সেলিম সানোয়ার পলাশঃ
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, রাসিকের সাবেক মেয়র ও এমপি জননেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে কোনো ধরণের ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সফল হতে দিবে না। ভারত বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল। বাংলাদেশের মানুষ কোনদিনই দেশকে তাদের হাতে তুলে দিবে না। এ দেশের মানুষ যেমন শহীদ জিয়ার আহবানে সাড়া দিয়ে জীবন দিয়ে লড়াই করে দেশকে স্বাধীন করেছিল ও লাল সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছে। গতকাল সোমবার রাজশাহী মহানগরীর ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সস্থতা কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তারই নেতৃত্বে যুদ্ধ করে মানুষ দেশ স্বাধীন করেছে। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনর্গঠন করেছিলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশ ও মাটি মানুষের জন্য কাজ করে। সেনাবাহিনী দেশের মাটিতে নির্ভিক। তারা প্রমাণ করে দিয়েছে কোনো পরাশক্তির কাছেই তারা মাথা নত করেনা। সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর গুরুত্ব অপরিসীম। এই সেনাবাহিনীকে যারা বিতর্কিত করতে চায় রাজনৈতিকভাবে জবাব দেওয়া হবে।
ভারত বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল। বাংলাদেশের মানুষ কোনদিনই দেশকে তাদের হাতে তুলে দিবে না। এ দেশের মানুষ যেমন শহীদ জিয়ার আহবানে সাড়া দিয়ে জীবন দিয়ে লড়াই করে দেশকে স্বাধীন করেছিল ও লাল সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছে। এ দেশের মানুষ আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহবানে সাড়া দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই করেছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী নির্যাতিত ও কারাবরণ করেছে। আগামী দিনে বাংলাদেশকে আমরা সবাই মিলে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলবো ও স্বাধীনতা রক্ষা করবো।
তিনি আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বলেন, আল্লাহ যেন তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার তৌফিক দান করেন। অন্তবর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি অনেক সম্মানি মানুষ। আপনি যখন শান্তিতে নোবেল পেয়ে দেশে ফিরেছিলেন তখন ফ্যাসিস্ট হাসিনা আপনাকে অপমান করেছিল। কিন্ত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমি ও এবং মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আপনার কাছে গিয়ে বিএনপি এবং দেশের মানুষের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়েছিলাম। আমরা চাই সেই সম্মান আল্লাহ রাখুক। আপনাকে নিয়ে কতিপয় ব্যক্তি বাংলাদেশের মধ্যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে যে বক্তব্য দিচ্ছে তাতে দেশের মানুষ সন্ধিহান। বালাদেশের শত্রুকে বলে দিতে চাই, আগামী দিনে আল্লাহ যদি আমাদেরকে রাষ্ট্র দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দেয় তাহলে বিএনপি যারা আন্দোলন সংগ্রাম করেছে এমন সকল দলকে নিয়ে সরকার গঠন করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। প্রাথমিক পদক্ষেপ হবে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য ১৭ থেকে ৩১ বছর পর্যন্ত যাদের বয়স তাদের সবাইকে বাধ্যতামূলক সামরিক ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে যারা রাজপথে ছিলেন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি। যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করতে হবে। আমরা অতীতেও রাজপথে ছিলাম আজও রাজপথে আছি ও ভবিষ্যতেও থাকবো।
তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান দেশনেত্রীর সস্থতা কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করার জন্য। পরে তিনি দুঃস্থ, অসহায় ও পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেন। শেষে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা জয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাসিকের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। আরও উপস্থিত ছিলেন, মহিলা দল রাজশাহী মহানগরের সভাপতি এড. রওশন আরা পপি, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সখিনা খাতুন, শাহমখদুম থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মর্তুজা ফামিন, বিএনপি নেতা রবিউল আলম মিলু, বিএনপি নেতা মাইনুল হক হারু, রবিউল আহসান রেজার সভাপতিত্বে ও পরিচালনা করেন, আজিম উদ্দিন মনু ও পিয়াল হায়দার আবু। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এবং সাধারণ হাজার হাজার পথচারী এবং নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট