ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo প্রশ্ন সারজিসের; কুকুর কীভাবে সচিবালয়ে ঢুকল ! Logo গোপালগঞ্জে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন Logo নাটোরে আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিদর্শন এর দাবিতে মানববন্ধন Logo বাঘার পদ্মায় ধরা পড়ছে বাঘাইড়, কপাল খুলছে জেলেদের Logo বালিয়াকান্দিতে স্পোর্টস একাডেমির উদ্যগে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর উদ্বোধন Logo আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের জন্য কালুখালীতে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন Logo কালুখালীর ৮৪ কৃষান কিষানী পেল পুষ্টি বাগানের উপকরণ Logo বাঘায় রোটারি ক্লাব অফ মেট্রোপলিটনের শীত বস্ত্র বিতরণ Logo ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ৯ কৃষকের জমি দখলের চেষ্টা! Logo দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বয়স্ক নারীদের শীতবস্ত্র ও শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাকা ঘর নির্মানে বাধা দেওয়ায় নড়াইলে যুবককে কুপিয়ে জখম

নড়াইলে ১৪৪ ও ১৮৮ ধারা লংঘন করে পাকা ঘর নির্মানে বাধা দেওয়ায় মোঃ ফরিদ মোল্যাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে  দূূর্বৃত্তরা। সে মিঠাপুর গ্রামের আব্দুুর সালাম মোল্যার ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের মিঠাপুর গ্রামে।
ফরিদ মোল্যার স্ত্রী মোসা: রাফেদা খানম জানান, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় একই গ্রামের মন্নু মোল্যার ছেলে রিপন মোল্যা (২৮) সাব্বির মোল্যা (১৮), মৃত: আত্তাব মোল্যার ছেলে মন্নু মোল্যা (৫৫), নাজির মোল্যর ছেলে রনি মোল্যা (২৫), মৃত: আত্তাব মোল্যার ছেলে নাজির মোল্যা (৫০) ও মজনু মোল্যা (৪৮), মজনু মোল্যার ছেলে আজিজুল মোল্যা সহ আরো ৪/৫ জন আমার স্বামী মো: ফরিদ মোল্যা সহ আকরাম মোল্যা নামে আরও একজনকে রামদা, লোহার রড, হাতুড়ী ও বাশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিঠাপুর ব্রীজের মাঝখানে  চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে।
এসময় ফরিদ মোল্যা ও আকরাম মোল্যা কিছু বুঝে উঠার আগেই মন্নু মোল্যার হুকুমে রিপন সহ অন্যান্যরা আমার স্বামীকে বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে আমরা নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করি।
মোসা: রাফেদা খানম আরো জানান মিঠাপুর বাজারের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত খেলার মাঠের উত্তর পশ্বিম প্রান্তে আমাদের স্বত্ত্ব দখলীয় একটি দোকান ঘর মো: আকরাম মোল্যার বাড়ীর জমিকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে।
উক্ত বিষয়ে মো: আকরাম মোল্যা রিপন মোল্যা, মন্নু মোল্যা ও সাব্বির মোল্যাগণকে দ্বিতীয় পক্ষ করো বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌ. কা. বিধির ১৪৪ ধারার অধিন এম.পি ১৭১/২০, ধারা ১৪৪ মামলা দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে উক্ত দোকান ঘর ও বাড়ীর জমির উপর স্থিতিবস্থার আদেশ প্রদান করিলেও বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে তারা উক্ত জমিতে পাকা ঘরবাড়ী নির্মান সহ প্রথম পক্ষের দখলীয় বাড়ীর প্রবেশ পথের সামনে ও দোকান ঘরের সাটার জড়িয়ে পিলার পুতো রাখে যার কোন আইনগত অধিকার তাদের নাই।
আকরাম মোল্যার জানান,স্থানীয় নলদী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জনাব এনামুল সাহেবকে বার বার ঘটনার বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও তিনি অদৃশ্য কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি।
বিধায় আমি অত:পর বিজ্ঞ আদালতে দন্ড বিধি আইনের ১৮৮ ধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত ধারার অধিনে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লোহাগড়া থানার ওসিকে নির্দেষ প্রদান করলে থানা কর্তৃপক্ষ জনাব এনামুল, ইনচার্জ, নলদী ক্যাম্পকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
জনাব এনামুল দায়িত্বপ্রাপ্ত হইয়া গতকাল, ১৫/০৭/২০২১ ইং তারিখ সন্ধায় ঘটনাস্থলে যেয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করামাত্রই তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আক্রমন করে।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজয় রায় বলেন, রুগিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রাত ১২টার দিকে রুগির জ্ঞান ফিরেছে। কয়েক স্থানে কোপের ও আঘাতের চিহ্র পাওয়া গেছে। কিছু পরিক্ষা করতে বলা হয়েছে।
রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হবে। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, বিষটি
শুনেছি তদন্ত করে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশ্ন সারজিসের; কুকুর কীভাবে সচিবালয়ে ঢুকল !

error: Content is protected !!

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাকা ঘর নির্মানে বাধা দেওয়ায় নড়াইলে যুবককে কুপিয়ে জখম

আপডেট টাইম : ০৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১
খন্দকার সাইফুল্লা আল মাহমুদ, নড়াইল প্রতিনিধিঃ :
নড়াইলে ১৪৪ ও ১৮৮ ধারা লংঘন করে পাকা ঘর নির্মানে বাধা দেওয়ায় মোঃ ফরিদ মোল্যাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে  দূূর্বৃত্তরা। সে মিঠাপুর গ্রামের আব্দুুর সালাম মোল্যার ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের মিঠাপুর গ্রামে।
ফরিদ মোল্যার স্ত্রী মোসা: রাফেদা খানম জানান, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় একই গ্রামের মন্নু মোল্যার ছেলে রিপন মোল্যা (২৮) সাব্বির মোল্যা (১৮), মৃত: আত্তাব মোল্যার ছেলে মন্নু মোল্যা (৫৫), নাজির মোল্যর ছেলে রনি মোল্যা (২৫), মৃত: আত্তাব মোল্যার ছেলে নাজির মোল্যা (৫০) ও মজনু মোল্যা (৪৮), মজনু মোল্যার ছেলে আজিজুল মোল্যা সহ আরো ৪/৫ জন আমার স্বামী মো: ফরিদ মোল্যা সহ আকরাম মোল্যা নামে আরও একজনকে রামদা, লোহার রড, হাতুড়ী ও বাশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিঠাপুর ব্রীজের মাঝখানে  চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে।
এসময় ফরিদ মোল্যা ও আকরাম মোল্যা কিছু বুঝে উঠার আগেই মন্নু মোল্যার হুকুমে রিপন সহ অন্যান্যরা আমার স্বামীকে বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে আমরা নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করি।
মোসা: রাফেদা খানম আরো জানান মিঠাপুর বাজারের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত খেলার মাঠের উত্তর পশ্বিম প্রান্তে আমাদের স্বত্ত্ব দখলীয় একটি দোকান ঘর মো: আকরাম মোল্যার বাড়ীর জমিকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে।
উক্ত বিষয়ে মো: আকরাম মোল্যা রিপন মোল্যা, মন্নু মোল্যা ও সাব্বির মোল্যাগণকে দ্বিতীয় পক্ষ করো বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌ. কা. বিধির ১৪৪ ধারার অধিন এম.পি ১৭১/২০, ধারা ১৪৪ মামলা দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে উক্ত দোকান ঘর ও বাড়ীর জমির উপর স্থিতিবস্থার আদেশ প্রদান করিলেও বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে তারা উক্ত জমিতে পাকা ঘরবাড়ী নির্মান সহ প্রথম পক্ষের দখলীয় বাড়ীর প্রবেশ পথের সামনে ও দোকান ঘরের সাটার জড়িয়ে পিলার পুতো রাখে যার কোন আইনগত অধিকার তাদের নাই।
আকরাম মোল্যার জানান,স্থানীয় নলদী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জনাব এনামুল সাহেবকে বার বার ঘটনার বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও তিনি অদৃশ্য কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি।
বিধায় আমি অত:পর বিজ্ঞ আদালতে দন্ড বিধি আইনের ১৮৮ ধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত ধারার অধিনে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লোহাগড়া থানার ওসিকে নির্দেষ প্রদান করলে থানা কর্তৃপক্ষ জনাব এনামুল, ইনচার্জ, নলদী ক্যাম্পকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
জনাব এনামুল দায়িত্বপ্রাপ্ত হইয়া গতকাল, ১৫/০৭/২০২১ ইং তারিখ সন্ধায় ঘটনাস্থলে যেয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করামাত্রই তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আক্রমন করে।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজয় রায় বলেন, রুগিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রাত ১২টার দিকে রুগির জ্ঞান ফিরেছে। কয়েক স্থানে কোপের ও আঘাতের চিহ্র পাওয়া গেছে। কিছু পরিক্ষা করতে বলা হয়েছে।
রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হবে। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, বিষটি
শুনেছি তদন্ত করে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

প্রিন্ট