মোঃ আব্দুল জব্বার ফারুকঃ
পারিবারিক পুষ্টি বাগান করে সংসারে নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ১নং শাহাগোলা ইউনিয়নের মাগুরাপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কারিগরি সহযোগিতায় সড়কের পাশে অনাবাদি পতিত জমিতে পারিবারিক নিরাপদ পুষ্টি বাগান গড়ে তুলেছেন এলাকাবাসী।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর “অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
হাতিয়াপাড়া গ্রামের রইছ, রবিউল, মির্জাপুর গ্রামের ফেরদৌস ও ডিজেল জানান, পতিত থাকা দেড় শতাংশ জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। ফেরোমন ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে পোকামাকড় দমন করা হয়।
পুষ্টি বাগানে রয়েছে করলা, ঢেঁড়স, কলমি শাক, পুঁইশাক, বরবটি, লাউ, শিম, লাল শাক, মরিচ ইত্যাদি। এছাড়াও বসতভিটার চারপাশে কলা, আম, পেয়ারা, জাম ও লিচুর গাছ লাগানো হয়েছে। পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান থেকে।
মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কারিগরি পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছেন।
“বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে এক শতটি করে পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন আত্রাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, বসতবাড়ির আঙ্গিনার পাশাপাশি বিশেষ করে যেখানে পতিত জমি রয়েছে, সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারিবারিক নিরাপদ পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে। পারিবারিক পুষ্টি বাগান পরিবারের নিরাপদ পুষ্টি চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেন আত্রাই উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার।
প্রিন্ট