ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo যশোরে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি, দিশেহারা কৃষক Logo তানোরে ভিক্ষক পুনর্বাসনে ছাগল ও নগদ অর্থ বিতরণ Logo তানোরে প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিত পুকুর ভরাট ? Logo বাঘায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’২৫ উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo রূপগঞ্জে নবগঠিত তাঁতবাজার মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির মতবিনিময় Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন Logo লালপুরে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ল টি-স্টল, দিশেহারা পরিবার Logo লালপুরে আইনগত সহায়তা দিবস ও আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়া আপসহীন নেত্রী আর শেখ হাসিনা আপসকামি ভারতের তাবেদারঃ -অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম Logo নিক্সন চৌধুরীর সহযোগী যুবলীগ নেতা মামুন গ্রেফতার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পৌরসভার আইন অমান্য

পুলিশের ক্ষমতার দাপটে প্রাচীর নির্মান, চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীর চরম দুর্ভোগ

ইস্রাফিল হোসেন ইমনঃ

বাড়ি নির্মানের ক্ষেত্রে পৌর আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাকাদালান ঘর নির্মান। প্রতিবেশিদের শুধুই ভোগান্তিতে ফেলার লক্ষ্যে চরম অনৈতিক ভাবে রাস্তার অংশে প্রচীর নির্মান করেছে প্রভাবশালী এক পুলিশ সদস্য।

.

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ এস আই আলম রাস্তার উপর অযাচিত ভাবে প্রাচীর নির্মান করেছে।

.

ফলে রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়ায় জনভোগান্তির মুখে পড়েছে ওই পরিবারগুলো। এ বিষয়ে ভেড়ামারা পৌরসভায় প্রাচীর অপসরনের দাবী করে লিখিত আবেদন করেও কোন প্রতিকার মেলেনি।

.

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ভেড়ামারার বামানপাড়া এলাকার টালু বিশ্বাসের প্লট আকারে জমি বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ভেড়ামারা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আজিজ বিড়ি মোড় সংলগ্ন বামনপাড়ায় জমি ক্রয় করে জমির মালিক হন বামনপাড়ার মৃত আব্দুর রহিম ঘোষ’র পুত্র পুলিশের এ এস আই মোঃ আলম হোসেন।

.

ভেড়ামারার পরিচিত মুখ আয়কর আইনজীবি মনির উদ্দীন এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত র্পোট অফিসার নাজমুল হক সিদ্দিক সহ অনেকেই উক্ত বিষয় অভিযোগ করেছেন। তারা বলেন, ২০১৮ সালে ওই জমিতে ২য় তলা বিশিষ্ট দালান ঘর নির্মান করেন পুলিশের এ এস আই মোঃ আলম ( বর্তমানে খুলনা থানায় কর্মরত)। পৌর এলাকায় বসতবাড়ি নির্মানের ক্ষেত্রে পৌর আইনের ইমারত নির্মান বিধিমালা ১৯৯৬ এবং স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইন ২০০৯ আইন অনুযায়ী ২ ফিট ৯ ইঞ্জি জায়গা ফেলে রেখে বসত বাড়ি নির্মানের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি তার জমির সীমানা অনুযায়ী দ্বিতল বিশিষ্ট দালান ঘর নির্মান করেন।

.

স্থানীয়রা বলছেন, যা অনৈতিক এবং ক্ষমতার স্পষ্ট লংঘন। এসময়ে পাশাপাশি বির্ল্ডিং ঘর নির্মান করেন আয়কর আইনজীবি মনির উদ্দীন এবং নৌ বাহিনী কর্মকর্তা নাজমুল। প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ এবং তাদেরকে শুধুমাত্র ভোগান্তিতে রাখার লক্ষ্যেই ২০২৩ সালে মোঃ আলম কোন কারন ছাড়াই অযৌক্তিক ভাবে ঘরের ওয়ালের পাশে আরো একটি সীমানা প্রচীর জোর পূর্বক নির্মান করেন। যার কারনে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছে ওই গলি মুখের পরিবার গুলো।

.

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আয়কর আইনজীবি মনির উদ্দীন মনির জানিয়েছেন, পৌর আইন মেনেই আমাদের বসতবাড়ি নির্মান করেছি। কিন্তু মোঃ আলম পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করে, পৌর আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুরো জমির উপর দালান ঘর নির্মান করেছে। যা সর্ম্পূন অনৈতিক। আবার তিনি অযৌক্তিক ভাবে সীমানা ওয়ালের পাশে আরেকটি হাটু সমান প্রাচীর নির্মান করে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী করে ফেলেছে। ওই প্রাচীর উচ্ছেদ এবং অপসারনের দাবীতে ভেড়ামারা পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কোন কারনে এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

.

অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনী কর্মকর্তা নাজমুল হক সিদ্দিকী জানিয়েছেন, মোঃ আলম পুলিশের একজন এ এস আই। তিনি বর্তমানে খুলনা থানায় কর্মরত আছে। তিনি অপ্রয়োজনীয় একটি ওয়াল নির্মান করে অশান্তি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। যা কাম্য নয়। জনজীবন স্বাভাবিকের স্বার্থে এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে সৌহাদ্যপূর্ন সর্ম্পক প্রতিষ্টা করতে অবাঞ্চিত ওই ওয়াল উচ্ছেদ করা একান্ত প্রয়োজন।

.

এ বিষয়ে পুলিশের এএসআই মোঃ আলম সীমানা প্রচীর নির্মানের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি টাকা দিয়ে জমি কিনেছি। এখন ওই জমির দাম ১৫/২০ লক্ষ টাকা শতক। পৌর আইন অনুযায়ী ২ ফিট জায়গা ফেলে রাখতে হয়, এটা আমি জানি। আমি টাকা দিয়ে জমি কিনে ওই জায়গা কেন ফেলে রাখবো। এক্ষেত্রে পৌর আইন দেখার কোন প্রয়োজন নেই। আমার টাকা দিয়ে কেনা জমিতে কেউ রাস্তা করুক এটা আমি চাই না।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

যশোরে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি, দিশেহারা কৃষক

error: Content is protected !!

পৌরসভার আইন অমান্য

পুলিশের ক্ষমতার দাপটে প্রাচীর নির্মান, চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীর চরম দুর্ভোগ

আপডেট টাইম : ১২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
ইস্রাফিল হোসেন ইমন, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

ইস্রাফিল হোসেন ইমনঃ

বাড়ি নির্মানের ক্ষেত্রে পৌর আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাকাদালান ঘর নির্মান। প্রতিবেশিদের শুধুই ভোগান্তিতে ফেলার লক্ষ্যে চরম অনৈতিক ভাবে রাস্তার অংশে প্রচীর নির্মান করেছে প্রভাবশালী এক পুলিশ সদস্য।

.

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ এস আই আলম রাস্তার উপর অযাচিত ভাবে প্রাচীর নির্মান করেছে।

.

ফলে রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়ায় জনভোগান্তির মুখে পড়েছে ওই পরিবারগুলো। এ বিষয়ে ভেড়ামারা পৌরসভায় প্রাচীর অপসরনের দাবী করে লিখিত আবেদন করেও কোন প্রতিকার মেলেনি।

.

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ভেড়ামারার বামানপাড়া এলাকার টালু বিশ্বাসের প্লট আকারে জমি বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ভেড়ামারা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আজিজ বিড়ি মোড় সংলগ্ন বামনপাড়ায় জমি ক্রয় করে জমির মালিক হন বামনপাড়ার মৃত আব্দুর রহিম ঘোষ’র পুত্র পুলিশের এ এস আই মোঃ আলম হোসেন।

.

ভেড়ামারার পরিচিত মুখ আয়কর আইনজীবি মনির উদ্দীন এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত র্পোট অফিসার নাজমুল হক সিদ্দিক সহ অনেকেই উক্ত বিষয় অভিযোগ করেছেন। তারা বলেন, ২০১৮ সালে ওই জমিতে ২য় তলা বিশিষ্ট দালান ঘর নির্মান করেন পুলিশের এ এস আই মোঃ আলম ( বর্তমানে খুলনা থানায় কর্মরত)। পৌর এলাকায় বসতবাড়ি নির্মানের ক্ষেত্রে পৌর আইনের ইমারত নির্মান বিধিমালা ১৯৯৬ এবং স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইন ২০০৯ আইন অনুযায়ী ২ ফিট ৯ ইঞ্জি জায়গা ফেলে রেখে বসত বাড়ি নির্মানের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি তার জমির সীমানা অনুযায়ী দ্বিতল বিশিষ্ট দালান ঘর নির্মান করেন।

.

স্থানীয়রা বলছেন, যা অনৈতিক এবং ক্ষমতার স্পষ্ট লংঘন। এসময়ে পাশাপাশি বির্ল্ডিং ঘর নির্মান করেন আয়কর আইনজীবি মনির উদ্দীন এবং নৌ বাহিনী কর্মকর্তা নাজমুল। প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ এবং তাদেরকে শুধুমাত্র ভোগান্তিতে রাখার লক্ষ্যেই ২০২৩ সালে মোঃ আলম কোন কারন ছাড়াই অযৌক্তিক ভাবে ঘরের ওয়ালের পাশে আরো একটি সীমানা প্রচীর জোর পূর্বক নির্মান করেন। যার কারনে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছে ওই গলি মুখের পরিবার গুলো।

.

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আয়কর আইনজীবি মনির উদ্দীন মনির জানিয়েছেন, পৌর আইন মেনেই আমাদের বসতবাড়ি নির্মান করেছি। কিন্তু মোঃ আলম পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করে, পৌর আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুরো জমির উপর দালান ঘর নির্মান করেছে। যা সর্ম্পূন অনৈতিক। আবার তিনি অযৌক্তিক ভাবে সীমানা ওয়ালের পাশে আরেকটি হাটু সমান প্রাচীর নির্মান করে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী করে ফেলেছে। ওই প্রাচীর উচ্ছেদ এবং অপসারনের দাবীতে ভেড়ামারা পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কোন কারনে এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

.

অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনী কর্মকর্তা নাজমুল হক সিদ্দিকী জানিয়েছেন, মোঃ আলম পুলিশের একজন এ এস আই। তিনি বর্তমানে খুলনা থানায় কর্মরত আছে। তিনি অপ্রয়োজনীয় একটি ওয়াল নির্মান করে অশান্তি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। যা কাম্য নয়। জনজীবন স্বাভাবিকের স্বার্থে এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে সৌহাদ্যপূর্ন সর্ম্পক প্রতিষ্টা করতে অবাঞ্চিত ওই ওয়াল উচ্ছেদ করা একান্ত প্রয়োজন।

.

এ বিষয়ে পুলিশের এএসআই মোঃ আলম সীমানা প্রচীর নির্মানের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি টাকা দিয়ে জমি কিনেছি। এখন ওই জমির দাম ১৫/২০ লক্ষ টাকা শতক। পৌর আইন অনুযায়ী ২ ফিট জায়গা ফেলে রাখতে হয়, এটা আমি জানি। আমি টাকা দিয়ে জমি কিনে ওই জায়গা কেন ফেলে রাখবো। এক্ষেত্রে পৌর আইন দেখার কোন প্রয়োজন নেই। আমার টাকা দিয়ে কেনা জমিতে কেউ রাস্তা করুক এটা আমি চাই না।


প্রিন্ট