ইসমাইল হােসেন বাবুঃ
কুষ্টিয়ায় ‘ধর্ষণের শিকার’ ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছে। গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেয় সে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
.
এর আগে, গত মঙ্গলবার শিশুটির বাবা তার আপন ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় গত মঙ্গলবার। ওইদিন বিকেলেই তাকে আদালতে সৌপর্দ করা হয়। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
.
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে প্রসব বেদনা নিয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হয় এক কিশোরী। ওই দিন দুপুরে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে সে ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়।
.
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম বলেন, “প্রথমে রোগীর লোকজন সবকিছু গোপন করে প্রসূতি কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই ওই প্রসূতি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। ওই দিনই পরিবারের লোকজন গোপনে রোগীকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ায় তারা আবারো হাসপাতালে ফিরে আসেন।”
.
তিনি আরো বলেন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
.
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কিশোরী পরিবারের সঙ্গে কুষ্টিয়া শহরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। ২০২৪ সালের ২ মে গভীর রাতে ওই কিশোরীর ঘরে প্রবেশ করে তার চাচা।
.
পরে তিনি কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনার তিন মাস পর কিশোরীর দৈহিক পরিবর্তন চোখে পড়লে পরিবার বাসাটি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে বসবাস শুরু করে। পরে কিশোরী তার বাবা-মাকে জানায়, প্রথম দিনের পর একাধিকবার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত।
.
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নার্গিস খাতুন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবার করা মামলায় একমাত্র এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সৌপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে পর্যায়ক্রমে আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ ও ডিএনএ টেস্ট করা হবে।
প্রিন্ট