ইসমাইল হোসেন বাবুঃ
৭১’র মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকেই অস্ত্র জমা না দিয়ে এলাকাতে জাসদ গণবাহিনী সৃষ্টি করে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করেছিল। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলার অধিকাংশ রাস্তা ঘাট পাকা করে জনদূর্ভোগ থেকে মানুষকে মুক্ত করেছিলাম। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পুলিশ ক্যাম্প সরিয়ে নিয়ে তাদের দলীয় লোকজন দিয়ে সাধারণ মানুুষকে আবারও নির্যাতন শুরু করেছিল।
.
২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে মিরপুর উপজেলাধীন মালিহাদ ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
.
এছাড়াও তিনি বলেন, সাধারণ জনগণের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও জনগণের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য জনপ্রতিনিধির কোন বিকল্প নেই। তাই অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবে ২০০৮ সালে কারচুপির মাধ্যমে নীল নক্সার নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছিল। ২০১৪ সালে বিনা ভোটে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে বার বার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে তিনি তার পিতার পথ ধরে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীসহ বিএনপি’র হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে প্রশাসন দিয়ে গুম করেছে হাসিনা। হাসিনার আমলে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে পঙ্গত্ব বরণ করতে হয়েছে। এসবের জন্য স্বৈরাচার হাসিনার বাংলার মাটিতে বিচার হতে হবে।
.
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আশরাফুজ্জামান শাহীন। এসময় উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি’র হাজারো নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
.
সম্মেলন শেষে নুরে আল আমিন বুলবুলকে সভাপতি, আকরাম আলীকে সিনিয়র সহ সভাপতি, নজরুল ইসলামকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আশাদুল হককে সাধারণ সম্পাদক ও মকলেছুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে মালিহাদ ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়।
প্রিন্ট