দীপঙ্কর পোদ্দার অপুঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চর দৈতরকাঠি গ্রামের শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী মো. আবুল কালাম আজাদ (৫২)-এবং ভাড়ালিয়ারচর গ্রামের মো: আবুল হোসেন (৩২) কে নগদ অর্থ এবং আবুল কালাম আজাদকে বিভিন্ন সময় নগদ অর্থ, ঔষধ, ক্ষুদ্র দোকানের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য কিনে দেন রক্ত যোদ্ধা হিসেবে খ্যাত সুমন রাফি। এবারও দুই প্রতিবন্ধীর পাশে দাঁড়ালেন মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত ‘রক্তযোদ্ধা’ সুমন রাফি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে কালাম আজাদের ক্ষুদ্র দোকানের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য কিনে দেন তিনি। পণ্যগুলো তার হাতে তুলে দিয়ে কাজের নতুন প্রেরণা জোগান এই স্বেচ্ছাসেবক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কর্মক্ষমতা হারান আবুল কালাম আজাদ। এরপর নানা প্রতিকূলতায় মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকেন। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালে সুমন রাফি তার খোঁজ পেয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। কখনো নগদ অর্থ, কখনো ওষুধ দিয়ে নিয়মিত সহায়তা করে আসছেন তিনি।
কালাম আজাদের স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামীর অসুস্থতার সময় সুমন রাফি ভাই আমাদের পাশে ছিলেন। আজ তিনি আমাদের দোকান চালু রাখার জন্য নানা প্রয়োজনীয় পণ্য এনে দিলেন। আমি তাঁর জন্য দোয়া করি।”
নিজেও আবেগঘন কণ্ঠে কালাম আজাদ বলেন, “সুমন ভাই শুধু সহযোগিতা করেন না, আমাদের পাশে থাকেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অন্যদিকে (২২ মার্চ )দুপুরে শারিরীক প্রতিবন্ধী আবুল হোসেনকে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নগদ অর্থ তার হাতে তুলে দেন। নগদ অর্থ হাতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শারিরীক প্রতিবন্ধী আবুল হোসেন।
আবুল হোসেন বলেন, আমার বয়স এখন ৩২ বছর। দুই বছর বয়স থেকে আমি শারিরীক প্রতিবন্ধী, সেই সময় থেকে আমি মানুষের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা নিয়ে বেঁচে আছি। আজ সুমন ভাই আমাকে কর্মসংস্থানের জন্য নগদ অর্থ দিয়েছেন। সে অর্থ দিয়ে আমি দুধ বিক্রি করে জীবন যাপন করবো। এ সময় মানবিক সুমন রাফির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রক্তযোদ্ধা সুমন রাফি বলেন, কোথায় কোন অসহায়, অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী, বস্ত্রহীন, কর্মহীন,লোকদের সহযোগিতা করে, এমনকি স্কুল, মাদ্রাসা, এতিমখানায় বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করি এছাড়া বিভিন্ন রাস্তা, মাদ্রাসা, মসজিদ, স্টেশনের গাছ লাগিয়ে থাকি। ভবিষ্যতেও মানবতার এই কাজ চালিয়ে যাব।
প্রিন্ট