিনি বলেন, আগামিতে সেচ সাশ্রয়ী হিসেবে ডিএসআর পদ্ধতিতে ধানচাষে কৃষকেরা আগ্রহী হবেন।#


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনার ফরিদপুরে ২ শতাধিক কারখানায় অবাধে তৈরি হচ্ছে অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল

error: Content is protected !!

তানোরে ধান চাষে ডিএসআর পাইলট প্রকল্প

আপডেট টাইম : ০২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেনঃ

 

রাজশাহীর তানোর প্রচন্ড খরাপ্রবণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। ফলে এখানে সেচ নির্ভর বোরো চাষে ব্যাপকভাবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার হয়।কিন্ত্ত তানোরে দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাচ্ছে। এদিকে তানোরে বোরো চাষে সেচ পানির সংকটের কথা মাথায় নিয়ে সেচ সাশ্রয়ী ও কম খরচে বোরো উৎপাদন নিশ্চিত করতে, ডাইরেক সীডেট রাইস (ডিএসআর) পাইলট প্রকল্প (পরীক্ষামুলক) হাতে নিয়েছে কৃষি বিভাগ।

.

জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপি),পাঁচন্দর ও বাধাইড় ইউনিয়নে (ইউপি) প্রায় একশ’ বিঘা জমিতে পরীক্ষামুলকভাবে ডিএসআর পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সেচ সাশ্রয়ী ধান চাষের জন্য একটি সম্ভাব্য সুবিধাজনক পদ্ধতি হল (ডিআরএস) পদ্ধতি, যা ঐতিহ্যবাহী রোপিত ধান (টিপিআর) চাষ পদ্ধতি থেকে আলাদা ।

.

ডিএসআর পদ্ধতিতে একই সঙ্গে চাষ, বীজ বপণ ও মইদেয়া যায়।এমনকি বীজ বপনের আগে সেচ সহ বা ছাড়াই ধানের বীজ মাটিতে রোপণ করা যায়। টিপিআর পদ্ধতিতে ধান চাষে সেচ লাগে প্রায় ১৪টি, কিন্ত্ত ডিএসআর পদ্ধতিতে সেচ লাগে মাত্র ৭টি।এই পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ কম হয়। ডিএসআর পদ্ধতিতে প্রথম সেচ (প্রাক-বপন ​​ছাড়া) বীজ বপনের ২১ দিন পরে প্রয়োজন । এটি রোপিত ধানের মতো নয়, যেখানে প্রথম তিন সপ্তাহে জলমগ্ন নিশ্চিত করতে প্রতিদিন পানি দিতে হয়।
এছাড়াও বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায় এটি শ্রম সাশ্রয় করে, কম সেচ প্রয়োজন, কম পরিশ্রম, দ্রুত ফসল পরিপক্কতা, কম উৎপাদন খরচ, ফসল ফলানোর জন্য উন্নত মাটির ভৌত অবস্থা এবং কম মিথেন নির্গমন।

.

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএও) আকবর হোসেন বলেন, তারা উপজেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে ডিএসআর পদ্ধতিতে প্রায় একশ বিঘা জমিতে ধান চাষে সহযোগীতা করেছেন।তিনি বলেন, আগামিতে সেচ সাশ্রয়ী হিসেবে ডিএসআর পদ্ধতিতে ধানচাষে কৃষকেরা আগ্রহী হবেন।#


প্রিন্ট