ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় এক দোকানীর করোনা উপসর্গে মৃত্যুঃ পরিবারের দাবি পিটিয়ে হত্যা!

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের তুগুলদিয়া গ্রামের মুন্নু কারীকর (৫৫) নামের এক দোকানী করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরন করেছে। পরিবারের দাবি সে আঘাতের কারনেই মারা গেছে। মুন্নু কারিকর ওই গ্রামের আয়না কারিকরের ছেলে। সে পেশায় একজন কৃষক ও নিজের বাড়িতে দোকানঘর তুলে মুদি মালামাল বিক্রি করতেন।

প্রতিবেশীরা কয়েকজন জানান, মুন্নু কারিকর বেশকিছু দিন যাবৎ অসুস্থ্য ছিলেন, ঘরের বিছানায় শুয়ে থাকতেন ছেলেমেয়েরা দোকানের মালামাল বিক্রি করতো। গত এক সপ্তাহ নাগাত জ্বর, কাঁশি, ঠান্ডা, মাথা ব্যাথা ও হাঁপানিতেও ভুগছিলো সে। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা চলছিলো তার। গতকাল (২৩) জুলাই বিকালে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট বেশি হলে স্থানীয় এক পল্লীচিকিৎসকের কাছে নিয়ে দেখিয়ে ঔষধ আনা হয়। বাড়িতে আসলেই সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

মৃত্যু ব্যক্তির স্ত্রী আমেনা বেগমের অভিযোগ কয়েকদিন আগে প্রতিবেশী কয়েকজনের মাইরের আঘাতে সে বিছানায় কার্তাচ্ছিল। টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা দিতে পারছিলাম না। তার উপর হামলার সময় তাকে বুকে লাথ্থি মেরেছিলো, সেই আঘাতেই ধম বন্ধ হয়ে সে মারা গেছে। তার কোন করোনা ছিলো না।

আমেনা বেগম আরো জানান গত শুক্রবার ১৬ জুলাই তার স্বামী কে প্রতিবেশী জুয়েল মোল্লা ও তার ভাই মিন্টু মোল্লা পুকুরের ঘাটলা ভাঙ্গা নিয়ে প্রচুর মারধর করে বুকে লাথ্থির আঘাত লাগে। সেই থেকে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ভালো চিকিৎসা দিতে পারি নাই তাই আজ সে চলে গেল। কিছু লোক আমার স্বামীর করোনা হয়ছিলো বলে চালিয়ে দিতে চায়, আসলে তার কোন করোনা হয়নি। এটা হত্যাকান্ড, আমি এই হত্যার বিচার চাই।

অপরদিকে অভিযুক্ত জুয়েল মোল্লা বলেন, ঘটনার দিন আমি ও আমার ভাই মিন্টু তাকে মারধর করি নাই। তার মেয়ের জামাইয়ের সাথে হাতাহাতি হয়েছিলো মাত্র। সে ঠেকাতে গেলে তার ধাক্কা লাগে। কিন্তু আমরা তাকে মারধর করি নাই। আর আজ এতোদিন সে মারা গেল তার জন্য আমরা দায়ি হতে পারি না। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

এ ব্যাপারে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ আসিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যু সঠিক কারন নির্নয়ের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

সালথায় এক দোকানীর করোনা উপসর্গে মৃত্যুঃ পরিবারের দাবি পিটিয়ে হত্যা!

আপডেট টাইম : ০২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের তুগুলদিয়া গ্রামের মুন্নু কারীকর (৫৫) নামের এক দোকানী করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরন করেছে। পরিবারের দাবি সে আঘাতের কারনেই মারা গেছে। মুন্নু কারিকর ওই গ্রামের আয়না কারিকরের ছেলে। সে পেশায় একজন কৃষক ও নিজের বাড়িতে দোকানঘর তুলে মুদি মালামাল বিক্রি করতেন।

প্রতিবেশীরা কয়েকজন জানান, মুন্নু কারিকর বেশকিছু দিন যাবৎ অসুস্থ্য ছিলেন, ঘরের বিছানায় শুয়ে থাকতেন ছেলেমেয়েরা দোকানের মালামাল বিক্রি করতো। গত এক সপ্তাহ নাগাত জ্বর, কাঁশি, ঠান্ডা, মাথা ব্যাথা ও হাঁপানিতেও ভুগছিলো সে। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা চলছিলো তার। গতকাল (২৩) জুলাই বিকালে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট বেশি হলে স্থানীয় এক পল্লীচিকিৎসকের কাছে নিয়ে দেখিয়ে ঔষধ আনা হয়। বাড়িতে আসলেই সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

মৃত্যু ব্যক্তির স্ত্রী আমেনা বেগমের অভিযোগ কয়েকদিন আগে প্রতিবেশী কয়েকজনের মাইরের আঘাতে সে বিছানায় কার্তাচ্ছিল। টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা দিতে পারছিলাম না। তার উপর হামলার সময় তাকে বুকে লাথ্থি মেরেছিলো, সেই আঘাতেই ধম বন্ধ হয়ে সে মারা গেছে। তার কোন করোনা ছিলো না।

আমেনা বেগম আরো জানান গত শুক্রবার ১৬ জুলাই তার স্বামী কে প্রতিবেশী জুয়েল মোল্লা ও তার ভাই মিন্টু মোল্লা পুকুরের ঘাটলা ভাঙ্গা নিয়ে প্রচুর মারধর করে বুকে লাথ্থির আঘাত লাগে। সেই থেকে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ভালো চিকিৎসা দিতে পারি নাই তাই আজ সে চলে গেল। কিছু লোক আমার স্বামীর করোনা হয়ছিলো বলে চালিয়ে দিতে চায়, আসলে তার কোন করোনা হয়নি। এটা হত্যাকান্ড, আমি এই হত্যার বিচার চাই।

অপরদিকে অভিযুক্ত জুয়েল মোল্লা বলেন, ঘটনার দিন আমি ও আমার ভাই মিন্টু তাকে মারধর করি নাই। তার মেয়ের জামাইয়ের সাথে হাতাহাতি হয়েছিলো মাত্র। সে ঠেকাতে গেলে তার ধাক্কা লাগে। কিন্তু আমরা তাকে মারধর করি নাই। আর আজ এতোদিন সে মারা গেল তার জন্য আমরা দায়ি হতে পারি না। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

এ ব্যাপারে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ আসিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যু সঠিক কারন নির্নয়ের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।


প্রিন্ট