ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

যশোরে ৬২ রাইস মিলের লাইসেন্স বাতিল

মোঃ নূর ই আলমঃ

 

অবশেষে যশোর জেলার ৬২টি রাইস মিলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আমন মৌসুমে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি না করায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ না করায় অনেক মিল মালিকের জামানত কর্তন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ।

.

সূত্র জানিয়েছে, যশোর জেলায় সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য মোট ১৬৩টি মিলের সঙ্গে চুক্তি হয়। এর মধ্যে ১০১টি মিল চাল সরবরাহে সম্মত হয়। কিন্তু বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও বাকি ৬২টি মিল চুক্তি করেনি। লাইসেন্সপ্রাপ্ত মিলগুলোর জন্য চুক্তি বাধ্যতামূলক হলেও, এসব মিল মালিক গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো চিঠির সন্তোষজনক জবাব দেননি।

.

জেলা খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, গেল আমন মৌসুমে যশোর জেলায় ১৪ হাজার ২৪৭ টন সিদ্ধ চাল ও ৮০১ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে মিল মালিকদের অসহযোগিতার কারণে মাত্র ৭ হাজার ৩৭০ টন চাল সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে। এর ফলে আমন মৌসুমের চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।

.

বাতিল হওয়া ৬২টি লাইসেন্সের মধ্যে ১০টি অটো রাইস মিল এবং ৫২টি হাস্কিং রাইস মিল রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ না করায় অনেক মিলারের জামানতও কর্তন করা হয়েছে।

.

এদিকে, চুক্তিবদ্ধ কয়েকজন মিলার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সরকার ৪৭ টাকা কেজি দরে চাল কিনছে, অথচ বাজারে চালের দাম অনেক বেশি। এজন্য তারা বারবার চালের সরকারি সংগ্রহমূল্য বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন, কিন্তু সরকার সে দাবি আমলে নেয়নি। ফলে নির্ধারিত মূল্যে চাল সরবরাহ করলে তাদের পুঁজির ক্ষতি হচ্ছিল।

.

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেফাউর রহমান জানান, ৬২ মিলারের লাইসেন্স চলতি মাসে বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ‘অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ আদেশ, ২০২২’-এর ৭ ও ৮ নম্বর বিধান অনুযায়ী এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

যশোরে ৬২ রাইস মিলের লাইসেন্স বাতিল

আপডেট টাইম : ১১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
মোঃ নূর ই আলম, যশোর জেলা প্রতিনিধি :

মোঃ নূর ই আলমঃ

 

অবশেষে যশোর জেলার ৬২টি রাইস মিলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আমন মৌসুমে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি না করায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ না করায় অনেক মিল মালিকের জামানত কর্তন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ।

.

সূত্র জানিয়েছে, যশোর জেলায় সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য মোট ১৬৩টি মিলের সঙ্গে চুক্তি হয়। এর মধ্যে ১০১টি মিল চাল সরবরাহে সম্মত হয়। কিন্তু বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও বাকি ৬২টি মিল চুক্তি করেনি। লাইসেন্সপ্রাপ্ত মিলগুলোর জন্য চুক্তি বাধ্যতামূলক হলেও, এসব মিল মালিক গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো চিঠির সন্তোষজনক জবাব দেননি।

.

জেলা খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, গেল আমন মৌসুমে যশোর জেলায় ১৪ হাজার ২৪৭ টন সিদ্ধ চাল ও ৮০১ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে মিল মালিকদের অসহযোগিতার কারণে মাত্র ৭ হাজার ৩৭০ টন চাল সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে। এর ফলে আমন মৌসুমের চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।

.

বাতিল হওয়া ৬২টি লাইসেন্সের মধ্যে ১০টি অটো রাইস মিল এবং ৫২টি হাস্কিং রাইস মিল রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ না করায় অনেক মিলারের জামানতও কর্তন করা হয়েছে।

.

এদিকে, চুক্তিবদ্ধ কয়েকজন মিলার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সরকার ৪৭ টাকা কেজি দরে চাল কিনছে, অথচ বাজারে চালের দাম অনেক বেশি। এজন্য তারা বারবার চালের সরকারি সংগ্রহমূল্য বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন, কিন্তু সরকার সে দাবি আমলে নেয়নি। ফলে নির্ধারিত মূল্যে চাল সরবরাহ করলে তাদের পুঁজির ক্ষতি হচ্ছিল।

.

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেফাউর রহমান জানান, ৬২ মিলারের লাইসেন্স চলতি মাসে বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ‘অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ আদেশ, ২০২২’-এর ৭ ও ৮ নম্বর বিধান অনুযায়ী এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


প্রিন্ট