ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোদাগাড়ীতে পুকুরে মাছ ধরার সময় প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার

সেলিম সানোয়ার পলাশঃ

 

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় একটি সরকারি খাস পুকুরে মাছ ধরার সময় পুকুর থেকে পাথরের একটি প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। ২৬ এপ্রিল ২০২৫, বিকাল ৫টার সময় গোমা গ্রামে পুকুরে মাছ ধরার সময় স্থানীয় যুবক মোঃ নূরুল ইসলাম কাদার নিচ থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করেন। পুকরটিতে মাছ চাষ করেন ফাজিলপুর গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ মিলন (৩৫)।

.

উদ্ধারকৃত মূর্তিটির উচ্চতা ১ ফুট ৯ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ৯ কেজি ৯৯০ গ্রাম। মূর্তিটির বাম হাত এবং দুটি পা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি কষ্টি পাথরের তৈরি; তবে স্থানীয় গোদাগাড়ী স্বর্ণকার সমিতির সভাপতি শ্রী অমৃত সরকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, এটি পাথরের মূর্তি। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না এটি কষ্টি পাথরের কিনা।

.

খবর পেয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ এবং গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে মূর্তিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মূর্তিটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

.

স্থানীয়দের মধ্যে ধারণা, মূর্তিটি কোনো প্রাচীন দেবতার, যা ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করতে পারে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মূর্তির প্রকৃত ইতিহাস ও মূল্য যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে।

.

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গোটা এলাকায় ব্যাপক কৌতূহল ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা মূর্তিটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও গবেষণার দাবি জানিয়েছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

গোদাগাড়ীতে পুকুরে মাছ ধরার সময় প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০৩:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
সেলিম সানোয়ার পলাশ, গোদাগাড়ী (রাজশাহী ) প্রতিনিধি :

সেলিম সানোয়ার পলাশঃ

 

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় একটি সরকারি খাস পুকুরে মাছ ধরার সময় পুকুর থেকে পাথরের একটি প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। ২৬ এপ্রিল ২০২৫, বিকাল ৫টার সময় গোমা গ্রামে পুকুরে মাছ ধরার সময় স্থানীয় যুবক মোঃ নূরুল ইসলাম কাদার নিচ থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করেন। পুকরটিতে মাছ চাষ করেন ফাজিলপুর গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ মিলন (৩৫)।

.

উদ্ধারকৃত মূর্তিটির উচ্চতা ১ ফুট ৯ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ৯ কেজি ৯৯০ গ্রাম। মূর্তিটির বাম হাত এবং দুটি পা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি কষ্টি পাথরের তৈরি; তবে স্থানীয় গোদাগাড়ী স্বর্ণকার সমিতির সভাপতি শ্রী অমৃত সরকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, এটি পাথরের মূর্তি। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না এটি কষ্টি পাথরের কিনা।

.

খবর পেয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ এবং গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে মূর্তিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মূর্তিটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

.

স্থানীয়দের মধ্যে ধারণা, মূর্তিটি কোনো প্রাচীন দেবতার, যা ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করতে পারে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মূর্তির প্রকৃত ইতিহাস ও মূল্য যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে।

.

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গোটা এলাকায় ব্যাপক কৌতূহল ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা মূর্তিটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও গবেষণার দাবি জানিয়েছেন।


প্রিন্ট