ঢাকা , রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দৌলতপুরে হাজার হাজার নেতা কর্মী নিয়ে বিএনপির ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’

মোঃ জিয়াউর রহমানঃ

 

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে সোমবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার নেতৃত্বে তারাগুনিয়া বাজার থেকে বর্নাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

.

শোভাযাত্রায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বিল্লাল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশিদ, আতাউর রহমান, সদস্য শামীম রেজা, ফজলুর রহমান, আকবর আলী, যুবদল আহবায়ক বেনজির আহমেদ বাচ্চুসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেয়।

.

এ সময় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সংবদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, বাংলা নববর্ষ উৎসব বাঙ্গালীদের প্রাণের উৎসব। এ উৎসব এখন আর শুধু বাঙ্গালীদের উৎসবের মধ্যে সীমাবন্ধ নয়, বরং বাংলাদেশে এটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য উৎসবের মত নববর্ষের উৎসবকেও ফ্যাসিষ্টরা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। গত ১৭ বছর ফ্যাসিষ্টরা বিএনপির দলীয় কর্মসূচীর পাশাপাশি উৎসব পালন করতেও দেয়নি।

.

তাই ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশে এবার সবাই দলমত নির্বিশেষে সকলের মধ্যে উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে। আনন্দ শোভাযাত্রায় হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মীর উপস্থিতি প্রমান করে মুক্তপ্রাণে এবারের নববর্ষের উৎসব উদযাপনক রছে দেশবাসী। আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ দৌলতপুর বাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা।

.

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় আনন্দ শোভাযাত্রা, উপজেলা পরিষদ চত্বরে পান্তা খাওয়া, গ্রামীন মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় আনন্দ শোভাযাত্রা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্ত মঞ্চ চত্বরে এসে শেষ হয়।

.

বাঙালীদের প্রাণের খাবার পান্তা ভাত খাওয়া শেষে বেলা সাড়ে ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরের মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপজেলা শিল্পকলার শিল্পিসহ স্থানীয়রা গান ও নৃত্ত পরিবেশন করেন। উৎসব উপলক্ষে কৃষি অফিস চত্বরে দিন ব্যাপী গ্রামীর লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় নাগর দোলাসহ নানা ধরনের গ্রামীন লোকজ পণ্যের ষ্টল বসানো হয়।

.

এসব আয়োজনে উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, সাংবাদিক, শিক্ষক, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ অংশ নেন। মেলায় প্রচুর দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল।

.

এছাড়াও উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করা হয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

দৌলতপুরে হাজার হাজার নেতা কর্মী নিয়ে বিএনপির ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’

আপডেট টাইম : ০৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
মোঃ জিয়াউর রহমান দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

মোঃ জিয়াউর রহমানঃ

 

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে সোমবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার নেতৃত্বে তারাগুনিয়া বাজার থেকে বর্নাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

.

শোভাযাত্রায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বিল্লাল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশিদ, আতাউর রহমান, সদস্য শামীম রেজা, ফজলুর রহমান, আকবর আলী, যুবদল আহবায়ক বেনজির আহমেদ বাচ্চুসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেয়।

.

এ সময় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সংবদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, বাংলা নববর্ষ উৎসব বাঙ্গালীদের প্রাণের উৎসব। এ উৎসব এখন আর শুধু বাঙ্গালীদের উৎসবের মধ্যে সীমাবন্ধ নয়, বরং বাংলাদেশে এটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য উৎসবের মত নববর্ষের উৎসবকেও ফ্যাসিষ্টরা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। গত ১৭ বছর ফ্যাসিষ্টরা বিএনপির দলীয় কর্মসূচীর পাশাপাশি উৎসব পালন করতেও দেয়নি।

.

তাই ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশে এবার সবাই দলমত নির্বিশেষে সকলের মধ্যে উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে। আনন্দ শোভাযাত্রায় হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মীর উপস্থিতি প্রমান করে মুক্তপ্রাণে এবারের নববর্ষের উৎসব উদযাপনক রছে দেশবাসী। আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ দৌলতপুর বাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা।

.

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় আনন্দ শোভাযাত্রা, উপজেলা পরিষদ চত্বরে পান্তা খাওয়া, গ্রামীন মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় আনন্দ শোভাযাত্রা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্ত মঞ্চ চত্বরে এসে শেষ হয়।

.

বাঙালীদের প্রাণের খাবার পান্তা ভাত খাওয়া শেষে বেলা সাড়ে ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরের মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপজেলা শিল্পকলার শিল্পিসহ স্থানীয়রা গান ও নৃত্ত পরিবেশন করেন। উৎসব উপলক্ষে কৃষি অফিস চত্বরে দিন ব্যাপী গ্রামীর লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় নাগর দোলাসহ নানা ধরনের গ্রামীন লোকজ পণ্যের ষ্টল বসানো হয়।

.

এসব আয়োজনে উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, সাংবাদিক, শিক্ষক, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ অংশ নেন। মেলায় প্রচুর দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল।

.

এছাড়াও উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করা হয়।


প্রিন্ট