ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় গলায় রশি দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

ফরিদপুরের সালথায় প্রেমিকার সাথে অভিমান করে গলায় রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে অনিমেষ মন্ডল (২২) নামের এক যুবক। সোমবার সকাল ৬ টার দিকে প্রতিবেশিরা বাড়ির পাশের আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃত্যুদেহ উদ্বার করে। অনিমেষ আটঘর ইউনিয়নের সাড়ুকদিয়া গ্রামের হারান মন্ডলের ছেলে।

প্রতিবেশী ও সহপাঠিরা জানান, অনিমেষ একজন কৃষকের ছেলে, লেখাপড়া বেশি দূর করেনি, বড় ভাই ঢাকায় স্বর্নের ব্যবসা করে । সে ভাইয়ের সাথেই ঢাকাতে থাকতো। লকডাউনের কারনে বেশ কিছুদিন যাবৎ বাড়িতেই অবস্থান করছিলো।

সে পাশ্ববর্তী ভাঙ্গা উপজেলার কোন এক গ্রামের একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলো। বেশকিছুদিন তার প্রেমিকার সাথে যোগাযোগ ছিলো না। সে কারনে ভেঙ্গে পড়েছিলো অনিমেষ খাওয়া দাওয়াও ছেড়ে দিয়েছিলো ।

সোমবার সকালে চাচা নারান মন্ডল সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির পাশের বাথরুমে যাওয়ার সময় দেখে অনিমেষ আম গাছে ঝুলছে। তার ডাক চিৎকারে বাড়ির অন্যন্য লোক ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তার মৃত্যুদেহ উদ্বার করে।

অনিমেষের মা স্বরশতী মন্ডল বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় আমার ছেলে রাতে এক সাথে খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। কখন কোন সময় ঘর থেকে বেরিয়ে গলায় রশি নিয়ে আত্মহত্যা করলো আমরা জানতে পারি নাই।

কোন এক মেয়ের সাথে ওর প্রেম ছিলো ওর বন্ধুরা আমাদেরকে বলেছে। কিন্তু কোন মেয়ে কোথায় বাড়ি আমার বা আমার পরিবারের সাথে শেয়ার করে নাই। বেশ কিছুদিন আনমনা ছিলো, অনেকবার জিজ্ঞাসা করেছি ও কিছুই বলেনি আমাকে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

সালথায় গলায় রশি দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

আপডেট টাইম : ০২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরের সালথায় প্রেমিকার সাথে অভিমান করে গলায় রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে অনিমেষ মন্ডল (২২) নামের এক যুবক। সোমবার সকাল ৬ টার দিকে প্রতিবেশিরা বাড়ির পাশের আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃত্যুদেহ উদ্বার করে। অনিমেষ আটঘর ইউনিয়নের সাড়ুকদিয়া গ্রামের হারান মন্ডলের ছেলে।

প্রতিবেশী ও সহপাঠিরা জানান, অনিমেষ একজন কৃষকের ছেলে, লেখাপড়া বেশি দূর করেনি, বড় ভাই ঢাকায় স্বর্নের ব্যবসা করে । সে ভাইয়ের সাথেই ঢাকাতে থাকতো। লকডাউনের কারনে বেশ কিছুদিন যাবৎ বাড়িতেই অবস্থান করছিলো।

সে পাশ্ববর্তী ভাঙ্গা উপজেলার কোন এক গ্রামের একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলো। বেশকিছুদিন তার প্রেমিকার সাথে যোগাযোগ ছিলো না। সে কারনে ভেঙ্গে পড়েছিলো অনিমেষ খাওয়া দাওয়াও ছেড়ে দিয়েছিলো ।

সোমবার সকালে চাচা নারান মন্ডল সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির পাশের বাথরুমে যাওয়ার সময় দেখে অনিমেষ আম গাছে ঝুলছে। তার ডাক চিৎকারে বাড়ির অন্যন্য লোক ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তার মৃত্যুদেহ উদ্বার করে।

অনিমেষের মা স্বরশতী মন্ডল বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় আমার ছেলে রাতে এক সাথে খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। কখন কোন সময় ঘর থেকে বেরিয়ে গলায় রশি নিয়ে আত্মহত্যা করলো আমরা জানতে পারি নাই।

কোন এক মেয়ের সাথে ওর প্রেম ছিলো ওর বন্ধুরা আমাদেরকে বলেছে। কিন্তু কোন মেয়ে কোথায় বাড়ি আমার বা আমার পরিবারের সাথে শেয়ার করে নাই। বেশ কিছুদিন আনমনা ছিলো, অনেকবার জিজ্ঞাসা করেছি ও কিছুই বলেনি আমাকে।


প্রিন্ট