ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় ভিড় বাড়ছে ছুরি, চাপাতি, দা বঁটি’র দোকানে

-ছবিঃ প্রতীকী।

একদিন পরই ঈদুল আজহা। ঈদুল আযহায় কোরবানির পশু জবাই ও চামড়া ছাড়ানোর জন্য ধারালো ছুরি ও দার কদর বেড়েছে। ভেড়ামারায় ঈদের শেষ সময়ে ভিড় বেড়েছে ছুরি, চাপাতি, বঁটি, দার দোকান গুলোতে।

এই ঈদে গরু, ছাগল কুরবানি পশু হিসেবে জবাই করা হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কোরবানির পশু জবাই চলে। এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য।

তাই শহরের মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে ধারালো ছুরি। তবে এবার চীনের ধারালো ছুরির পরিবর্তে দেশীয়ভাবে তৈরি ছুরি ও রামদা বেশি বিক্রি হচ্ছে।

ভেড়ামারা কলেজ বাজার,মধ্যবাজার,কাঠের পুল।ধরমপুর,জুনিয়াদহ,রায়টায় বিক্রি হচ্ছে পশুর চামড়া ছাড়ানো, গোস্ত কাটা, জবাই করার বিভিন্ন ধরনের বড় ছুরি, রামদা, চাকু, বঁটি, কাঠের গুঁড়ি। দেশীয়ভাবে তৈরি বিভিন্ন মানের ছোট ছুরি ২০ থেকে ৬০ টাকা, একটু বড় ছুরি ৬০ থেকে ১০০ টাকা, রামদা ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, বঁটি বিভিন্ন মানের আকারের ৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চা পাতি ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বড় ধারালো ছুরি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এর সাথে বার্মিজ ও চীনের তৈরি সিলভার রঙের মান অনুযায়ী চকচকে চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, ছোট ছুরি ১০০ টাকা, পশু জবাই করার ছুরি ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, দা ৩০০ থেকে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে শেষ মহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভেড়ামারা কর্মকাররা। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদে তাদের কাজ হয় অনেক বেশি হয়। এবারে করোনার কারণে প্রথমে কোরবানির হাট বন্ধ ও কঠোর লকডাউন থাকায় মাত্র এক সপ্তাহ সময় পেয়েছেন তারা।

জ্বলন্ত আগুনে গরম লোহার পিটাপিটির শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে কামারপাড়ার দোকানগুলো। আবার এসব ধাতব সরঞ্জামাদি শান দিতে কামারের দোকানগুলোতে ক্রমেই ভিড় চোখে পড়ছে। উপজেলার অন্যতম বৃহৎ হাট-বাজারের কামারপাড়াগুলোর ব্যস্ততা এখন সবচেয়ে বেশি।

কর্মকার যুগল চন্দ্রের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদে চাকু, হাঁসুয়া, বঁটি, ছুরি ইত্যাদি বেশি তৈরি করতে হয়। এ সময় আমাদের বেচা-বিক্রিও ভালো হয়।

স্থানীয় মাহাবুব আলম জানান, ঈদে কোরবানিতে নিজে পশু জবাইয়ের জন্য দা, চাকু মেরামতের জন্য এসেছি। স্বল্প টাকায় কামারিরা অস্ত্রগুলি প্রস্তুত করে দিচ্ছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হরিপরে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় ভিড় বাড়ছে ছুরি, চাপাতি, দা বঁটি’র দোকানে

আপডেট টাইম : ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ :

একদিন পরই ঈদুল আজহা। ঈদুল আযহায় কোরবানির পশু জবাই ও চামড়া ছাড়ানোর জন্য ধারালো ছুরি ও দার কদর বেড়েছে। ভেড়ামারায় ঈদের শেষ সময়ে ভিড় বেড়েছে ছুরি, চাপাতি, বঁটি, দার দোকান গুলোতে।

এই ঈদে গরু, ছাগল কুরবানি পশু হিসেবে জবাই করা হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কোরবানির পশু জবাই চলে। এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য।

তাই শহরের মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে ধারালো ছুরি। তবে এবার চীনের ধারালো ছুরির পরিবর্তে দেশীয়ভাবে তৈরি ছুরি ও রামদা বেশি বিক্রি হচ্ছে।

ভেড়ামারা কলেজ বাজার,মধ্যবাজার,কাঠের পুল।ধরমপুর,জুনিয়াদহ,রায়টায় বিক্রি হচ্ছে পশুর চামড়া ছাড়ানো, গোস্ত কাটা, জবাই করার বিভিন্ন ধরনের বড় ছুরি, রামদা, চাকু, বঁটি, কাঠের গুঁড়ি। দেশীয়ভাবে তৈরি বিভিন্ন মানের ছোট ছুরি ২০ থেকে ৬০ টাকা, একটু বড় ছুরি ৬০ থেকে ১০০ টাকা, রামদা ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, বঁটি বিভিন্ন মানের আকারের ৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চা পাতি ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বড় ধারালো ছুরি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এর সাথে বার্মিজ ও চীনের তৈরি সিলভার রঙের মান অনুযায়ী চকচকে চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, ছোট ছুরি ১০০ টাকা, পশু জবাই করার ছুরি ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, দা ৩০০ থেকে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে শেষ মহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভেড়ামারা কর্মকাররা। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদে তাদের কাজ হয় অনেক বেশি হয়। এবারে করোনার কারণে প্রথমে কোরবানির হাট বন্ধ ও কঠোর লকডাউন থাকায় মাত্র এক সপ্তাহ সময় পেয়েছেন তারা।

জ্বলন্ত আগুনে গরম লোহার পিটাপিটির শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে কামারপাড়ার দোকানগুলো। আবার এসব ধাতব সরঞ্জামাদি শান দিতে কামারের দোকানগুলোতে ক্রমেই ভিড় চোখে পড়ছে। উপজেলার অন্যতম বৃহৎ হাট-বাজারের কামারপাড়াগুলোর ব্যস্ততা এখন সবচেয়ে বেশি।

কর্মকার যুগল চন্দ্রের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদে চাকু, হাঁসুয়া, বঁটি, ছুরি ইত্যাদি বেশি তৈরি করতে হয়। এ সময় আমাদের বেচা-বিক্রিও ভালো হয়।

স্থানীয় মাহাবুব আলম জানান, ঈদে কোরবানিতে নিজে পশু জবাইয়ের জন্য দা, চাকু মেরামতের জন্য এসেছি। স্বল্প টাকায় কামারিরা অস্ত্রগুলি প্রস্তুত করে দিচ্ছেন।


প্রিন্ট