ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নড়াইলের কালিয়ার হামিদুপুরের দুই গ্রামের লোকজন পুুলিশি বাধায় ঈদে বাড়ি ফিরতে না পারায় মানববন্ধন 

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদুপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর ও হাজরাখালী গ্রামের লোকজন পুুলিশি বাধায় ঈদে বাড়ি ফিরতে না পেরে মানববন্ধন করেছে। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় কালিয়া উপজেলার হামিদুপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপর গ্রামের মোস্তফা স্টোরের সামনের রোডে এ এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করে।
এ সময় বক্তব্য দেন সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ, হাজরাখালী গ্রামের তৈয়েবুর রহমান টিংকু, হাজরাখালী গ্রামের নজরুল ইসলাম,মহাসিন প্রমূখ।
সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ সমর্থক হাজরাখালী গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, আমি বাজারে ব্যবসা করি। আমাকে বাড়ি যেতে দেয়না এবং আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট-পাট করে কমপক্ষে ১৬ লক্ষ টাকার বেশি নিয়ে গেছে।
হাজরাখালী গ্রামের তৈয়েবুর রহমান টিংকু অভিযোগ করে বলেন, ৩ বছরের বেশি সময় আমরা বাড়ি ছাড়া। পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারিনা, এমনকি ঈদের দিনও পরিবারের সাথে দেখা করতে পারিনা। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় এমপি কবিরুল হক মুক্তি ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধান করতে বলেছি। তাতে ও কোন ফল হয়নি।
৩নং হামিদুপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ অভিযোগ করে বলেন, আমার সমর্থকরা জামিন থাকার পরেও দর্ঘ্যদিন যাবৎ বাড়ি যেতে পারেনা। বিষয়টি নিয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার মৌখিকভাবে আলোচনা করলেও কোন লাভ হয়নি। আমরা আপনাদের মাধ্যমে আবারো জানাতে চাই আমরা কোন মারামারি করবোনা। আমাদের মারলে ও আমরা মার খাবো এবং পুলিশের সহযোগিতা চাইবো বাচার জন্য। কিন্ত চেয়ারম্যান পলি বেগম, ঠান্ডা মোল্য সহ তার লোকজনের মিথ্যা কথায় পুলিশ আমাদের লোকজনকে বাড়ি যেতে দিচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন, আমার সমর্থকরা প্রায় ৩০/৪০টি পরিবার প্রায় ৪/৫ বছর বাড়ি ছাড়া।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদুপুর ইউনিয়নে এলাকা আধিপথ্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা-মামলার ভয়ে বাড়ি-পরিবার ফেলে পালিয়ে বেচ্ছান প্রায় অর্ধশত পরিবারের পুরুষ মানুষ । দির্ঘ তিন বছরের অধিক সময় ধরে হাজরাখালী রামানন্দপুর ও সিলিমপুর গ্রামের এসব লোকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে ভূক্তভোগীরা জানায়। এ জন্য জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানাগেছে, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ৩নং হামিদুপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ এবং বর্তমান চেয়ারম্যান পলি বেগমের সাথে এলাকা আধিপথ্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিরোধ চলে আসছিল। এঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা হয়। মামলায় গোলাম মোহাম্মদসহ তার লোকজন আদালত থেকে জামিন পেলেও বর্তমান চেয়ারম্যান পলি বেগমসহ তার লোকজন বাড়িতে যেতে দিচ্ছেনা। ঈদকে সামনে রেখে বাড়ি ছাড়া পরিবারগুলো বাড়িতে আসতে চাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হামিদুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পলি বেগম ও ঠান্ডা মোল্যা অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, গোলাম মোর্শেদসহ তার লোকজন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা পুলিশ প্রশাসকে অনুরোধ করেছি আইন শৃংখলা শান্তিপূর্ণভাবে বজায় রাখতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন,আমরা কাউকে বাড়ি যেতে বাধা দিচ্ছিনা। তবে এলাকার শান্তি শৃংখলার জন্য উভয় পক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে স্থানীয় এমপি মহোদয়কে সাথে নিয়ে শুষ্ঠু সমাধান করার চেষ্টায় আছি।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

error: Content is protected !!

নড়াইলের কালিয়ার হামিদুপুরের দুই গ্রামের লোকজন পুুলিশি বাধায় ঈদে বাড়ি ফিরতে না পারায় মানববন্ধন 

আপডেট টাইম : ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১
খন্দকার সাইফুল্লা আল মাহমুদ, নড়াইল প্রতিনিধিঃ :
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদুপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর ও হাজরাখালী গ্রামের লোকজন পুুলিশি বাধায় ঈদে বাড়ি ফিরতে না পেরে মানববন্ধন করেছে। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় কালিয়া উপজেলার হামিদুপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপর গ্রামের মোস্তফা স্টোরের সামনের রোডে এ এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করে।
এ সময় বক্তব্য দেন সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ, হাজরাখালী গ্রামের তৈয়েবুর রহমান টিংকু, হাজরাখালী গ্রামের নজরুল ইসলাম,মহাসিন প্রমূখ।
সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ সমর্থক হাজরাখালী গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, আমি বাজারে ব্যবসা করি। আমাকে বাড়ি যেতে দেয়না এবং আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট-পাট করে কমপক্ষে ১৬ লক্ষ টাকার বেশি নিয়ে গেছে।
হাজরাখালী গ্রামের তৈয়েবুর রহমান টিংকু অভিযোগ করে বলেন, ৩ বছরের বেশি সময় আমরা বাড়ি ছাড়া। পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারিনা, এমনকি ঈদের দিনও পরিবারের সাথে দেখা করতে পারিনা। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় এমপি কবিরুল হক মুক্তি ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধান করতে বলেছি। তাতে ও কোন ফল হয়নি।
৩নং হামিদুপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ অভিযোগ করে বলেন, আমার সমর্থকরা জামিন থাকার পরেও দর্ঘ্যদিন যাবৎ বাড়ি যেতে পারেনা। বিষয়টি নিয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার মৌখিকভাবে আলোচনা করলেও কোন লাভ হয়নি। আমরা আপনাদের মাধ্যমে আবারো জানাতে চাই আমরা কোন মারামারি করবোনা। আমাদের মারলে ও আমরা মার খাবো এবং পুলিশের সহযোগিতা চাইবো বাচার জন্য। কিন্ত চেয়ারম্যান পলি বেগম, ঠান্ডা মোল্য সহ তার লোকজনের মিথ্যা কথায় পুলিশ আমাদের লোকজনকে বাড়ি যেতে দিচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন, আমার সমর্থকরা প্রায় ৩০/৪০টি পরিবার প্রায় ৪/৫ বছর বাড়ি ছাড়া।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদুপুর ইউনিয়নে এলাকা আধিপথ্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা-মামলার ভয়ে বাড়ি-পরিবার ফেলে পালিয়ে বেচ্ছান প্রায় অর্ধশত পরিবারের পুরুষ মানুষ । দির্ঘ তিন বছরের অধিক সময় ধরে হাজরাখালী রামানন্দপুর ও সিলিমপুর গ্রামের এসব লোকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে ভূক্তভোগীরা জানায়। এ জন্য জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানাগেছে, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ৩নং হামিদুপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ এবং বর্তমান চেয়ারম্যান পলি বেগমের সাথে এলাকা আধিপথ্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিরোধ চলে আসছিল। এঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা হয়। মামলায় গোলাম মোহাম্মদসহ তার লোকজন আদালত থেকে জামিন পেলেও বর্তমান চেয়ারম্যান পলি বেগমসহ তার লোকজন বাড়িতে যেতে দিচ্ছেনা। ঈদকে সামনে রেখে বাড়ি ছাড়া পরিবারগুলো বাড়িতে আসতে চাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হামিদুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পলি বেগম ও ঠান্ডা মোল্যা অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, গোলাম মোর্শেদসহ তার লোকজন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা পুলিশ প্রশাসকে অনুরোধ করেছি আইন শৃংখলা শান্তিপূর্ণভাবে বজায় রাখতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন,আমরা কাউকে বাড়ি যেতে বাধা দিচ্ছিনা। তবে এলাকার শান্তি শৃংখলার জন্য উভয় পক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে স্থানীয় এমপি মহোদয়কে সাথে নিয়ে শুষ্ঠু সমাধান করার চেষ্টায় আছি।

প্রিন্ট