ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা Logo পাংশা সরকারী কলেজে জুলাই শহিদ দিবস পালিত Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কুষ্টিয়া চাঁদা তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ Logo কিছু কিছু দল বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরী বানাচ্ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo মধুখালীতে কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ কম হওয়ায় কৃষকেরা হতাশ Logo কালুখালী থেকে কুষ্টিয়া আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে হামলার শিকার Logo ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে ‌‌ আলোচনা সভা ‌ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়া সীমান্তে পৃথক অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও শর্টগানসহ আটক ২ Logo জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির ‌ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত 
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রাজশাহীতে ঋন দেওয়ার নামে প্রতারণা, ক্ষোভে গ্রাহকের আত্মহত্যার চেষ্টা

মোঃ মনোয়ার হোসেনঃ

 

রাজশাহীতে এক এনজিও সংস্থার প্রতারণা সইতে না পেরে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সাথি নামে এক অসহায় গ্রাহক। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সোমবার (২৪ মার্চ) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর মৌগাছি এলাকায় প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই নারী পুঠিয়া উপজেলার কান্দ্রা সাহাবাজপুর গ্রামের রনি ইসলামের স্ত্রী।

ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঋন দেওয়ার নামে দীর্ঘদিন ধরে সাথিকে ঘুরাচ্ছেন আর আর এফ নামে নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। গত সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে ঋন দেওয়ার কথা বলে বানেশ্বর অফিসে ডেকে আনে তাকে কিন্তু ঋন দেওয়ার পরিবর্তে উল্টো অপমান করে। পরে অপমান সইতে না পেরে অফিসের বাথরুমে থাকা হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সুমি। পরে তার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করে।

 

ভুক্তভোগী সুমি কিছুটা সুস্থ্য হওয়ার পর তার সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আর আর এফ এনজিওতে আমি দীর্ঘদিন ধরে কিস্তি চালাই। ওই এনজিওর মাঠকর্মী মার্জিয়া খাতুন এবং ম্যানাজার সুবিদ কুমার দাস আমাকে বেশি টাকা লোন দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে বলে এবং ৩৭ হাজার টাকা সঞ্চয় জমা দিতে বলে। আমি মানুষের কাছে ধারদেনা এবং আমার সোনার গহনা বন্ধক রেখে ১লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা অফিসে জমা দিই। অনেক কষ্ট করে টাকা গুলো জমা দেওয়ার পর তারা আমাকে লোন না দিয়ে লাঞ্ছিত করছে। পরে আমি অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। আমি ওই এনজিওর ম্যানেজার এবং মাঠ কর্মীর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি যেন আর কোন গ্রাহককে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে না হয়।

 

আর আর এফ বানেশ্বর শাখার ব্যবস্থাপক সুবিদ কুমার দাস এবং মাঠকর্মী মার্জিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান ভুক্তভোগী সুমি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা

error: Content is protected !!

রাজশাহীতে ঋন দেওয়ার নামে প্রতারণা, ক্ষোভে গ্রাহকের আত্মহত্যার চেষ্টা

আপডেট টাইম : ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক : :

মোঃ মনোয়ার হোসেনঃ

 

রাজশাহীতে এক এনজিও সংস্থার প্রতারণা সইতে না পেরে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সাথি নামে এক অসহায় গ্রাহক। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সোমবার (২৪ মার্চ) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর মৌগাছি এলাকায় প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই নারী পুঠিয়া উপজেলার কান্দ্রা সাহাবাজপুর গ্রামের রনি ইসলামের স্ত্রী।

ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঋন দেওয়ার নামে দীর্ঘদিন ধরে সাথিকে ঘুরাচ্ছেন আর আর এফ নামে নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। গত সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে ঋন দেওয়ার কথা বলে বানেশ্বর অফিসে ডেকে আনে তাকে কিন্তু ঋন দেওয়ার পরিবর্তে উল্টো অপমান করে। পরে অপমান সইতে না পেরে অফিসের বাথরুমে থাকা হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সুমি। পরে তার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করে।

 

ভুক্তভোগী সুমি কিছুটা সুস্থ্য হওয়ার পর তার সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আর আর এফ এনজিওতে আমি দীর্ঘদিন ধরে কিস্তি চালাই। ওই এনজিওর মাঠকর্মী মার্জিয়া খাতুন এবং ম্যানাজার সুবিদ কুমার দাস আমাকে বেশি টাকা লোন দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে বলে এবং ৩৭ হাজার টাকা সঞ্চয় জমা দিতে বলে। আমি মানুষের কাছে ধারদেনা এবং আমার সোনার গহনা বন্ধক রেখে ১লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা অফিসে জমা দিই। অনেক কষ্ট করে টাকা গুলো জমা দেওয়ার পর তারা আমাকে লোন না দিয়ে লাঞ্ছিত করছে। পরে আমি অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। আমি ওই এনজিওর ম্যানেজার এবং মাঠ কর্মীর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি যেন আর কোন গ্রাহককে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে না হয়।

 

আর আর এফ বানেশ্বর শাখার ব্যবস্থাপক সুবিদ কুমার দাস এবং মাঠকর্মী মার্জিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান ভুক্তভোগী সুমি।


প্রিন্ট