ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মুকসুদপুরে সরকারি জায়গা দখল নিয়ে দুই ইউনিয়নবাসীর সংঘর্ষ, আহত অর্ধ শতাধিক Logo মাগুরাতে ২৬৩০ জন কৃষকের মাঝে বোরো হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ Logo কাশিয়ানীতে বিএডিসির পেঁয়াজ বীজে কৃষকের সর্বনাশ Logo শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার ভেড়ামারা শিক্ষা অফিসারকে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo ফরিদপুরে ৩৩ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৬ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত Logo চট্টগ্রামের পটিয়ায় গভীর রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি Logo কৃষকের জমিতে বেড়া দিতে আ.লীগ নেতার ‘বাঁধা ও মারধর’ Logo যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ২০ লাখ টাকাসহ ঢাকা বিমানবন্দরে আটক, অতঃপর মুক্ত Logo তানোরে মামলাবাজ হিটলুর দৌরাত্ম্যে গ্রামবাসি অতিষ্ঠ Logo আলমডাঙ্গায় মাদকবিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জামিন পেলেন আলফাডাঙ্গার আ.লীগ নেতা মোনায়েম খান 

আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান জামিন পেয়েছেন।  রবিবার সকালে ফরিদপুর জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাশার তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
গোপালপুর গ্রামের সেকেন্দার আলম নামে এক বাসিন্দার ওপর দুর্বৃত্ত হামলার ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ অন্য নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। ওই মামলায় কারাগারে ছিলেন মোনায়েম খান। তিনি ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও।
সেকেন্দার আলমের করা মামলাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করে আসছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। মামলা করার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া এবং মোনায়েম খানকে মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিল তারা।
আওয়ামী লীগ নেতা মোনায়েম খানের আইনজীবী ছিলেন উৎপল মুখার্জি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মোনায়েম খানসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছে সেটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতের কাছে তুলে ধরে বিজ্ঞ আদালতের কাছে জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। রবিবার বিকেলে তিনি কারামুক্ত হবেন।’
গত ৬ মে সন্ধ্যায় সেকেন্দার আলম শেখের ওপর উপজেলার পবনবেগ এলাকায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ওই ঘটনার পাঁচদিন পর ১১ মে রাতে সেকেন্দার আলম বাদি হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় মোনায়েম খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং গোপালপুর বাজার বণিক সমিতির সদস্যসহ মোট সাতজনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় অন্যান্য আসামিরা গ্রেপ্তার হলেও তারা জামিনে মুক্ত হন। গত ২০ জুন আওয়ামী লীগ নেতা মোনায়েম খান ফরিদপুর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২০ জুন মোনায়েম খানসহ দলের নেতাকর্মীদের নামে করা প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর স্মারকলিপি দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নেতারা।
কৃষক লীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী প্রদীপ কুমার দাস লক্ষণ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মো. মোনায়েম খানের মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে মোনায়েম খানসহ সব নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা এই মামলাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ও দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারক লিপিও দিয়েছিল তারা।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মুকসুদপুরে সরকারি জায়গা দখল নিয়ে দুই ইউনিয়নবাসীর সংঘর্ষ, আহত অর্ধ শতাধিক

error: Content is protected !!

জামিন পেলেন আলফাডাঙ্গার আ.লীগ নেতা মোনায়েম খান 

আপডেট টাইম : ০৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১
ডেস্ক রিপোর্টঃ :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান জামিন পেয়েছেন।  রবিবার সকালে ফরিদপুর জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাশার তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
গোপালপুর গ্রামের সেকেন্দার আলম নামে এক বাসিন্দার ওপর দুর্বৃত্ত হামলার ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ অন্য নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। ওই মামলায় কারাগারে ছিলেন মোনায়েম খান। তিনি ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও।
সেকেন্দার আলমের করা মামলাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করে আসছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। মামলা করার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া এবং মোনায়েম খানকে মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিল তারা।
আওয়ামী লীগ নেতা মোনায়েম খানের আইনজীবী ছিলেন উৎপল মুখার্জি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মোনায়েম খানসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছে সেটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতের কাছে তুলে ধরে বিজ্ঞ আদালতের কাছে জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। রবিবার বিকেলে তিনি কারামুক্ত হবেন।’
গত ৬ মে সন্ধ্যায় সেকেন্দার আলম শেখের ওপর উপজেলার পবনবেগ এলাকায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ওই ঘটনার পাঁচদিন পর ১১ মে রাতে সেকেন্দার আলম বাদি হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় মোনায়েম খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং গোপালপুর বাজার বণিক সমিতির সদস্যসহ মোট সাতজনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় অন্যান্য আসামিরা গ্রেপ্তার হলেও তারা জামিনে মুক্ত হন। গত ২০ জুন আওয়ামী লীগ নেতা মোনায়েম খান ফরিদপুর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২০ জুন মোনায়েম খানসহ দলের নেতাকর্মীদের নামে করা প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর স্মারকলিপি দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নেতারা।
কৃষক লীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী প্রদীপ কুমার দাস লক্ষণ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মো. মোনায়েম খানের মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে মোনায়েম খানসহ সব নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা এই মামলাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ও দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারক লিপিও দিয়েছিল তারা।

প্রিন্ট